কারাগারে থেকে বই পড়লে শাস্তির মেয়াদ কমে যায়/যাবে অপরাধীদের স্বর্গ বলে কুখ্যাতি আছে যে কয়টি দেশে তার একটি ব্রাজিল। প্রাকৃতিক সম্পদে ভর...
কারাগারে থেকে বই পড়লে শাস্তির মেয়াদ কমে যায়/যাবে
অপরাধীদের স্বর্গ বলে কুখ্যাতি আছে যে কয়টি দেশে তার একটি ব্রাজিল। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ দেশের কারাগারে তাই নিরাপত্তায় বাড়াবাড়ি রকমের ব্যবস্থা আছে, দেশটিতে সংখ্যা সংখ্যায় বিশ্বের, কারাগার উনিও অবস্থা প্রায়ই আলো আলোচনা চলে, রয়েছে ধারণক্ষমতার বেশি বন্দি কারাগারের ভেতর, এবার কিছু বই পড়লে সুযোগ বন্দি অপরাধী অপরাধীরা । দক্ষিণ ব্রাজিলে প্রাসাদে কাস্তদিয়া দে ক্রীড়া করা কারাগারসহ আরো তিনটি ফেডারেল প্রিয়জনের মন্দিরা বই পড়লে কমে যায় শাস্তি। কাদে ফ্লাওয়ার কার সাথে কাস্তদিয়া দে পিরা কুয়ারা কারাগারের মোট ৭০০০ বন্দি আছে যারা খুন ধর্ষণ ও ডাকাতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন, বছরে একজন বন্দি মোট ১২ টি বই পড়তে পারেন সেখানে, অর্থাৎ প্রতি মাসে একটি করে বই পড়া যাবে, প্রতিদিন ও সর্বাধিক ৪৮ দিন কমে শাস্তির মেয়াদ, প্রতিটি বই পড়ার জন্য তাদের বরাদ্দ সময় এক মাস, এর মধ্যেই একটি করে বই আলোচনা নিয়ে জমা দিতে হয়, যে বইটি তারা করছেন তার মূল বিষয় প্রিয় চরিত্র ইত্যাদি নানা বিষয়ে লেখা থাকে তাতে, তার ভিত্তি চলে পরীক্ষা, বিশেষ একটি প্যানেল সিদ্ধান্ত নেন কারাবন্দীদের মধ্যে কারা এ সুযোগ পান।
২০১২ সালের ডিটেনশন রিডিং পড়ার মাধ্যমে মুক্তি লাভের অভিনব উদ্যোগ টি চালু করেছেন ব্রাজিল সরকার, কারাগারে বন্দীদের অপরাধের জন্য অনুশোচনা বাড়াতে মূলত এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে, ব্রাজিলের মতো অঞ্চলে আরেক দেশ বলিভিয়া ও শুরু করেছে এ ধরনের উদ্যোগ, তবে সেখানে একটি দুটি নয়, মোট ৪৭ কারাগারে চালু হয়েছে বুকস শিবা এন্ড বার নামে প্রকল্প বলিবিয়াতে মৃত্যুদণ্ড নেই,তবে সেখানে বিচারপ্রক্রিয়া অতি মনস্থ এবং দীর্ঘ, তাই বিচার সহজে শুরু হয় না, শুরু হলে শেষ হতে হতে জীবন পেরিয়ে যায় অনেকে, শাস্তির মেয়াদ শেষ করে মুক্ত জীবনে ফেরা যেমন সৌভাগ্যের ব্যাপার, এই অনিশ্চিত একঘেয়ে জীবন পরিবর্তন এনেছে বই, বুকস বিহাইন্ড বার প্রকল্পটির অধীনে প্রতিটি কারাগারে খোলা হয়েছে লাইব্রেরী, ৪৭ টি কারাগারে অন্তত ৮৬৫ ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে গেছে বই।
৮৬৫ পাঠকের মধ্যে পড়ার সবচেয়ে এগিয়ে জ্যাকুলিন, এক বছরে একটি বই শেষ করেছেন তিনি, বই পড়ার পর নেয়া হয় পরীক্ষা, এ পর্যন্ত চারটি পরীক্ষা দিয়ে জ্যাকুলিন সবগুলোতে পাশ করেছেন, শুধু সময় কাটানোর কথা বললে বিহাইন্ড বার প্রকল্প হয়তো সফলতা হত না, কারাগারে একঘেয়েমি দূর করার বিষয়টি তো আছেই, তার বিশেষ জুরি করে দিয়েছে বিশেষ প্রণোদনা যোগ করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ, ব্রাজিল, বলিভিয়ার মত ইতালিতেও কারাবন্দিরা বই পড়তে শাস্তির মেয়াদ কমতে পারে, প্রতিটি বইয়ের জন্য তিনদিন করে শাস্তির মেয়াদ কমাতে পারেন সেখানে কয়েদিরা, কারারক্ষীদের একটি দল এ বিষয়টি দেখভাল করেন, বই পড়া শেষ হলে কারাবন্দীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়, কে কোন বই পড়েছেন, সে বইয়ের আলোচনা ও নানা দিক নিয়ে এ পরীক্ষায় পাস করলে শাস্তির মেয়াদ কমানোর সুযোগ পান বন্দিরা, প্রতিবছর ১৬ টা বই পড়তে পারেন ইতালির কারাগারের বন্দিরা।
কারাগারে থেকে বই পড়লে শাস্তির মেয়াদ কমে যায়/যাবে
COMMENTS