উত্তরা গণভবন Uttara Ganabhavan উত্তরা গণভবন Uttara Ganabhavan ১৮ দশকে নির্মিত দিঘাপতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তরা...
উত্তরা গণভবন Uttara Ganabhavan
উত্তরা গণভবন
Uttara Ganabhavan
১৮ দশকে নির্মিত দিঘাপতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তরা গণভবন এটি বাংলাদেশের নাটোর শহরে অবস্থিত, নাটোর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে প্রচার টি অবস্থিত, বর্তমানে এটি উত্তরা গণভবন উত্তরাঞ্চলের গভারমেন্ট হাউস নামে পরিচিত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী কে উত্তরা গণভবন নামকরণ করেন।
- দেশ - বাংলাদেশ
- সম্পূর্ণ - ১৮ শতক
- জেলা - নাটক
- স্থাপত্য রীতি - ইন্দো আরবিও স্থাপত্য
ইতিহাস
দিঘাপতিয়া রাজবংশীর প্রতিষ্ঠাতা দয়ারাম রায়, দিঘাপতিয়া রাজবংশীর প্রতিষ্ঠাতা রাজা রাম নাটোর রাজ্যের রাজা রামজীবন এর দেওয়ান ছিলেন।(১৬৮০ - ১৭৬০ ) ১৭৩৪ সালে প্রায় ৪৩ একর জমির উপর দিঘাপতিয়া প্রসাদ এর মূল অংশ ও এর সংলগ্ন কিছু ভবন নির্মাণ করেন। রাজ বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা প্রমথ নাথ রায়ের আমলে ১৮৯৭ সালের ১০ জুন নাটোর ডোমপাড়া মাঠে তিন দিন ব্যাপী বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের অধিবেশনের আয়োজন করেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সহ অনেক এ অধিবেশনে এমন অতিথি যোগ, তবে সেদিন ১৮৯৭ প্রণালী ভূমিকম্প বেবি প্রণালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত রাজা প্রায় সম্পূর্ণ, রাজা প্রমথ নাথ রায় চারিদিক সীমানা প্রাচীর বেষ্টিত রাজ বাড়ির ভিতরে বিশেষ কারুকার্য খচিত মূল ভবন ছোট-বড় ১২টি ভবন নির্মাণ করেন, তিনি ১৮৯৭ সালে বিদেশ প্রকৌশল চিত্র আর আর্মিদের সহায়তা শারে ৪১ একর জমির উপরেই রাজবাড়ীতে পুনরায় নির্মাণ করেন, তিনি মৌঘল প্রাচুর্যের উইকেন্ড রীতি মিশ্রণের কারুকাজ এই ভবন এক বিরল রাজভবন গড়ে তোলে।
নামকরণ
১৮৯৭ সালে দেশ বিভাগের পর দিঘাপতিয়া রাজা দেশ ত্যাগ করেন ভারতে চলে যান,১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাস হওয়ার পর দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা সমাধানে দিঘাপতিয়া রাজস্থানকে ১৯৬৭ সালের ২৪ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান গভর্নর ভবন উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালের 9 ফেব্রুয়ারি এই ভবনের মূল মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করেন, সেই থেকে ভবনটি উত্তরা গণভবনের প্রকৃতি মর্যাদা লাভ করেন।
পিছন দিকে রয়েছে একটিফোয়ারা সহ সুদৃশ্য বাগান, বাগানের এক কোণে রয়েছে প্রমাণ আকৃতি মার্বেল পাথরের তৈরি একটি নারী মূর্তি, ১৯৪৭ অবশ্য এ ভবনের আর কেউ বসবাস করে নি, বর্তমানে এটি একটি দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে উন্মুক্ত রয়েছে।
স্থাপত্য
দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি তে মোট ১২ টি ভবন রয়েছে , এগুলো হলো প্রধান প্রসাদ ভবন, কুমারপ্রসাদ, প্রধান কাছারি ভবন, ৩টি কর্তা রানীবাড়ী, প্রধান ফটক রান্নাঘর, মোটর গ্যারেজ, ড্রাইভার কোয়াটার, স্টাফ কোয়াটার, কোষাগার ভবন সেন্ট্রি বক্স, মূল ভবন সহ অন্যান্য দরজা-জানালা সব মূল্যবান কাঠ দ্বারা নির্মিত।
রাজবাড়ী একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, এর পূর্ব পাশে একটি চারতলা বিশিষ্ট পিরামিড প্রবেশদ্বার আছে, এটির উপরের দিকে একটি ঘড়ি বিশিষ্ট টাওয়ার শেষ হয়েছে, এটি তিন তলা ছাদ সারিবদ্ধ শরবত দুটি বৃত্তাকার আরো একটি বৈশিষ্ট্য মন্ডিত রয়েছে।
দিঘাপতিয়া রাজার বাড়ি প্রসাদপুর, প্রসাদ টি ৩০.৪৮ মিটার দীর্ঘ ফাসাদে সমৃদ্ধ, ইংরেজি অক্ষর এর আদলে নির্মিত সম্মুখভাগে রয়েছে সামনের দিকে ও বিখ্যাত তিনটি বারান্দা আছে, ফাইলের মাধ্যমে ফুল নাটক, প্রশস্ত একটি ঘর আছে এবং এর শীর্ষে একটি প্রকাণ্ড গম্বুজ আছে, কক্ষটির উচ্চতা প্রায় ৭.৬২ মিটার।
এর নিচ দিয়ে ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের আসার ব্যবস্থা রয়েছে, ঘরের মাঝখানে রাজার আমলে তৈরি বেশ কিছু আসবাবপত্র রয়েছে, এছাড়াও হলরুমে কারুকার্য খচিত আছে যাতে একসঙ্গে চার জন্য বুঝতে পারেন, এই সোফায় বসল দেওয়ালে আটকানো বড় আয়নায় প্রত্যেকে প্রত্যেকের দেখতে পেত, উত্তরা গণভবনের উচ্চপর্যায়ে কোন সভা হলে এই রুমেই হত, উপরে রয়েছে ঝাড়বাতি হল রুমের পাশে বড়, পাশে রান্নাঘর থেকে এ করে সরাসরি আসা যায়, এই পাশে একটি রাশি, তার পাশে রাজার ঘরে শোবার ঘর, এ ঘরে এখনো রাজারহাটে আছে, প্রসাদে এই ব্লগ দিতে নয়টি স্বয়ং কক্ষ, একটি অভ্যর্থনা হল, একটি সম্মেলন কক্ষ রয়েছে।
পরিবেশ
প্রসাদ এর ভিতর বহু প্রাচীন ও দুর্লভ প্রজাতির গাছের সমাবেশ বহু রকমের গাছ রয়েছে, ঢাকায় জাতীয় বর্ষণে রোপণকৃত ফুল ও ফলের গাছ এবং বিভিন্ন পুরাতন গাছ এখানে রয়েছে পারিজাত হরিতকী যষ্টিমধু মাধ্যমে তারা নায়িকার নাম সহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে তাদের মধ্যে পরীক্ষা পারে এসব বৃক্ষ সংগ্রহ রয়েছে।
ইতালি ও গার্ডেন উত্তরা গণভবনের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য অংশ বাগানটির রাজারাম ইটালি থেকে নিয়েছিলেন, সিফাতে কালো রংয়ের মার্বেল পাথরের মূর্তি উপভোগ্য বীজগুলো কলকাতা থেকে আনা হয়েছিল, পাহাড়ি কন্যা পাথরের মূর্তি টি একহাতে ভাঙ্গা হাতের কব্জি স্বর্ণ দিয়ে বাঁধাই করা ছিল।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বিভিন্ন রকমের সড়ক পথে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে আপনি বাসযোগে নাটোর জেলা সদরে নামতে হবে। সেখান থেকে আপনি রিক্সা অটোরিক্সা তিন কিলোমিটার রাস্তা আপনাকে ১৫ থেকে ২০ টাকা ভাড়া নিবে যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট ।
কোথায় থাকবেন
কোথায় খাবেন
খাবারের জন্য বিভিন্ন রকমের ছোট বড় হোটেল রয়েছে রেস্তোরাঁ রয়েছে আপনি আপনার ইচ্ছামত দাম জিজ্ঞেস করে যে কোন হোটেলে খেতে পারেন তবে দাম জিজ্ঞেস না করে কোথাও খাওয়া ঠিক হবে না তাই খাবার আগে আপনি কি খাবেন সেটা নির্ধারণ করে হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে দামটা মিলিয়ে নিন ঝামেলা থেকে এড়িয়ে চল।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS