মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স Mujibnagar Liberation War Memorial Complex মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স Mujibnagar Liberation...
মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স Mujibnagar Liberation War Memorial Complex
মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স
Mujibnagar Liberation War Memorial Complex
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার এর পদ গ্রহণের স্থান হিসেবে মুজিবনগর ঐতিহাসিকভাবেঅত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান, শপথ গ্রহণের স্মৃতিকে ধরে রাখার উদ্দেশ্যে শপথগ্রহণের স্থানে একটি স্মৃতিসৌধ
নির্মাণ করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ১৭ এপ্রিল, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কিছুদিন পর ওই দিনে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলা বর্তমান উপজেলা মুজিবনগর গ্রামে আমবাগানে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বিপ্লবী সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানে আরো তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার লক্ষ্যে উক্ত কমপ্লেক্সে একটি মানচিত্রের
মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সেক্টরকে দেখানো হয়েছে, এই কমপ্লেক্স মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলীর মুলার স্থাপন করা
হয়েছে, সার্বিকভাবে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স, ঐতিহাসিক ঐতিহাসিক ছয় দফার রূপ উপস্থাপনকারী ছয় ধাপে গোলাপ
বাগান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক জীবন্ত প্রদর্শনী হিসেবে বিবেচিত হওয়ার দাবী রাখে।
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স এর ভিতরে অংশ যুদ্ধকালীন কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে, স্মৃতি
কমপ্লেক্স এর বাইরের অংশে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণ মুজিবনগর
সরকারের শপথ গ্রহণ এবং পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের দৃষ্টি সহ আরও ঐতিহাসিক' ঘটনার ভাস্কর্য
স্থাপন করা হয়েছে. উক্ত ভাস্কর্যগুলো কয়েকটি এখানে দেওয়া হলো, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত উক্ত ভাস্কর্যগুলোর
যেকোনো দিগন্ত পর্যটক আকর্ষণ করবে।
মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত
মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন সেক্টরের অবস্থান বাংলাদেশের মানচিত্রে প্রদর্শন করে মানচিত্রটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি
কমপ্লেক্স স্থাপন করা হয়েছে, সুদৃশ্য এই মানচিত্রটি মুক্তিযুদ্ধকালীন
বিভিন্ন স্তরের অবস্থান ও উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্পর্কিত এক মানচিত্র।
একনজরে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স
মুজিবনগর কম্প্লেক্স দাঁড়িয়ে আছে ৮০ একর জায়গার উপর এখানে রয়েছে আম গাছ ১৩০০ তিনটি ধাপে 6 স্তর বিশিষ্ট দুটি গোলাপ
বাগান, বাগানে গোলাপ গাছে ২২০০, এখানে আছে বঙ্গবন্ধু তরুণ, অডিটোরিয়াম, শেখ হাসিনা মন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের
স্মৃতি কেন্দ্র, মসজিদ, হেলিপ্যাড, কংক্রিটের ত্রিকোণ দেওয়ালের সমন্বয় উদীয়মান সূর্যের প্রকৃতিকে প্রকৃতি করে
মুজিবনগর স্মৃতি সদ, প্রশাসনিক ভবন, পেনিস মাঠ, পর্যটন মোটেল, স্বাধীনতা মাঠ, স্বাধীনতা পাঠাগার,
বিশ্রামঘর, পোস্ট অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, শিশু পল্লী, ডরমেটরি, ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ভিত্তিক বাংলাদেশের
মানচিত্র, মুক্তিযুদ্ধের ১১ টি সেক্টরে ভাগ করে দেখানো হয়েছে মানচিত্রে ।
মুজিবনগর আমবাগান
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের সামনেই ঐতিহাসিক আম্মু কানুন, প্রায় ৪০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বাগানের
সহ শতাধিক আম গাছ রয়েছে, ঐতিহাসিক হয়েছিল স্বাধীনতার বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ
অনুষ্ঠান, পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম, ছায়া টাকা পুরনো বাগানে পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত
হয়ে থাকে সবসময়।
আবাসন ব্যবস্থা
মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন হোটেলের আবাসনের ব্যবস্থা আছে, এছাড়া
জেলা পরিষদের ডাকবাংলো তিনটি ভিআইপি কমপ্লেক্স আবাসনের ব্যবস্থা আছে, মেহেরপুর জেলা সদরের
সার্কিট হাউজ এবং টাওয়ার সহ অন্যান্য আবাসিক হোটেলে আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
কিভাবে যাওয়া যায়
মেহেরপুর জেলা সদর সড়ক পথে আম্মা কাননের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার বাস স্থানীয় জান নসিমন-করিমন
এর সাহায্যে ৩০ কিলোমিটার সময়ে ঐতিহাসিক আম্রকানন পৌঁছানো যায় যাতায়াত ভাড়া মেহেরপুর সদর
হতে বাগমারা ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
যেখানে থাকবেন
মুজিবনগরে থাকার জন্য বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন মোটেল মজিবনগর নির্মাণ করা হলেও সেখানে নেই
পানি ও বিদ্যুৎ, তবে মুজিবনগরে আছে মেহেরপুর জেলা পরিষদের বাংলো ডাকবাংলো সূর্যোদয়, কক্ষ খালি
থাকলে সেখানে থাকা যায় মেহেরপুর জেলা সদরে সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে, বাসে স্টেশন ফিল্টার
হোটেল নাইট বিলাস হোটেল এবং সাহাজাদি আবাসিক হোটেল বড় বাজারের কাছে হোটেল অনেক রকমের
হোটেল আছে ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত হোটেল পাওয়া যাবে।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS