ভবানন্দপুর মন্দির Bhavanandapur temple নদিয়া রাজবংশের স্মৃতি চিহ্নিত মেহেরপুর ভবানন্দপুর মন্দির, আমদহ ভবানন্দপুর সড়কের সাথে পূর্ব দিক গা...
ভবানন্দপুর মন্দির Bhavanandapur temple
নদিয়া রাজবংশের স্মৃতি চিহ্নিত মেহেরপুর ভবানন্দপুর মন্দির, আমদহ ভবানন্দপুর সড়কের সাথে পূর্ব দিক গামে মোহনপুর ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক, এর উত্তর পূর্ব অংশে চাষের জমির মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে ভগন্দর এবং পরিত্যক্ত একটি প্রাচীন স্থাপত্য, এই স্থাপনাটি হলো ভবানন্দপুর মন্দির, আবার আনন্দপুর মন্দির নামেও পরিচিত।
ভবানন্দপুর মন্দির Bhavanandapur temple
মেহেরপুর জেলার প্রত্ন নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম সদর থানার ভবানন্দপুর গ্রামে অবস্থিত এই প্রাচীন মন্দির টি, মন্দির স্থাপত্য ছেলে দেখে অনেকেই এটিকে বৌদ্ধমন্দির হিসেবে অনুমান করে থাকেন কিন্তু এটি একটি হিন্দুদের মন্দির।
ভবানন্দপুর মন্দির Bhavanandapur temple
মেহেরপুর জেলা সদর থেকে সড়ক পথে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে যেখানে যেতে পারবেন স্থানীয় যান নসিমন-করিমন এর সাহায্যে ২০ মিনিট সময়ের মধ্যে ভবানন্দপুর পৌঁছে যাওয়া যায় ।
ভবানন্দপুর মন্দির Bhavanandapur temple
মেহেরপুরে ভবানন্দপুর মন্দির নদিয়া রাজবংশের শেষ অস্তিত্ব একসময় মন্দির তৈরি হয়েছে মূলত তিনটি রীতিতে শিখরা চালা ও রত্ন । প্রথমটি এসেছে ভারতীয় ঐতিহ্য থেকে এবং বাকি দুইটা হলো বাংলার নিজস্ব দ্বিতীয় শ্রেণীতে, শিল্পক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ না থাকায় খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের পর থেকে শুরু হয় প্রদেশিক শিল্পরীতি প্রাধান্য, গ্রামাঞ্চলে ঘরবাড়ি মূল চালা ঘরের, আর বাংলা এই চালা ঘরের সঙ্গে স্বীকৃতির উপরের অংশ মিলিয়ে তৈরি হয়েছে রত্ন মন্দির।
ভবানন্দপুর মন্দির Bhavanandapur temple
বীরভূমের ঘুরিয়া গ্রামের রঘুনাথ মন্দির তৈরি হয় ১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে , মন্দিরের টেরাকোটা অলংকার, এছাড়াও বীরভূমের রাজনগরে মসজিদের গায়ে যে ধরনের ফুলের লতা আছে, তা মন্দিরেও আছে, আবার বাঁকুড়ার শ্যামরায় হুগলির বালিদেওয়ানগঞ্জ লক্ষী চোদনের মন্দিরেও এই ধরনের ফুলের লতা আছে।
ভবানন্দপুর মন্দির Bhavanandapur temple
প্রায় ১৭/১৮ বছর আগে মন্দির এলাকায় সড়কের পাশে ফাইভ মার্ডার এর ঘটনা ঘটেছিল, ফলে ভবানন্দপুর মন্দিরটি বর্তমানে ফাইভ নামে পরিচিত, ভবানন্দপুর মজুমদারের রাজবাড়িটি বহু আগে বিলীন হয়ে গেছে, বর্তমানে কর্মযোগ ঝোপঝাড়ে ডেকে গেছে মন্দিরটি।
ভবানন্দপুর মন্দির Bhavanandapur temple
মন্দিরের আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ৩.৫৬ মিটার এবং প্রস্থ ৩.১৮ মিটার , এটি নির্মাণে ইট চুন-সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে সামনের দিকে একটিমাত্র প্রবেশপথে এই মন্দিরটি চারপাশের দেয়াল ৭০ সেন্টিমিটার চওড়া, প্রবেশপথটি অর্থবিশিষ্ট, চোখে পড়বে উত্তর পাশের দেয়ালে একটি মূর্তি রাখার চেম্বার ও পূর্ব-পশ্চিমে দেওয়ালে একটি কুলুঙ্গি রয়েছে।
ভবানন্দপুর মন্দির Bhavanandapur temple
এই মন্দিরের চারপাশে বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের জমি রয়েছে চাষের জমিতে মৃত পাত্রের ভাঙ্গা টুকরো ও ইটের ভাঙ্গা টুকরো পরিস্থিতি লক্ষণীয় মন্দির থেকে প্রায় 500 মিটার দূরে উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে ভৈরব নদীর প্রবাহ রয়েছে ঝড়-বৃষ্টিতে রেহাই পেতে অনেক সময় মাঠের মধ্যে আশ্রয় নিতে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা বর্তমানে মন্দিরের সামনে জমিটি আশরাফুল মসজিদ কমিটি রয়েছে বলেও জানা যায়।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS