তারুয়া সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ বন ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় তারুয়া সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ বন দর্শনীয় স্থান Tarua beach and mangrove ...
তারুয়া সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ বন ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়
তারুয়া সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ বন দর্শনীয় স্থান
Tarua beach and mangrove forest are places of interest in Charfashan upazila of Bhola district
তারুয়া সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় অবস্থিত একটি সমুদ্র সৈকত, জেলা সদর থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরে তারুয়া সমুদ্র সৈকত এর অবস্থান, ১৩৫ কিলোমিটার পর ১৫কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সেখানে যেতে হয়।
পর্যটন
দর্শনীয় স্থান তারুয়া সমুদ্র সৈকতে পর্যটকরা একই সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন সুবিশাল সহ বিস্তীর্ণ জলরাশি নানা ধরনের পাখিদের কলকাকলি কামোর আর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের দর্শনীয় স্থান ছায়াঘেরা মন করা নিবিড় পরিবেশ সময় কাটানোর সুযোগ, বৈচিত্র্যময় প্রাণী আর সাগরের উত্তাল গর্জন, প্রকৃতি সাজিয়ে তুলেছেন বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার সর্ব দক্ষিনে অবস্থিত ঢালচরের সর্বদক্ষিণে ভূখণ্ড প্রায় ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই তারুয়া সমুদ্র সৈকতের একপাশে বঙ্গবসাগর অন্যপাশে বিস্তীর্ণ চারণভূমি যার শেষ হয়েছে তারা সৈকত সংলগ্ন ম্যানগ্রোভ বনের।
তারুয়া সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ বন Tarua beach and mangrove forest এর অন্যপাশে বিস্তীর্ণ চারণভূমি যার শেষ হয়েছে তারা সৈকত সংলগ্ন ম্যানগ্রোভ বনের দর্শনীয় স্থান হরিণ বানর লাল কাঁকড়া সহ বৈচিত্র্যময় প্রাণী বসবাস এই দ্বীপে, প্রকৃতি নির্জনতা ও মোহনীয় তা যেন আনন্দ করে তোলে নতুন করে বেঁচে থাকার উদ্দীপনা যোগায় তাদের সকল উপকরণ তারুয়া সমুদ্র সৈকতে উপস্থিত,. প্রকৃতির যেন নিজ হাতে এই সৌন্দর্য সাজিয়ে রেখেছে আপন ভঙ্গিমায়।
ইতিহাস ও নামকরণ
৪০থেকে ৪৫ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা সবুজের এই ঢাল চর এলাকা, স্থানীয়রা যখন এই এলাকায় মাছ ধরতে আসতেন তখন শতশত তারুয়া নামের এক প্রকার মাছ উঠে আসত তাদের জালে ধারণা করা হয় সে কারণেই এই এলাকাটি নামকরণ করা হয়েছে তারুয়া ,এখন সবার কাছে তারুয়া সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ বন Tarua beach and mangrove forest নামে পরিচিত।
কি কি দেখবেন
তারুয়া সমুদ্র সৈকত ম্যানগ্রোভ বন গোচারণভূমি জেলে নৌকায় চড়ে বনের মহিষ শিয়ালের হুক্কাহুয়া হাজার অতিথি পাখি তারুয়া সমুদ্র সৈকতে প্রায় তিন হাজার ফুট দীর্ঘ ল্যান্ডিং স্টেশন বানানো হয়েছে যেখানে ট্রলার ও ছোট লঞ্চ হতে পারে, এছাড়া সৈকতে বিস্তীর্ণ প্রান্তর জুড়ে লাল কাঁকড়া ছোটাছুটি বিভিন্ন সৌন্দর্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারুয়া সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ বন Tarua beach and mangrove forest।
তারুয়া সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ বন যাওয়ার উপায় এবং খরচ
ঢাকা সদরঘাট ফারহান অথবা তাফসীর অথবা 3 একই দিনে যথাক্রমে সন্ধ্যা 7:45 এবং রাত 8:30 এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, এক্ষেত্রে ভাড়া 200 থেকে 250 টাকায় নাস্তা সেরে উঠতে চেপে যেতে হবে কচ্ছপিয়া, ভাড়া জনপ্রতি 100 থেকে 120 টাকা, মোটর সাইকেলে গেলে 200 থেকে 250 টাকা ভাড়া পড়বে, এগিয়ে যেতে পারবেন, চর কচ্ছপিয়া থেকে ট্রলারে করে যেতে কুকরি-মুকরি, ভাড়া 40 টাকা, তবে যেতে চাইলে সকাল 11 টা 45 এর মধ্যে থাকতে হবে, ব্যবস্থা করতে পারবেন খুব সহজেই।
এছাড়া থেকে বিকাল ৩ তিনটায় সারাদিন মাত্র একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ভাড়া জনপ্রতি ৩০০ টাকা আপনি চাইলে যেতে পারেন, চরফ্যাশন বাজার থেকে বাস কিংবা অটোতে যেতে হবে, সবাই দেড় ঘন্টা, এরপর থেকে নৌকায় আড়াই ঘন্টা তারুয়া ডাল নৌকা ভাড়া ৩৫০০ থেকে ৪৫০০ টাকা।
খাওয়া-দাওয়া
মহিষের দুধের ছানা ঐতিহ্যবাহী খাবার তাছাড়া পাবেন মহিষের দুধের তৈরি রসগোল্লা প্রাণভরে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারবেন, রূপালী ইলিশ, রান্না কাঁকড়া ।
থাকার ব্যবস্থা
স্থানীয় মানুষজন, এমন কোন বলে তাদের, তাছাড়া কুকরি মুকরি কুকরী-মুকরিতে ইউনিয়ন গেস্ট হাউস পূর্ব অনুমতি নিয়ে এখানেও থাকতে পারেন।
সবচেয়ে ভালো হয় ক্যাম্প করে থাকলে তারুয়া সমুদ্র সৈকতের সাথে রয়েছে দিগন্তবিস্তৃত ঘাস এর সবুজ মাঠ এটা বেশ মজার অ্যাডভেঞ্চার দুধ পাওয়া যায়।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS