হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমতুল্লাহি মাজার Hazrat Yaruddin Khalifa Rahmatullahi Mazar হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমতুল্লাহি মাজার Hazrat Yaru...
হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমতুল্লাহি মাজার
Hazrat Yaruddin Khalifa Rahmatullahi Mazar
হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমতুল্লাহি মাজার Hazrat Yaruddin Khalifa Rahmatullahi Mazar
মির্জাগঞ্জের ওলিয়ে কায়েম হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমতউল্লাহ
বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে দক্ষিণবঙ্গের পটুয়াখালী জেলার জেলার অন্যতম একটি জনপদ নদী উর্বরা সুফলাং সুজলাং মির্জাগঞ্জ, ঐতিহ্যবাহী মির্জাগঞ্জে সাথে জড়িয়ে রয়েছে এর সুদীর্ঘকালের ইতিহাস চৈতা, পীর সাহেব অনেক পুরুষের পদচারণা এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ জিকির হয়েছে এই জমিন, এবং বুযুর্গানে দ্বীনের খেদমত, এবং দরজালের এবং সিদ্ধ হয়েছে এখানকার মাটি, মির্জাগঞ্জের হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমতউল্লাহ তাদেরই একজন
মির্জাগঞ্জের ওলিয়ে কায়েম হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমতউল্লাহ
হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমত উল্লাহ সাহেব ছিলেন অধ্যাত্মিক জগতের উঁচুমানের ব্যক্তি, তার প্রতিষ্ঠান পড়ালেখার বিষয় সঠিকভাবে তেমন কিছু জানা না গেলেও তিনি অধিক পরিমাণে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করতেন বিধায় প্রতীয়মান হয় যে তিনি অন্যবিধ পড়াশোনা জেনে থাকুক বা নাই থাকুক আরবি লেখাপড়ায় বিশেষ করে পবিত্র কুরআন পাঠ করতে জানতেন এবং পবিত্র কুরআন নে কারীমের তিনি অত্যাধুনিক মহব্বত করতেন, কুরআনের হাকিম এর তিলওয়াতে তিনি তার জীবনের অন্যতম হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন
জন্ম এবং পরিচয়
জীবনের সুদীর্ঘ সময় মির্জাগঞ্জের অতিবাহিত করলো হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমতউল্লাহ এর জন্মস্থান মূলত শরীয়তপুর জেলা, শরীয়তপুরে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি, তবে তার জন্ম তারিখ সঠিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি, তার ইয়ার উদ্দিন পিতার নাম মরহুম সরাইঘাট
মির্জাগঞ্জে আগমন
জানা যায় হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমতুল্লাহর বয়স যখন আপনি দীর্ঘ 38 বছর তখন তার স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র কলেরা রোগে মারা যাওয়ার আঘাত সহ্য করতে না পেরে পরবর্তীকালে বেশিরভাগ সময়ই তিনি মসজিদে থাকতেন এবং জায়নামাজে বসে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতেন নির্বিঘ্নে থাকতেন স্ত্রী এবং বিয়োগ এর পরপরই তিনি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ আগমন করেন এখানে এসে তিনি জামা টুকুও ইত্যাদি সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকতেন, এ কারণে একসময় তার যুক্ত তিনি ইয়ার উদ্দিন, পরবর্তীতে তিনি দর্জির কাজের পাশাপাশি বাহারি ইত্যাদি ব্যবসা যুক্ত হন
ব্যবসা করার জন্য তিনি যেতেন বিভিন্ন স্থানীয় হাটে
আগেই উল্লেখ করেছি মরুভূমির উদ্দিন খলিফা বাহারান করেছেন তিনি তার এই ব্যবসার উদ্দেশ্য মি
মির্জাগঞ্জ সুবিদখালী কাকড়াবুনিয়া সহ আশপাশের বিভিন্ন হাট গমন করতেন, এই কাজে যাতায়াতের, ভাঙ্গাচুরা সেই নৌকাটি তিনি ব্যবহার করতেন, ব্যবসার কাজে তাকে সাহায্য করতেন তার একমাত্র বিশ্বাসী খাদেম মির্জাগঞ্জ মরহুম মল্লিক
হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমতুল্লাহি মাজার
গগন মল্লিক নৌকা চালাতে এবং খলিফা সাহেব টিপা নিষেধ করতেন একদিন দীঘায় হাট থেকে আসার পথে পায়রা নদীতে ভীষণ জর তুফান শুরু হয় খাদেমগণ মল্লিক নৌকা বেঁধে রাখার কথা বললে খলিফা সাহেব তাকে অজু করে নামাজ পড়তে বলেন গগন মল্লিক নামাজ পড়ার মধ্যেই নৌকা মির্জাগঞ্জে পৌঁছে যায় তার জীবনে আরো অনেক ঘটনা আছে তৎকালীন সময়ে মির্জাগঞ্জ দারোগা নেতাকে ভন্ড ফকির বলে খুব গালাগালি করেন ওইদিন রাতে দারোগা সাহেবের শরিলে ভিষন যন্ত্রণা এবং রাতে ঘুমাতে পারেনি অন্য একদিন তাকে স্থানীয় সীমান্ত নদীর তীরে দেখেছেন পরক্ষণেই তার বাসগৃহের সামনে নদীর ঘাটে দেখেন ব্রিটিশ শাসনামলে একদিন পটুয়াখালী থেকে আমি স্টিমারের দুজন লোক আসার পথে টিকে টিকে টাকা না দিতে পারায় স্টিমারের কর্মচারীরা অপমান করে মির্জাগঞ্জ ঘাটে নামিয়ে দেয় লোকজন হুজুরের মাজার কান্নাকাটি করে মাজার জিয়ারত করে।
মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় - ২৪ ও২৫ ফাল্গুন
হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা রহমতুল্লাহি মাজার
স্টিমার সুবিদখালী থেকে ফেরার পথে মাজারের কাছে পশ্চিম পাশে শ্রীমন্ত নদীতে ডুবে যায় পরবর্তীতে তোলার জন্য মালিক যখন ডুবুরি ডুবুরি পানির নিচে গিয়ে দেখতে পায় একজন লোক স্টিমারের ভিতরে কুরআন তেলাওয়াত করছেন ঘটনাটি জানার পর স্টিমার কোম্পানির লোক ভুল স্বীকার করে মাজার-মানত করার পর দিন স্টিমারটি সহজেই তুলতে পারে এরপর থেকে সমস্ত লঞ্চ-স্টিমার ইঞ্জিনচালিত নৌকা মাজারের কাছে সম্মাননা প্রদর্শন করে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয় দীর্ঘদিন মির্জাগঞ্জ অতিবাহিত করেন এরপর রাতে তার ভীষণ জ্বর হয় খাদেম গগন মল্লিক রাতে কাছে থাকতে চাইলে তিনি থাকতে দিলেন না পরে রাতে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ায় গগন মল্লিক বাড়ি গেলেন না কখন মল্লিকের কাছে ডেকে বললেন গগন তুমি এখানেই থেকো আল্লাহ তোমাকে খাওয়াবেন এর একটু পরেই খলিফা সাহেব শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, এখানে প্রতি বছর ২৪ ও ২৫ ফাল্গুন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় মাহফিলে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে এছাড়া প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত আসেন মাজার জিয়ারত করতে মাজার শরীফ মির্জাগঞ্জ উপজেলার ২ নং মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে অবস্থিত।
কিভাবে যাওয়া যায়;
আসার সহজ উপায়ে বরিশাল থেকে বাকেরগঞ্জ থেকে সহজ উপায় সুবিদখালী আসার পরে সুবিদখালী থেকে রিকশাযোগে সরাসরি মিমির্জাগঞ্জ মাজার অন্য উপায় হল পটুয়াখালী থেকে বাস গাড়ি অথবা হোন্ডা যুগে পায়রাগঞ্জ এসে নদী পার হয়ে রিকশা থেকে সরাসরি মিমির্জাগঞ্জ মাজার
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS