বিডিআর স্মৃতিসৌধ BDR Sriti shodh o বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর (১৯৭২ সাল থেকে) দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ৩রা মার্চ ইপিআর এর নতুন নামকরণ ...
বিডিআর স্মৃতিসৌধ BDR Sriti shodho
বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর (১৯৭২ সাল থেকে) দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ৩রা মার্চ ইপিআর এর নতুন নামকরণ করা হয় বিডিআর বাংলাদেশ রাইফেলস রামগড়ে বাংলাদেশ রাইফেলস এর জন্ম গুলোকে একটি মনোরম স্মৃতিফলক রয়েছে যাতে এর ধারাবাহিকতায় ইতিহাস দেওয়ালের চিত্রের মাধ্যমে বিধৃত করা হয়েছে।
বিডিআর স্মৃতিসৌধ BDR Sriti shodho
বর্তমান বাংলাদেশ রাইফেলস এর গোড়াপত্তন হয় রামগড়ে। বাংলাদেশ রাইফেলস এর ইতিহাস নিম্নরূপ। বিডিআর দের সম্মানে তৈরি হয়েছিল বিডিআর স্মৃতিসৌধ।
বিস্তারিত
রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন (১৭৮৯৫ -১৮৬০) ১৭৯৫ সালের ২৯শে জুন রামগড় লোকাল ব্যাটেলিয়ান নামে সৃষ্টি হয় এ বাহিনী। যার সৈন্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৪৮ জন।সীমান্ত সমস্যা বৃদ্ধি পেলে এ বাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘকালীন অভিযানে অংশগ্রহণ করে। ৬ বাউন্ড গুলার ৪টি কামাল ও দুটি অনিয়মিত অশ্বারোহী দল নিয়ে গঠিত হয়। সেদিনের রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন।
- রামগড় লোকাল ব্যাটেলিয়ান নামে এ বাহিনী সৃষ্টি হয় - ১৭৯৫ সালের ২৯শে জুন
- রামগড় লোকাল ব্যাটেলিয়ান পূর্ণ গঠিত হয় -১৮৬১ সালে
- বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ এর নতুন নামকরণ করা হয় -১৮৯১ সালে
- ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস নামকরণ করা হয় - ১৯২০ সালে
- পাকিস্তান রাইফেলস নামকরণ করা হয় - ১৯৪৭ সালে
- বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর নামকরণ করা হয় - ১৯৭২ সালে
ফ্রন্টিয়ার গার্ডস (১৮৬১-১৮৯০) ১৮৬১ সালে পূর্বাঞ্চলের নিয়মিত ও অনিয়মিত পুলিশ বাহিনীর সমন্বয়ে রামপাল লোকাল ব্যাটালিয়ন পূর্ণ গঠিত হয়। যার নামকরণ করা হয় ফ্রন্টিয়ার গার্ডস । সদস্য সংখ্যা ছিল ১৪৫৮ জন এবং সদরদপ্তর ছিল চট্টগ্রাম। যার মধ্যে কামরূপ, গোয়ালপাড়া, লক্ষ্মীপুর, সিলেট ও ত্রিপুরার সীমান্ত ফাঁড়ি গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।১৮৭৯ সালে স্পেশাল রিজার্ভ কোম্পানির নামে এ বাহিনীর তৎকালীন সদস্যগণকে নিয়ে পিলখানায় প্রথম ঘাটি স্থাপন করা হয়। সে থেকে অদ্যাবধি পিলখানা রাইফেল সদস্যদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে।
বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ (১৮৯১- ১৯১৯)১৮৯১ সালে বাহিনীর নতুন নামকরণ করা হয় বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ। ব্যাটেলিয়ানকে ৪টি কোম্পানিতে ভাগ করা হয়। ঢাকা, খুলনা, ভাগলপুর ও গ্যাংটক এ কোম্পানিগুলো স্থানান্তর করে একজন ইউরোপীয় সুবেদারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়।
ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস (১৯২০-১৯৪৬) ১৯২০ সালে কালের বিবর্তনে বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশের পুনরায় নামকরণ করা হয় ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস এবং একে ১৬ টি প্লাটুনে বিভক্ত করে সীমান্ত রক্ষায় এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত করা হয়।
ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (১৯৪৭-১৯৭১) ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এ বাহিনীর নামকরণ করা হয় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা সংক্ষেপে ইপিআর । কলকাতা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর একটি দল এবং তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের ১০০০ প্রাক্তন সৈনিক বাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তীতে আরও তিন হাজার বাঙালি কে নিয়োগ করে এ বাহিনীকে পূর্ণ গঠন করা হয়। দক্ষ নেতৃত্বের এবং দিক-নির্দেশনার প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী থেকে অফিসার নিয়োগ করা হয়। ১৯৫৮ বাহিনীকে প্রদান করা হয় চোরাচালান দমনের দায়িত্বে। দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব ১৯৫৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ নম্বর ব্যাটেলিয়ান অধিনায়ক মেজর তোফায়েল আহমেদ জীবন উৎসর্গ করে তৎকালীন রাষ্ট্রীয় খেতাব নিশাত - ই- হায়দার অর্জন করেছিলেন। প্লাটুন কমান্ডার শহীদ নায়েক সুবেদার মোহাম্মদ আজম অর্জন করেছিলেন সিতারা - ই জরাত। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ অবদানের জন্য এ বাহিনীর ১৪২ জন সদস্য জাতীয় বীরত্বপূর্ণ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। যার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ভূষিত হয়েছেন শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ এবং শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ। বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হয়েছেন ০৯ জল, বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত হয়েছেন ৪০ জন এবং বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হয়েছেন ৯১ জন ।
বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর (১৯৭২ সাল থেকে) দেশ স্বাধীনের পর থেকে ১৯৭২ সালের ৩রা মার্চ ইপিআর এর নতুন নামকরণ করা হয় বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) রামগড়ে বাংলাদেশ রাইফেলস এর জন্ম উপলক্ষে একটি মনোরম স্মৃতিফলক রয়েছে। যাতে বিডিআর এর ধারাবাহিক ইতিহাস দেয়াল চিত্রের মাধ্যমে বিধৃত করা হয়েছে।
স্থান
বিডিআর এর জন্ম সম্পর্কিত ঐতিহাসিক স্থানটি রামগড় উপজেলা পরিষদের পাশে ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।
কিভাবে যাওয়া যায়
বিডিআর এর জন্ম সম্পর্কিত ঐতিহাসিক স্থান রামগড় উপজেলা পরিষদের পাশে ভারতীয় সীমান্ত এর কাছাকাছি অবস্থিত।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS