Maheshkhali sightseeing places মহেশখালী দর্শনীয় স্থান স্থান মহেশখালী পৌরসভা, গোরকঘাটা বাজার সংলগ্ন মহেশখালী, কক্সবাজার কিভাবে যাওয়া...
Maheshkhali sightseeing places মহেশখালী দর্শনীয় স্থান
স্থান
মহেশখালী পৌরসভা, গোরকঘাটা বাজার সংলগ্ন মহেশখালী, কক্সবাজার
কিভাবে যাওয়া যায়
সড়কপথে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হতে আরকান মহাসড়ক পথে সরাসরি চকরিয়া থানার রাস্তার মাথায় হয়ে বদরখালী ব্রিজ পার হয়ে কালারমা ছড়া অথবা শাপলার পুর রাস্তা দিয়ে সরাসরি মহেশখালী উপজেলা প্রশাসকের কার্যালয়/ উপজেলা পরিষদ, কক্সবাজার সদর হতে কস্তুরাঘাট/৬ নরঘাট/ উত্তর নুনিয়াছড়া সরকারি জেটিঘাট হতে স্প্রীডবোড বা কাঠের বোটে করে মহেশখালী জেটি ঘাটে/ আদিনাথ জেটিঘাট সেখান থেকে রিক্সা/ মোটরগাড়ি যোগে উক্ত দর্শনীয় স্থানসমূহ যাওয়া যায়, জলপথে ঢাকা চট্টগ্রাম খুলনা নারায়াঙ্গঞ্জ চাঁদপুর কক্সবাজার হতে জলপথের নৌকা, ইঞ্জিনের মাধ্যমে মহেশখালী জেটি ঘাট/ আদিনাথ জেটিঘাট থেকে রিক্সায়/ মোটরগাড়ি যুক্ত দর্শনীয় স্থানসমূহ যাওয়া যায়, রেলপথে মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই
বিস্তারিত
মহেশখালীতে অনেক দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম শতাব্দীর পুরনো ঐতিহাসিক বুদ্ধমন্দির, রাখাইন সম্প্রদায়ের বৌদ্ধমন্দির দেখার জন্য মহেশখালীতে প্রতিনিয়ত পর্যটকের সমাগম ঘটে, মূল মন্দির আনুমানিক ২৮৩ বছরের পূর্বের নির্মিত হয়, পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুসারে মন্দির সংস্কার এবং মেরামত কাজ করা হয়, সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর ৭ তারিখে বর্তমানে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়, বড় পিতলের মূর্তি টি ১০১ বছরের পূর্বে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ মন্দির স্বর্গীয় এবং গায়িকা স্বর্গীয় দোনিয় স্থাপন করেন, সিমা মন্দিরে দাঁড়ানো মূর্তি সম্পূর্ণ একটি গাছ কে খোদাই করে বানানো, বিরল এই মূর্তিটি আনুমানিক প্রায় একশো বারো বছরের পূর্বেই স্থাপন করা হয়, গাছে খোদাই করা আর কোনও মূর্তি নেই, এ মন্দির স্বর্গীয় স্বর্গীয় দ নিমা,
এছাড়াও এখানে রয়েছে ন্যাশনাল পিস প্যাগোডা কন্যা ওয়াং প্যাগোডা রাশিচক্রের প্যাগোডা লিন্ডা ধর্মীয় পুকুর গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভ এর পরিপূর্ণ স্থানে সাত দিন করে ধ্যানরত ছিলেন, তিনি ষষ্ঠ সপ্তাহ অতিবাহিত কালে এই লিংকটা পুকুরে ধ্যানমগ্ন থাকাকালীন প্রবল ঝড় বৃষ্টি হয়, এইসময় গৌতম বুদ্ধের দেহটিকে ঝড়-বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য নাগ রাজ নিস দেহকে আশ্রম তৈরি করে গৌতম বুদ্ধের মস্তকে রুপোর গয়না আকৃতি করে এক সপ্তাহব্যাপী অবস্থান করছিলেন এ সময় থেকে গৌতম বুদ্ধের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতিবছর রাখাইনরা পুকুরে বর্ষা পালন করে থাকেন।
২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মহেশখালীতে বুদ্ধ লম্বি ৭৫০০ জন এবং পাঁচটি বৌদ্ধমন্দির রাখাইন আবাসিক এলাকাগুলোতে মহেশখালী শাপলাপুর ও ছোট মহেশখালী ঠাকুরতলা রাখাইন যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বড় ধর্ম পালন করে আসছে।
তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়েই ছেলেমেয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিনিয়ত পরিবারের ভরণ পোষণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে, মূলত তারা স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও মহাজনী কারবারি করে থাকেন, এছাড়া ট্রেইলার ছোট ছোট মুদি দোকান তাঁতের কাপড় তৈরি এবং কিছু লোক জেলেদের কাজ করেন, তাছাড়া বেশিরভাগ সচ্ছল মহেশখালীর রাখাইন নারী পুরুষ ধর্মের প্রতি সচেতন, পাবনায় বিভিন্ন দোকান পাট বন্ধ করে ধর্মীয় আচার এর মন দেয়, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব দোল পূর্ণিমা তার আচরিত দিক হলো যেদিন পূজা আরম্ভ হবে সেদিন তারা বিভিন্ন পূজা ঘরে গিয়ে সুগন্ধি পরিবেশন করে এবং গোলাপজল দিয়ে ছোট বড় বৌদ্ধ মূর্তি স্নান করান।
ছোট-বড় রাখাইন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সকলের বুদ্ধ মূর্তির সামনে দুই হাত জোড় করে প্রার্থনারত হন, কারণ সেদিন গৌতম বুদ্ধের জন্ম, নির্বাণ লাভের দিন, আমাদের দিন তাদে ফানুস বাতি, হলো মধ্য কোন, ঝড় তুফান, করা খরা আপদ দূর করার উদ্দেশ্য নারী পুরুষ মিলে ফানুস বাতি উন্নয়ন, এসো নতুন এলে মাই সাজে এলে মাই ও মাই লেলে আইও আইওরে ফিগুরে স্লোগান রাখা এলাকা মুখরিত, পুজোতে অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে তাদের ফানুস বাতিগুলো যদি সঠিকভাবে উন্নয়ন হয় তাহলে তাদের মন খুব ভালো হয়ে যায়।
পূজার সময় তাদের বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন হয় রাখাইনদের আরেকটি বড় উৎসব রাখাইন ভাষার আগ্রহ বা নববর্ষের উৎসব, এই সাংগ্রাই উৎসব এপ্রিল মাসের ১৪/১৫ জলকেলি অনুষ্ঠিত হয়, তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন রংয়ের পোশাক পরিধান করে নাচ গানে মেতে ওঠে, তরুণীর ও বিভিন্ন রকমের ফুলের লাল পানি আলপনা আঁকা ফতুয়া পরিধান করে হাতে পানির পাত্র মেয়ে ছেলেদের পানি নিক্ষেপ করে, এ তিন দিনের অনুষ্ঠানে উভয় লিঙ্গের মধ্যে অন্যরকম ভাবে সৃষ্টি হয় তাদের বৈচিত্র্যময় ও মধুময় গান লোকগীতি এ ছাড়াও অসংখ্য গীতি রয়েছে।
রাখাইনরা নিজের মাতৃভাষায় কথা বলে, ভাষা সংস্কৃতি ও সবদিক থেকে তারা বাংলাদেশের অন্যান্য সম্প্রদায় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং তাদের সংস্কৃতি বিষয়ে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, আমোদপ্রমোদ, রাখাইন যাত্রা, রাখাল জলসা।
রাখাইন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমূহ
রাখাইন নববর্ষ উৎসব জলকেলি উৎসব
এপ্রিল মাসের ১৩ অথবা ১৪ তারিখ ৪ দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরবর্তীতে তিনদিনব্যাপী জলকেলি উৎসব।
বুদ্ধ পূর্ণিমা
মে মাসে অনুষ্ঠান হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল
আষাঢ়ী পূর্ণিমা
অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল আনুস বাতি উড়ানো অনুষ্ঠান এবং জাহাজভাসা অনুষ্ঠান
কার্তিক পূর্ণিমা
নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল পুরো কার্তিক মাস ব্যাপী কঠিন চিরবদান উৎসব অনুষ্ঠান
কোথায় খাবেন
খাওয়ার এমন কোনো ব্যবস্থা নেই, একটি সাথে মুরগি পাওয়া, এছাড়া যাওয়ার পথে শুকনা
খাবার নিয়ে যেতে পারেন।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের sightseeing places মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান sightseeing places রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS