মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ Majidbaria Shahi Mosque Majidbaria Shahi Mosque মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা রয়েছে ...
মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ Majidbaria Shahi Mosque
Majidbaria Shahi Mosque মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা রয়েছে দক্ষিণ অঞ্চলের প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম নিদর্শন মসজিদ বাড়িয়া শাহী মসজিদ,আনুমানিক সাড়ে ৫০০ বছর পূর্বে স্থাপিত এই মসজিদটি সুলতানি আমলের মুসলিম স্থাপত্য ও ঐতিহ্যের গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষী, মসজিদের নাম অনুসারে গৌরবময় ইতিহাসের এই এলাকায় নামকরণ করা হয়েছে মসজিদ বাড়িয়া শাহী মসজিদের শিলালিপি থেকে জানা যায় ১৪৬৫ সালে ইলিয়াস শাহী বংশের নবাব রোকনউদ্দিন আমি মোজাম্মেল খান এই মসজিদটি নির্মাণ করেন।
Majidbaria Shahi Mosque মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ
যা আজও স্মরণ করিয়ে দেয় মুসলিম স্থাপত্য ও ঐতিহ্যের কথা আরে মসজিদের নাম অনুসারে এলাকার নাম হয়েছে মসজিদ বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এর পরিবর্তে ইউনিয়নের নাম মসজিদ বাড়িয়া করেন বলে জানা যায়।
মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদটি - ৫০০ বছরের পুরাতন
মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদটি নির্মিত হয় - ১৪৬৫ সালে
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতান ছিলেন রোকনউদ্দিন তিনি ১৪৪৯ থেকে ১৪৭৪ সাল পর্যন্ত ব্রিহত্তম বাংলা শাসন করেছিলেন তার শাসনামলে অমর কীর্তি ১৪৬৫ সালে নির্মিত হয় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ নামে এক মিস্ত্রি মসজিদটির নির্মান কাজ করেন।
Majidbaria Shahi Mosque মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ
মসজিদে তিনটি দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য খুশি তো মেহরাব পূর্ব দিকে তিনটি এবং ৬৮৪ রয়েছে, একটি বারান্দাযুক্ত মসজিদটির পূর্ব উত্তর দিকে দুটি করে জানালা রয়েছে, জানালার কপাট ও পিলারগুলো অস্থিত্ব ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশাল একটি গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ রড সিমেন্ট ছাড়াই চুনামাটির দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, মসজিদের দেয়াল প্রায় 75 ইঞ্চি পুরু আর মসজিদের দিকে রয়েছে নানা কারুকার্য খচিত মুসলিম স্থাপত্যের প্রাচীনতম নির্দেশনা চোখে না দেখলে এর অকৃত্রিম সৌন্দর্য বোঝা অসম্ভব।
Majidbaria Shahi Mosque মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ
চন্দ্রদ্বীপের নির্মিত এই মসজিদটি ছিলো সেই সময়ের সর্বপ্রথম ইটের নির্মিত স্থাপত্য শিল্প পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড় ও হামদর্দের আক্রমণে মসজিদ এবং আশপাশের জায়গা সুন্দরবনের গভীর অরণ্য সাথে মিশে দীর্ঘদিন জনবসতিহীন হয়েছিল ১৮০০ সালে ভূমি জরিপ করার সময় শাহী মসজিদ স্থানীয়দের নজরে আসে, তখন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে পুরানো স্থাপত্য রীতি অনুসারে মসজিদ সংস্কার করা হয়, বর্তমানে নামাজ আদায় করা ছাড়া প্রতিবছর মসজিদ সংলগ্ন চত্বরে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিল দূর দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের অংশগ্রহণ করেন।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়কপথে পটুয়াখালী যাওয়া যায় সড়ক পথে ঢাকা গাবতলী সায়েদাবাদ থেকে শুরু বিআরটিসি বাসে ঢাকা বরিশাল পটুয়াখালী ঢাকা-আরিচা বরিশাল-পটুয়াখালী রুটে পটুয়াখালী যেতে পারবেন, আর নৌপথে ঢাকা সদরঘাট থেকে এমবি সুন্দর গোপন প্রিন্স আওলাদ এ আর খান সাত্তার খান কুয়াকাটা লঞ্চ সার্ভিস ঢাকা পটুয়াখালী রুটে চলাচল করে পটুয়াখালী শহর থেকে পায়রাগঞ্জ এসে নদী পাড়ি দিয়ে রিকশা বা সাইকেলে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মসজিদে মসজিদে যেতে পারবেন এছাড়াও লঞ্চে বরিশাল বাকেরগঞ্জ থেকে শুরু হয়েছে গাড়িতে চড়ে সরাসরি মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদে যাওয়া যায়
কোথায় থাকবেন
পটুয়াখালীতে অবস্থিত বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের মধ্যে কালিকাপুর আবাসিক হোটেল হোটেল হিলটন হোটেল পানামা ইন্টারন্যাশনাল হোটেল সাফারি হোটেল হোটেল রিয়াজ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য
কোথায় খাবেন
মির্জাগঞ্জের বরিশাল সুবিদখালী রোডের কাছে বেশ কয়েকটি খাবার রেস্তোরা আছে এছাড়া পটুয়াখালী শহরের ছোট ছোট রাস্তার কাছে মোটামুটি ভালো মানের খাবার হোটেল পাবেন
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS