ফিফা বিশ্বকাপ FIFA World Cup বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিসরে পুরুষদের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলার আয়োজন The FIFA World Cup is the World'...
ফিফা বিশ্বকাপ FIFA World Cup
বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিসরে পুরুষদের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলার আয়োজন
The FIFA World Cup is the World's largest man's Competitive football event
এই পুরুষদের প্রতিযোগিতা সম্পর্কে, নারীদের প্রতিযোগিতার জন্য ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ দেখুন,
ফিফা বিশ্বকাপ ইংরেজি FIFA World Cup
ফুটবল বিশ্বকাপ, সকার বিশ্বকাপ, অথবা শুধু বিশ্বকাপ নামেও পরিচিত আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যেখানে ফিফা FIFA বা Federation Internationale de Football Association উচ্চারণ ফেদেরাশিও —-------------- সহযোগী দেশগুলোর পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল অংশ নেয়। ফিফা বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ! ১৯৩০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১ ৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ফিফা বিশ্বকাপ FIFA World Cup
- সংখ্যায় কাতার বিশ্বকাপ - ২০২২
- কোথায় খেলা হবে - কাতারের
- ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলে - ২২তম আসর
- অংশ নিচ্ছে - ৩২টি দল
- প্রতিটি দলে থাকছে - ২৬ জনের স্কোয়াড
- কয় টি স্টেডিয়ামে খেলা হবে - ৮টি
- মোট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে - ৬৪টি
- বিশ্বকাপের আসর শুরু হবে - ২০শে নভেম্বর
- বিশ্বকাপের আসর শেষ হবে - ১৮ই ডিসেম্বর
- প্রতিষ্ঠিত - ১৯৩০
- অঞ্চল - আন্তর্জাতিক ফিফা
- দলের সংখ্যা - ৩২
- সবচেয়ে সফল দল - ৫ম শিরোপা ব্রাজিল
খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম
৪৫ হাজার ৪১৬ জন মানুষ একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবে ফুটবল বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে এখানে এটি ১৯৭৬ সালে তৈরি করা হয়, কাতারে পুরুষ ফুটবলের স্টেডিয়াম।
আল জানিয়্যু স্টুডিয়াম
এই স্টেডিয়ামে ফুটবল বিশ্বকাপের মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, অতীতে এটি স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। ঢাকা যায় এবং ভিতর তাপমাত্রা ঠান্ডা করার উদ্ভাবনী ব্যবস্থা আছে, আরবের বিশেষ নৌকার অনুকরণে তৈরি নকশা ছড়িয়ে পড়ার পর এই বিতর্ক শুরু হয়েছিল, ব্রিটিশ দামে জাহাজ হাদীদের নকশা উন্মোচনের পরেই অনেকে অভিযোগ করেন এটি দেখতে নারীদের যৌনাঙ্গের মত।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম
কাতার ফাউন্ডেশন এলাকার মধ্যে আছে এই স্টেডিয়াম, স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ পাকাপাকিভাবে স্টেডিয়াম ব্যবহার করবে, হীরার আদলে তৈরি স্টুডিয়াম এর নাম দেওয়া হয়েছে মরুভূমি, এখানে আছে ৪০ হাজার মানুষ একসাথে দেখতে পারবে এইচটিএমএল খেলা হবে ৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, হীরার মত চকচক করে, গত বছর বিশ্বকাপে ফাইনাল।
আল বায়াত স্টেডিয়াম
ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ সহ মোট ৮ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে, এর মধ্যে একটি সেমিফাইনাল আছে, এতে ৬০ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন, মরুভূমিতে টাঙ্গানো তাবুর মতো দেখতে এই স্টেডিয়াম, কাতারের কেন্দ্রস্থল থেকে সবচেয়ে দূরের স্টেডিয়াম অন্যান্য স্টুডিয়াম এর মত ও পাঁচ তারকা হোটেলের মত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে, দর্শকদের সুবিধা বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আল রাইয়ান স্টেডিয়াম বা আহ্মেদ বিন আলী স্টেডিয়াম
প্রথমে এই স্টেডিয়ামের নাম ছিল আল রাইয়ান স্টেডিয়াম, বদলে করা হয়েছে আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম, কাতারের সংস্কৃতির আদলে তৈরি করা হয়েছে এই স্টেডিয়াম, এই স্টেডিয়ামে ৪০ হাজার দর্শক একসঙ্গে খেলা দেখতে পারবেন, এই স্টেডিয়ামে মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, কাতারের মরুভূমির কাছাকাছি অবস্থিত এই স্টেডিয়াম দেখতেও দৃশ্য তাপমাত্রা এখানে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
আল থুমামা স্টেডিয়াম
স্টেডিয়াম দেখতে টুপির মত, মধ্যপ্রাচ্যের নারীদের একটি বিশেষ টুপি (গাফিয়া)র আদলে তৈরি করা হয়েছে এই স্টেডিয়াম, এখানে মোট ৮টি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে দর্শকরা খেলা দেখতে পারবেন সর্বমোট ৪০ হাজার দর্শক একসাথে।
লুসাইল স্টেডিয়াম
উদ্বোধনী ম্যাচ ফাইনাল সহ মোট ১০টি খেলা হবে এই স্টেডিয়াম, ৮০ হাজার দর্শক স্টেডিয়ামে একসাথে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন, আধুনিক এই স্টেডিয়ামে আছে অনেক সুবিধা, স্টুডিয়াম এর যাবতীয় আসল ও বিক্রি করে দেওয়া হবে, এমন স্টেডিয়াম, কারণ আর নতুন স্টেডিয়াম নাকি দরকার নেই ।
প্রতিযোগিতা
১৯৩০ . ১৯৩৪ . ১৯৩৮ .১৯৫০ . ১৯৩০ .১৯৫৪ ১৯৫৮ . ১৯৬২ . ১৯৬৬ .১৯৭০
১৯৭৪ . ১৯৭৮ . ১৯৮২ .১৯৮৬ . ১৯৯০ .১৯৯৪ ১৯৩০ . ১৯৯৮ . ২০০২ . ২০০৬
২০১০ . ২০১৪ . ২০১৮ . ২০২২ . ২০২৬ . ২০৩০ ২০৩৪ . ২০৩৮
প্রতিযোগিতাটি দুটি ভাগে বিভক্ত, ও চূড়ান্ত পর্ব। কোন দল খেলবে তার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল বাছাই পর্বে অংশ নিতে হয়। বর্তমানে বিশ্বকাপের আগে তিনবছর ধরে প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার ধরন অনুযায়ী ৩২ টি জাতীয় দল চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয় আয়োজক দেশের প্রায় এক মাস ধরে এই চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা চলে। দর্শক সংখ্যা দিয়ে বিশ্বকাপ মূলপর্বে বিশ্বের বৃহত্তম অনুষ্ঠান। ফিফার হিসেব অনুযায়ী ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখেছেন প্রায় ৭১৫.১ মিলিয়ন দর্শক।
এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত একটি জাতীয় দল বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। দ্বিতীয়বার জয়ী ১৯৯৮,২০১৮ । (০৫ )পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতে ব্রাজিল হচ্ছে বিশ্বকাপের সফলতম দল। জার্মানি ও ইতালি ৪টি শিরোপা নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। অন্যান্যদের মধ্যে উরুগুয়ে ২টি শিরোপা প্রথম ১৯৩০ ও চতুর্থ ১৯৫০ বিশ্বকাপজয়ী, আর্জেন্টিনা ফ্রান্স দুবার করে ইংল্যান্ড ও এসপেন একবার করে শিরোপা জিতেছেন।
সর্বশেষ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাশিয়ায়, ২০১৮ সালের ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ,এই বিশ্বকাপে ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া কে ফাইনালে ৪-২ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নেয়।
১৯৯১ সাল থেকে ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজন শুরু করেছে। এটিও সাধারণত বিশ্বকাপের নেয় চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়।
ইতিহাস
পূর্ববর্তী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা
বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা হয়েছিল ১৮৭২ স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যে, প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছিল ১৮৮৪ সালে শুরু হওয়া ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়নশিপ, গ্রেট ব্রিটেন আয়ারল্যান্ড এর ফুটবল খেলা বলতে গেলে অনুষ্ঠিত হতো না, সেই শতাব্দীর শেষের দিকে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এটিকে ১৯০০,১৯০৪ ও১৯০৬ সালের অলিম্পিকে প্রদর্শনী খেলা হিসেবে রাখা হয় তবে এর জন্য কোন পুরস্কার বরাদ্দ ছিল না। ১৯০৮ সালের অলিম্পিকে ফুটবল প্রথম আনুষ্ঠানিক খেলার মর্যাদা পায়। এফ এর পরিকল্পনা অনুযায়ী এই প্রতিযোগিতা ছিল অপেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য এবং এটিকে প্রতিযোগিতার চেয়ে প্রদর্শনী হিসেবেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হতো। ১৯৮ ও ১৯১২ গ্রেট ব্রিটেন যাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিল ইংল্যান্ড জাতীয় অপেশাদার ফুটবল দল জয়লাভ করে।
১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেই ১৯০৬ সালে ফিফা সুইজারল্যান্ড অলিম্পিকের আদল থেকে ভিন্ন একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বয়স তখন অনেক কম এবং হয়তো একারণে ফিফার ইতিহাসে এই প্রতিযোগিতা কে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
অলিম্পিকে অপেশাদার দলের মধ্যে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি স্যার থমাস লিপ্তন ত্রফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন, এটি ছিল বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ক্লাবের জাতীয় দল নয় মধ্য একটি চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা এসব দলের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিল, করে ছিল এজন্য প্রতিযোগিতা প্রতিযোগিতাটি অনেক প্রথম বিশ্বকাপ বলেন।
ফিফা বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের হয়েছিল ১৯৩০ সালে সেই স্টেডিয়ামের ছবি
এতে ইতালি জার্মানি এবং সহ বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা পেশাদার দল অংশ নেন, কিন্তু ইংল্যান্ডের ফুটবল প্রতিযোগিতার সাথে জড়িত থাকতে ও পেশাদার দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায়, ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানান জাছিল কাউন্ট্রি একটি অপেশাদার দল, এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী হয় এবং পরবর্তীতে ১৯১১ সালের প্রতিযোগিতায় শিরোপা ধরে রাখতে সমর্থ হয়, প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুসারে তাদেরকে চিরতরে ট্রফিটি দিয়ে দেওয়া হয়।
১৯১৪ সালে অলিম্পিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ফুটবল প্রতিযোগিতা কে অপেশাদার ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয় এবং এই প্রতিযোগিতায় পরিচালনার দায়িত্ব নেয়, এর ফলে১৯২০ সালে অলিম্পিকে বিশ্বের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, এতে অংশ নেয় তেরোটি ইউরোপীয়ান দল, এতে বেলজিয়াম স্বর্ণ পদক জিতে নেয়, উরুগুয়ে ১৯২৪ ও ১৯২৮ সালের অলিম্পিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ লাভ করে, ১৯২৮ শালা অলিম্পিকের বাইরে আলাদাভাবে নিজস্ব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, ১৯৩০ সালে স্বাধীনতার শত্রু বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে কে ১৯২৪ সাল থেকে ফ্রী ফায়ার পেশাদার যুগ শুরু করে, ফিফা তাদেরকে ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপে স্বাগতিক দেশ হিসেবে নির্বাচন করে।
প্রথম বিশ্বকাপ
স্টাডিও সেন্তেনারিও, মন্তেবিদেও, উরুগুয়ে যে স্টেডিয়ামে ১৯৩০ সালের প্রথম ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় সেই স্টুডিয়াম এর ছবি।
১৯৩২ সালে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে ফুটবলকে না রাখা পরিকল্পনা করা হয় কারণ যুক্তরাজ্যে তখন ফুটবল সকার জনপ্রিয় ছিল না, ফুটবল এর পরিবর্তে ওখানে আমেরিকান ফুটবল রাগবি ফুটবল জনপ্রিয় ছিল, এবং আইওসির মাঝে অপেশাদার খেলার মর্যাদা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়, ফলে ফুটবল অলিম্পিক থেকে বাদ পড়ে, একারণে ফিফার প্রেসিডেন্ট জুলেরিমে১৯৩০ উরুগুয়েতে প্রথম বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন, নির্বাচিত বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুটবল সংস্থাকে এতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, কিন্তু উরুগুয়েতে ইউরোপের আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল সরে আসতে হবে, এজন্য কোন ইউরোপীয় দেশ প্রতিযোগিতা শুরুর আগে ও দল পাঠাতে সম্মত হয়নি, শেষ পর্যন্ত বেলজিয়াম, ফ্রান্স, রোমানিয়া, ও যুগোস্লাভিয়া থেকে জল আনতে সক্ষম হয়, মোট ১৩টি এতে অংশ নেয়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ৬০ টি, ইউরোপ থেকে দুটি ও উত্তর আমেরিকা থেকে দুটি।
প্রথম বিশ্বকাপে প্রথম দুটি ম্যাচ একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় যাতে অংশ নেয় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বেলজিয়াম ফ্রান্স ৪-১ এবং যুক্তরাজ্য ৩-০ ব্যবধানে জয়ী হন, বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম গোল করেন ফ্রান্সের জুলিয়েন লরেন্ত ,ফাইনালে ৯৩,০০০ দর্শকের সামনে উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা কে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব অর্জন করেন।
বিশ্বকাপের বিস্তৃতি
প্রথম দিকের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন এর মূল সমস্যা ছিল আন্তঃমহাদেশীয় যাতায়াত ও যুদ্ধ সংঘটিত সমস্যা, কয়েকটি আমেরিকা দল ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার জন্য ইউরোপে যেতে আগ্রহী থাকলে ওকে বলে দুটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়নি।
১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ প্রথম কোন দল অংশ নেয় এই ভিডিওগুলো ১৯২০ সাল থেকে ফিফা কে বয়কট করে আসছিল, এর একটি কারণ ছিল তৎকালীন বৃটিশ সরকারের সাথে যেসব দেশের যুদ্ধ হয়েছিল তাদের সাথে না খেলার মানসিকতা এবং অন্য কারণটি ছিল ফুটবলের বিদেশি তত্ত্বের বিপক্ষে প্রতিবাদ, তবে তারা ১৯৪৬ সালে ফিফার আমন্ত্রণে সাড়া দেয়, এই বিশ্বকাপে ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপজয়ী উরুগুয়েকে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায় যারা পূর্ববর্তী দুটি বিশ্বকাপ জয় করেছিল ১৯৫০ উরুগুয়ে আবার বিশ্বকাপ জিতে নেয়।
১৯৩৪ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত পর্বে অংশ নিতো, তবে ১৯৩৮ সালে জার্মানি অস্ট্রেলিয়াকে দখল করা এ প্রতিযোগিতায় ১৫ টি দল অংশ নেয় ১৯৫০ ওর নাম প্রত্যাহার করায় এই বিশ্বকাপে 13 টি দল অংশগ্রহণ করে, অধিকাংশ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আগত, অল্প কিছু খেলছে উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া ও এশিয়া থেকে, এসব দল খুব সহজেই ইউরোপীয় ও দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোর কাছে হেরে যেত, ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম পর্বের বাধা অতিক্রম করতে পেরেছে তারা হচ্ছে যুক্তরাজ্য ১৯৩০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ,, ১৯৩৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল উত্তর কোরিয়া ১৯৬৬ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং মেক্সিকো ১৯৭০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল।
১৯৮২ বিশ্বকাপের দলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ২৪ করা হয়, এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে দলের সংখ্যা ৩২ উন্নতি করা হয়, এতে করে আফ্রিকা, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকা থেকে আরও বেশি দল অংশগ্রহণ এর সুযোগ পায়, এক্ষেত্রে মহাদেশ এর ব্যতিক্রম কেন না এখান থেকে কোন দল বিশ্বকাপের সুযোগ পায়নি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব এলাকায় তুলনামূলকভাবে বেশি সফলতা পেয়েছে, এসব এলাকার বিশ্বকাপ নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ দলগুলো হলো মেক্সিকো - ১৯৮৬ সালে কোয়াটার ফাইনাল, এবং ১৯৯৪ ,১৯৯৮,২০০২ ও ২০০৬ সালে নকআউট পর্যায়, মরক্কো, ১৯৮৬ সালে নকআউট পর্যায় ক্যামেরুন - ১৯৯০ সালে কোয়াটার ফাইনাল লিস্ট; নাইজেরিয়া - ১৯৯৪ ও ১৯৯৮ সালে নকআউট পর্যায়; যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ সালে নকআউট ও ১৯৯৪ সালে নকআউট ২০০২ কোয়ার্টার ফাইনাল; দক্ষিণ কোরিয়া,২০০২ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল, জাপান,২০০২ নকআউট পর্যায়; এবং অস্ট্রেলিয়া ও গানা, উভয় ২০০৬ সালে নকআউট পর্যায়, তবে, ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলো এখনো অন্যান্য দলের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে, জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ কুয়াটার ফাইনালে আটটি দল ছিল ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকা।
২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য ১৯৮ টি প্রতিদ্বন্দিতা করেছে এবং ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য রেকর্ড ২০৪ টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
COMMENTS