শহীদ সাগর ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ লালপুর উপজেলার গোপালপুর ৪ কিলোমিটার উত্তরে ময়না গ্রামে খান সেনাদের এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পরেরদিন পা...
শহীদ সাগর
১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ লালপুর উপজেলার গোপালপুর ৪ কিলোমিটার উত্তরে ময়না গ্রামে খান সেনাদের এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পরেরদিন পাকসেনাদের মেজর রাজা খান চুপিসারে পালানোর সময় স্থানীয় জনগণ তাকে গুলি করে হত্যা করে, এছাড়া ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে পাকসেনা অবতরণ করতে না পারে সে জন্য স্থানীয় মুক্তিকামী জনগণ মিলে বুলডোজার সহ অন্যান্য যানবাহনে বিমানবন্দরের রানওয়ে ভেঙ্গে অকেজো করে দেন।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গোপালপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল তবুও অত্র এলাকার এক চাষীদের স্বার্থে জাতীয় কমিটি চালু রাখার জন্য মিলের সকলে যার যার দায়িত্ব ছিলো।
সেদিন ছিল ৫ মে চারিদিকে থমথমে অবস্থার মধ্যেও মিলের কাজ চলছিল, সকাল ১০টার দিকে লালপুরের ব্যান করা কিছু রাজাকারের সহায়তায় পাক হানাদার বাহিনীর একটি দল অতর্কিতে মিল ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করে এবং ময়নার যুদ্ধ এবং পাক সেনা কর্মকর্তা হত্যা মিথ্যা অভিযোগে তৎকালীন মিলের প্রশাসক জনাব আনোয়ারুল আজিম এবং অন্যান্য কর্মকর্তা, শ্রমিক-কর্মচারীদের দিকে বর্তমান অতিথি ভবন এর সামনে পুকুরের পাশে ব্রাশফায়ারের নির্মমভাবে হত্যা করে পুকুরের পাড়ে ফেলে চলে যায়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর উল্লেখিত হিসেবে নামকরণ করা হয়। যতদূর জানা যায় শহীদ সাগর নামকরণের পূর্বে পুকুরটি গোপাল সাগর নামে পরিচিত ছিল। উল্লেখ্য ১৯৭৩ সালে শহীদ আনোয়ারুল আজিম এর স্মরণে স্থানীয় লালপুর রেল স্টেশনটি আজিমনগর স্টেশন নামে অভিহিত হয়।
দর্শনীয় স্থান গোপালপুর নাটোর শহীদ সাগর কিভাবে যাওয়া যায়
নাটোর সদর থেকে বাস ও অটোরিকশার যোগে যাওয়া যায়।
- অবস্থা - ১৯৭১ সালে লাভপুরে গণহত্যার শিকার সকল শহীদদের স্মরণে নির্মিত
- ধরন - পাবলিক স্মৃতিস্তম্ভ
- অবস্থান - গোপালপুর, লালপুর উপজেলা, নাটোর জেলা, বাংলাদেশ
১৯৭৩ সালের ৫ মে শহীদ সাগরের চত্ত্বরে শহীদদের আনোয়ারুল আজিমের স্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন। স্মৃতিস্তম্ভের পূর্বে রয়েছে শিমুল বাগান, আর পাশেই রয়েছে একটি জাদুঘর ।২০০০ সালের ৫ মে জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়। আর স্মৃতিস্তম্ভের পিছনে রয়েছে দুঃখ সহ স্মৃতিজড়িত সেই শহীদ সাগর, সিড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল, সে সকল জায়গায় প্রতীকী লাল রংয়ের শহীদদের রক্তের চিহ্ন আছে, প্রতিবছর ৫মে শহীদদের স্মরণে নানা আয়োজনে পালিত হয় নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল গণহত্যা।
শহীদদের তালিকা
ইতিহাসের নির্মম গণহত্যা ৪২ জনের নাম জানা যায়, বাকি আরো ছিল তাদের নাম জানা যায়নি যাদের নাম জানা গেছে তাদের তালিকা।
১। অফ ইলেকট্রন মোঃ আনোয়ারুল আজিম মুক্তিযোদ্ধা
২। শহিদুল্লাহ
৩। গোলজার হোসেন তালুকদার
৪। সাইফুদ্দিন আহমদ
৫। আবুল হোসেন
৬। সৈয়দ আব্দুর রউফ
৭। মান্নান ভূঁইয়া
৮। গোলাম কিবরিয়া
৯। নুরুল হক
১০। আজহার আলী
১১। মকবুল হোসেন
১২। আবুল বাশার
১৩। মনসুর
১৪। রহমান
১৫। সাজেদুর রহমান
১৬। ইসমাইল হোসেন
১৭। হাবিবুর রহমান
১৮। মোসাদ্দেক
১৯। মোকছেদুল আলম
২০। আব্দুর রহমান আমিন
২১। মোহাম্মদ আলী
২২। মোজাম্মেল হক
২৩। আব্দুল মান্নান
২৪। ফিরোজ মিয়া
২৫। আক্তার উদ্দিন
২৬। মহরম আলী
২৭। আনারুল ইসলাম
২৮। উল্লাহ
২৯। আব্দুল মান্নান
৩০। কামাল উদ্দিন
৩১। আবুল কাশেম
৩২। আব্দুর রব
৩৩। শামসুল হক
৩৪। আব্দুল মজিদ
৩৫। আবুল কালাম
৩৬। নজরুল ইসলাম
৩৭। আইজুদ্দিন
৩৮। আব্দুর রাজ্জাক
৩৯। তোফায়েল
৪০। মোসলেম উদ্দিন
৪১। শহিদুল্লাহ
৪২। মোহাম্মদ আলী
প্রমুখ আরো অনেকের পরিচয় জানা যায়নি
এ নির্মম গণহত্যা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হলেন
১। মেহমান আলী
২। নওশাদ আলী
৩। খন্দকার ইমাদ উদ্দিন আহমেদ
৪। আব্দুল জলিল শিকদার
৫। তোফাজ্জল হোসেন
আজার আলী
আব্দুর রাজ্জাক
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS