মিস্ত্রীপাড়া রাখাইন পল্লী ও বৌদ্ধ মন্দির Mistrypara Rankine village and Buddhist temple মিস্ত্রীপাড়া রাখাইন পল্লী ও বৌদ্ধ মন্দির Mistryp...
মিস্ত্রীপাড়া রাখাইন পল্লী ও বৌদ্ধ মন্দির Mistrypara Rankine village and Buddhist temple
মিস্ত্রীপাড়া রাখাইন পল্লী ও বৌদ্ধ মন্দির
Mistrypara Rankine village and Buddhist temple
কুয়াকাটার মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির রাখাইন পল্লীগঙ্গামতির চর ঝাউবাগান কুয়াকাটা শুটকি পল্লী
রাখাইন মার্কেট শামুক ঝিনুক মার্কেট সীমা বৌদ্ধ বিহার ইলিশ রাধা কৃষ্ণের মন্দির ফাতরার বন
সোনারচর উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্পট এখন পর্যটকদের ভিড় পর্যটন বিশেষজ্ঞ জানায় পর্যটকদের
চেয়ে আগ্রহ মানুষের আগের চেয়ে বেড়েছে, মানুষ এখন আর নির্দিষ্ট একটি স্থানে বসে থাকে না,
মানুষের ভ্রমণপিয়াসু বেড়েছে, তাই সময় পেলেই ছুটে যায় বিভিন্ন পর্যটন, সেই সুবাদে মিস্ত্রীপাড়া
রাখাইন পল্লী ও বৌদ্ধ মন্দির যেসব প্রকৃতির দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেগুলো মিস্ত্রীপাড়া রাখাইন পল্লী
ও বৌদ্ধ মন্দির একটি অন্যতম দৃষ্টিনন্দন স্থান।
মিস্ত্রীপাড়া রাখাইন পল্লী ও বৌদ্ধ মন্দির পর্যটকদের আগমনে ঘিরে শুধু সাগর সৈকত নয়, জমজমাট
হয়ে উঠেছে হোটেল, মডেল এবং রাখাইন পল্লী দোকানগুলো সেখানে উপচে পড়া ভিড় স্থানীয় সূত্রে
জানা যায় গত নয় মাস পর্যটক শূন্য থাকলেও ডিসেম্বর মাসের পর্যটকের আগমন থাকে বেশি এ
মাসেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহর অঞ্চল থেকে ভ্রমণ বিনোদনের আশায় ছুটে আসেন
পর্যটকরা।
কুয়াকাটা সৈকতের একটি দৃশ্য ছোটন সাহা কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির গত তিনদিন ধরে ঘন কুয়াশার
কারণে সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখা যাচ্ছেনা তবে সূর্যাস্ত দেখা যাচ্ছে আনায়াসে কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর
ট্রাভেল ব্যবসায়ী আবুল হোসেন রাজু জানান ডিসেম্বরে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়
কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে আমরা গাইড স্বল্প খরচে বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের জানাচ্ছি
কুয়াকাটায় কোন সুযোগ সুবিধা অনেক বেড়েছে বলে অনেক খুশি।
পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং টুরিস্ট পুলিশ এর যথাযথ থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর
ঘটনা ঘটেনি বা এমন কোনো খবরও পাওয়া যায়নি কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা
বলেন কুয়াকাটায় পর্যটকদের নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য আমরা অসৎ দৃষ্টি রাখছে খোজ
খবর রাখছি।
আবার যদি বড় রাখাইন পল্লী কথা বলা হয় তাহলে বলতে হবে বড় রাখাইন পাড়া বৌদ্ধ মন্দির
মহেশখালী উপজেলা এটিও দর্শনীয় স্থান দৃষ্টিনন্দন কাটবে আপনার।
তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়েই ছেলেমেয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিনিয়ত পরিবারের ভরণ
পোষণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে, মূলত তারা স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও মহাজনী কারবারি করে থাকেন,
এছাড়া ট্রেইলার ছোট ছোট মুদি দোকান তাঁতের কাপড় তৈরি এবং কিছু লোক জেলেদের কাজ
করেন, তাছাড়া বেশিরভাগ সচ্ছল মহেশখালীর রাখাইন নারী পুরুষ ধর্মের প্রতি সচেতন, পাবনায়
বিভিন্ন দোকান পাট বন্ধ করে ধর্মীয় আচার এর মন দেয়, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব গুলোর
মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব দোল পূর্ণিমা তার আচরিত দিক হলো যেদিন পূজা আরম্ভ হবে সেদিন
তারা বিভিন্ন পূজা ঘরে গিয়ে সুগন্ধি পরিবেশন করে এবং গোলাপজল দিয়ে ছোট বড় বৌদ্ধ মূর্তি
স্নান করান।
ছোট-বড় রাখাইন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সকলের বুদ্ধ মূর্তির সামনে দুই হাত জোড় করে প্রার্থনারত হন,
কারণ সেদিন গৌতম বুদ্ধের জন্ম, নির্বাণ লাভের দিন, আমাদের দিন তাদে ফানুস বাতি, হলো মধ্য
কোন, ঝড় তুফান, করা খরা আপদ দূর করার উদ্দেশ্য নারী পুরুষ মিলে ফানুস বাতি উন্নয়ন, এসো
নতুন এলে মাই সাজে এলে মাই ও মাই লেলে আইও আইওরে ফিগুরে স্লোগান রাখা এলাকা মুখরিত
, পুজোতে অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে তাদের ফানুস বাতিগুলো যদি সঠিকভাবে উন্নয়ন হয় তাহলে
তাদের মন খুব ভালো হয়ে যায়।
পূজার সময় তাদের বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন হয় রাখাইনদের আরেকটি বড় উৎসব রাখাইন
ভাষার আগ্রহ বা নববর্ষের উৎসব, এই সাংগ্রাই উৎসব এপ্রিল মাসের ১৪/১৫ জলকেলি অনুষ্ঠিত হয়,
তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন রংয়ের পোশাক পরিধান করে নাচ গানে মেতে ওঠে, তরুণীর ও বিভিন্ন রকমের
ফুলের লাল পানি আলপনা আঁকা ফতুয়া পরিধান করে হাতে পানির পাত্র মেয়ে ছেলেদের পানি
নিক্ষেপ করে, এ তিন দিনের অনুষ্ঠানে উভয় লিঙ্গের মধ্যে অন্যরকম ভাবে সৃষ্টি হয় তাদের বৈচিত্র্যময়
ও মধুময় গান লোকগীতি এ ছাড়াও অসংখ্য গীতি রয়েছে।
রাখাইনরা নিজের মাতৃভাষায় কথা বলে, ভাষা সংস্কৃতি ও সবদিক থেকে তারা বাংলাদেশের অন্যান্য
সম্প্রদায় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং তাদের সংস্কৃতি বিষয়ে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে,
আমোদপ্রমোদ, রাখাইন যাত্রা, রাখাল জলসা।
রাখাইন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমূহ
রাখাইন নববর্ষ উৎসব জলকেলি উৎসব
এপ্রিল মাসের ১৩ অথবা ১৪ তারিখ ৪ দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরবর্তীতে তিনদিনব্যাপী জলকেলি
উৎসব।
বুদ্ধ পূর্ণিমা
মে মাসে অনুষ্ঠান হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল
আষাঢ়ী পূর্ণিমা
অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল আনুস বাতি উড়ানো অনুষ্ঠান এবং
জাহাজভাসা অনুষ্ঠান
কার্তিক পূর্ণিমা
নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল পুরো কার্তিক মাস ব্যাপী কঠিন চিরবদান
উৎসব অনুষ্ঠান
কখন যাবেন
কেবল নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এই সময়ে আপনি ঢুকতে পারেন ফাতরার চর, আপনি
মাত্র ২৪ ঘন্টা সুযোগ পাবেন ছুটিতে ঘুরতে।
কিভাবে যাবেন
কুয়াকাটা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ডলারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, ইচ্ছে করলে রিজার্ভ করে
যাওয়া যায়, সময় লাগবে দুই ঘণ্টার মত।
কোথায় খাবেন
খাওয়ার এমন কোনো ব্যবস্থা নেই, একটি সাথে মুরগি পাওয়া, এছাড়া যাওয়ার পথে শুকনা
খাবার নিয়ে যেতে পারেন।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS