জাহাজমারা সমুদ্র দর্শনীয় স্থান Jahajmara sea sightseeing place চারিদিকে সমুদ্রের জলরাশি, সৈকত লাগোয়া জলে মাছ মাস দেড় মাছ দের দল, সাগরের...
জাহাজমারা সমুদ্র দর্শনীয় স্থান
Jahajmara sea sightseeing place
চারিদিকে সমুদ্রের জলরাশি, সৈকত লাগোয়া জলে মাছ মাস দেড় মাছ দের দল, সাগরের ঢেউয়ের তালে তাল ছোট ছোট বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দুটি চোখে পড়ে পাখিদের কলরবে মুখর হয়ে ওঠে লেখা, বালুতে লাল কাঁকড়া ছোটাছুটি, ভাটার সময় সৈকত থেকে যখন নামতে শুরু করে, তখন মিছিল পুরো সমুদ্র জুড়ে আলপনার মতো ছুটে চলে ফুটে ওঠে প্রভাতের পূর্বাকাশে সমুদ্রের বুক চিরে লাল-সবুজ জেগে ওঠা আর সাজ বেলায় পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার মত দৃশ্য যেকোনো জায়গায় দাঁড়ালেই উপভোগ করা যায় সে জায়গাটি হল জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত।
এমন একটি জায়গার নাম জাহাজমারা বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের সুমুদ্দুর বুকে জেগে উঠা এটি, পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের সৌন্দর্যের লীলাভূমি জাহাজমারা shipwreck সৈকতে সম্ভাবনার পর্যটন কেন্দ্র।
মৌডুবী ইউনিয়নের লোকজন লোকজনের সঙ্গে জানতে আগে এলাকার নাম চরহোগলা করুনা ভাইরাসের কারণে গত দু'বছর সমুদ্রসৈকতে ঈদ উৎসব বলতে পারিনি অনেকেই, তারা এবার জাহাজমারা সমুদ্র সৈকতে ঈদ উদযাপন করতে ফিরে এসেছে, ঈদুল ছুটিতে সমুদ্র সৈকত সৈকতের জমে উঠে।
১০ কিলোমিটার এই সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখা যায় হাজারো পর্যটকের ভিড় পুরো সৈকত জুড়ে, সৈকতকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত করতে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসন ও মৌ ইউনিয়নের কার্যালয় থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ৯ নভেম্বর প্রথমবারের মতো জাহাজমারা সৈকতে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছিল ফেষ্টিভেল কুয়াকাটা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা এসেছিল এখানে।
সমুদ্র সৈকতের পাশে রয়েছে বন বিভাগের বনাঞ্চল, বন বিভাগ রাঙ্গামাটি রেঞ্জ কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে জানা যায়, ৫ কিলো দৈর্ঘ্য সৈকতের পূর্ব এক কিলোমিটার সংরক্ষিত, বাজার ১৯৭৫ সংরক্ষিত খেয়া বাবলা বাবলা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছিল, বর্তমানে সংরক্ষিত জাহাজমারা shipwreck বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে।
যেভাবে যেতে হবে
যাতে ঢাকা লঞ্চ রাঙ্গাবালী, পরে কুড়ালিয়া, এই পথে পথের লঞ্চের ভাড়া ১৪০০ ডাবল কেবিন ২০০০ এ ছাড়া বিয়ে লঞ্চ, কুড়ালিয়া ঘাট থেকে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে 20 মিনিটে রাঙ্গাবালী হাজার খেয়াঘাট পৌঁছে যাবেন, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা উপজেলা সদর রাঙ্গাবালীতে আবাসিক হোটেল রয়েছে এবং খাওয়ার ব্যবস্থা, এখান থেকে গিয়ে সারাদিন কাটিয়ে ফিরে আসা যায়।
এছাড়া লঞ্চ কলাপাড়া ভরে লঞ্চগুলো কুড়ালিয়া কলাপাড়া উপজেলা থেকে স্পিডবোটে রাঙ্গাবালী বড় ভাই ইউনিয়নের গাইয়া পাড়া ঘাটে গিয়ে মোটরসাইকেলের জাহাজমারা সৈকতে যাওয়া যাবে এতে জনপ্রতি তিনশো থেকে ৪শো টাকা পর্যন্ত খরচ করবে।
নদীপথে পায়রা বন্দর থেকে ট্রলার ও বিভিন্ন পর্যটন পর্যটকদের যাতায়াত করার ব্যবস্থা রয়েছে, রাঙ্গাবালী কুড়ালিয়া ঘাট পর্যন্ত আগুনমুখা নদীতে ফেরি সার্ভিস এর ব্যবস্থা ও রাঙ্গামাটি হালকার মধ্যে প্রবাহিত দাড়ি ছিল নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এই সেতুটি উদ্বোধন হলে জাহাজমারা shipwreck সমুদ্র সৈকত যেতে আরো অনেক কমায় কম সময় লাগবে।
পর্যটকদের জন্য সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মৌডুবী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সৈকত মিত্রা যাত্রী ছাউনী ইউপি কাজল, কার্যালয়ে এ ছাড়া পানির জন্য সৈকতে বসানো হয়েছে।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS