সোনার চর Golden Char সোনার চর Golden Char বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা অপরূপ প্রকৃতির লীলাভূমি বাংলাদেশের অপার সৌন্দর্যের নাম সোনার চর Gol...
সোনার চর Golden Char
সোনার চর
Golden Char
বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা অপরূপ প্রকৃতির লীলাভূমি বাংলাদেশের অপার সৌন্দর্যের নাম সোনার চর Golden Char। পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষে এই চরের অবস্থান, ১০ হাজার একর আয়তনের চরটি দুর্গম হলেও প্রকৃতিক সৌন্দর্য কোন কমতি নেই ।
নেই কোনো সোনা বঙ্গোপসাগরের এই সৈকতে তবে আছে সোনালী রঙের বালক নিবিড় বনভূমি নয়া অবিরাম সৌন্দের্যের এক নাম সোনারচর Golden Char, মনে হয় যেন কাঁচা সোনার Golden Char প্রলেপ দেওয়া দ্বীপটিতে।
তবে পর্যটকসহ স্থানীয়দের ধারণা কে বা কারা এর নাম সোনারচর Golden Char রেখেছে তার কোন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় না, শেষ বিকেলের এই দৃশ্যের উপর নির্ভর করেই এই চরের নাম সোনারচর Golden Charহয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সাগরে যখন জোয়ারের পানি উথলে ওঠে তখন অন্য এক সৌন্দর্য বিকশিত হয় সোনারচর Golden Char বিকেলবেলা আসলে পরে ছোট বড় ঢেউ পরে ঝুরঝুরে বালি লোনাপানির অরন্যর বিস্তার তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতে যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ রয়েছে মনে হবে প্রকৃতির খেয়াল আপনাকে যেন আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়।
পটুয়াখালী জেলায় ২০০৪ সালে বঙ্গোপসাগরের সাগরের কুল জুরে জেগে ওঠার সোনার চরটি আয়তনের দিক থেকে সুন্দরবনের পরেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল সমুদ্র সৈকত সোনার চর Golden Char ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ২০২৬ হেক্টর আয়তনের এই বনভূমিকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে সরকার একই বছরের ২৬ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় এরপর থেকে বনায়ন শুরু করে বন কর্তৃপক্ষ ।
দূর থেকে দেখলে সোনার চর Golden Char উপর বনের দৃশ্য অবাক করার মতো একটু কাছাকাছি গেলে সহজে চোখে পড়বে মেছো বাঘ ,হরিণ, বানর ,সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী, এছাড়া গাছে গাছে নানা ধরনের পাখি দেখা মেলে যাদের নিশ্চয়ই আপনি মুগ্ধ হবেন, এসব দেখতে হলে খুব সকালে বেরিয়ে পড়তে হবে নৌকা নিয়ে সৈকতে জাকি জাকি পাখি দেখতে হলে খুব সকাল সকাল বেরিয়ে পড়তে হবে অবশ্যই।
সোনার চর Golden Char এ আপনি এখানে বাইরের লোক, বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত করলে তারাও হিংস্র হয়ে উঠবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ, আর আবহাওয়ার পরিবর্তন সমুদ্রকে আড়াল করে তুলতে পারে, এই কারণে শীতের মৌসুমে যাওয়া যখন আবহাওয়া থাকে ক্যাম্পিং এর বিকল্প রাখতে পারেন সমুদ্রের তীরে বিপদ সংকেত আছে কিনা খেয়াল রাখুন খেয়াল না করলে কক্সবাজারের মত আপনাকে সতর্ক করতে এখানে কেউ ছুটি আসবেনা, ছুটে আসবে না এবং এবং কি বিপদে পড়লে বাহিনীর আসতে অনেক সময় লাগবে।
পর্যটন শিল্পে কোন প্যাকেজ টুর বিষয়টি বেশ পরিচিত, পারিবারিকভাবেই তবে সবাই মিলে একসঙ্গে দলবেঁধে ঘুরে বেড়াত কিন্তু কম নয়, ঢাকা থেকে আসা বেশিরভাগ পর্যটন এই জেলার একটি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার এসে ঘুরে চলে যান কিন্তু Golden Char সোনার চর, রুপার চর , জাহাজমারা, তুফানিয়া শিবচর ,সমুদ্রে জেগে ওঠা সবুজ বনাঞ্চলের সন্ধান জানে না অনেকেই, রক্ষণাবেক্ষণ করলে দেশের পর্যটন শিল্পের নতুন মাত্রা, তাই বনাঞ্চলকে পর্যটন মুখী করতে আগে দরকার কোন ব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে নির্মাণ করা জরুরি হোটেল-মোটেল এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS