শুদ্ধাচার কি? What is righteousness? সাধারণভাবে আমরা বুঝি নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ এর দ্বারা একটি কালোত্তীর্ণ মান দন্ড...
শুদ্ধাচার কি? What is righteousness?
সাধারণভাবে আমরা বুঝি নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ এর দ্বারা একটি কালোত্তীর্ণ মান দন্ড বিধি ও প্রতি অনুগত বোঝানো হয়, ব্যক্তি পর্যায়ে এর অর্থ হল কর্ম সততা ও চরিত্র নিষ্ঠা।
শুদ্ধাচার কি? What is righteousness?
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিদপ্তর বিভিন্নভাবে শুদ্ধাচার Chastity কে উপস্থাপন করেছেন সব কথার মানে এক কোথায় দাঁড়াবে কেউ কেউ আবার এভাবে শুদ্ধাচার মানে কি? শুদ্ধাচার কি? What is righteousness? এভাবে প্রশ্ন করে থাকেন । তো আমরা আরেক ভাবে উত্তর দিতে পারি। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল গত দুর্নীতি ঠেকাতে নাগরিক জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, এবং সততা নিশ্চিতকরণের সরকার প্রণীত একটি সুশাসন কৌশল।
সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়
প্রধানমন্ত্রীর বাণী
জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এর মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করেছেন, এই দীর্ঘ সংগ্রামের চালিকা শক্তি ছিল একটি সুখী, সমৃদ্ধ, কিন্তু রাষ্ট্রের ৪১ বছরের ইতিহাসে এই স্বপ্ন বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে, পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং মুখ থুবরে পড়েছে, জাতির পিতা শাহাদাত, সামরিক শাসন এবং স্বেচ্ছাচারী, গণবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ক্ষমতা দখল জনগণের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন কে বারবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে, জনগণের জীবন ও এ ধরনের শাসনের কুফল প্রতিফলিত হয়েছে অনুনয়, বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায়, দুর্নীতি এবং সমাজ জাতীয় জীবনের শুদ্ধাচারের Chastity অভাবে, জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ এরপর আমাদের এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, ব্যবহার বিরুদ্ধে এবং রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়।
এই যুদ্ধকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার শাসনামলে একই ধরনের চ্যালেঞ্জ মুখোমুখি হয়েছিল, ১৯৭৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে দেশবাসীকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে হবে, কিন্তু একটি কথা ভুলে গেলে চলবে না চরিত্রের পরিবর্তন না হলে ও অভাগা দেশের ভাগ্য ফেরানো যাবে কিনা সন্দেহ, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও আত্মশুদ্ধি থেকে আমাদের সকলের আত্মসমালোচনা, আত্মসংযম, আত্মশুদ্ধি করতে হবে, আমরা ও আমাদের রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সকল কাজে আত্মশুদ্ধি ও চরিত্রের উপর সর্ব বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আইন-কানুন নিয়ম নীতি পরিকল্পনা ও বিভিন্ন কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তাদের বাস্তবায়ন অব্যাহত আছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে কিন্তু সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কেবল রাষ্ট্রীয় নিয়ম-নীতি আইন-কানুন প্রণয়ন ও প্রয়োগ যথেষ্ট নয় তারজন্য সামগ্রী এবং নিরবিচ্ছিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন প্রতিষ্ঠায় সামগ্রিক উদ্যোগে সহায়ক কৌশল হিসেবে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে।
এই কৌশলটি বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি শিল্প বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান সমূহের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন, নিষ্ঠা আনয়নের জন্য মানুষের জীবন একবারের গোড়া থেকে পরিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে, রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করতে হবে, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ২০১১ - ২০১৫ আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি দমনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছি, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা ২০১০-২০২১ শীর্ষক দলিলে দুর্নীতি দমন কে একটি আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে সবাইকে ।
COMMENTS