নিকলী বেড়িবাঁধ ও হাওর একটি দর্শনীয় স্থান কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৮৪ নিকলী বেড়িবাঁধ ও হাওর আনন্দ পেতে চাইলে চলে যান নিকলী হাওর...
নিকলী বেড়িবাঁধ ও হাওর একটি দর্শনীয় স্থান
কিশোরগঞ্জ জেলা
প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৮৪
নিকলী বেড়িবাঁধ ও হাওর
আনন্দ পেতে চাইলে চলে যান নিকলী হাওরে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি বুকের নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর নিকলী হাওর কিশোরগঞ্জ জেলা নিকলী উপজেলায় অবস্থিত। নিকলী উপজেলা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে কিশোরগঞ্জ জেলা অবস্থিত। ঢাকা থেকে একদিনে ঘুরে আসা সম্ভব নিকলী হাওর থেকে, পানিতে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম, স্বচ্ছ জলের খেলা, মাছ ধরতে জেলেদের ব্যস্ততা, খাওয়ার জন্য হাওরে তরতাজা মাছ এই সবকিছুর অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে নিকলী হাওর ভ্রমণ আপনার মনে রাখার মত একটি ভ্রমণ হিসেবে থাকবে। আরো মনে রাখার মত হবে সেটা যদি আপনি সেই হাওরের মাছ কিনে নিয়ে আপনার বাসায় এসে ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে খেতে পারেন খুব সুস্বাদু কিশোরগঞ্জ জেলা নিকলী হাওরে মাছ সেখানে আপনি যে সকল মাছ খুব অল্প দামে কিনতে পারবেন চিংড়ি মাছ, বোয়াল মাছ, দেশি টেংরা মাছ, রুই মাছ, শিং মাছ, কৈ মাছ, ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের মাছ পাওয়া যায় কিন্তু আপনাকে যদি মাছ কিনতে হয় আপনি খুব সকাল বেলা ভারতে যাবেন এবং মাস নিয়ে নষ্ট না করতে চাইলে সকাল সকাল আপনাকে কিশোরগঞ্জের নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে রওনা দিয়ে দিতে হবে তাই ভ্রমণের পূর্বেই মাছ কিনবেন না যেদিন আপনি আসবেন সেদিন মাছ কিনে রওনা দিবেন তাহলে আপনার মাছ ভালো থাকবেন।
নিকলী ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
হাওরে পানির রূপ দেখতে চাইলে আপনাকে বর্ষা বা তারপর যেতে হবে ।আপনি যদি মাছ ক্রয় বা ওখানে তরতাজা মাছ খেতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে শীত মৌসুম। অতএব আপনি নিকলী ভ্রমণে যেতে চাইলে এখানে বারোমাসি ভ্রমণের এবং দর্শনীয় স্থান বলা যেতে পারে তাই বছরে যেকোনো সময় আপনি নিকলী ভ্রমণে আসতে পারেন তবে আপনি যদি নৌকা ভ্রমনের ইচ্ছা করেন তাহলে আপনাকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আসতে হবে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা কিশোরগঞ্জ জেলার আশপাশ থেকে একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন নিকলী হাওরে ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে দুভাবেই যাতায়াতের ব্যবস্থা আছে আপনি যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর প্রভাতী ট্রেনে আসতে হবে এগারসিন্দুর প্রভাতী বুধবার ছাড়া সাপ্তাহিক বাকি ছয় দিন কমলাপুর স্টেশন থেকে সকাল টায় এ ছেড়ে বিমানবন্দর টঙ্গী নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ ট্রেনের টিকিট এর ভাড়া বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে তবে সাধারনত ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত জনপ্রতি।
কিশোরগঞ্জ সদর থেকে গচিহাটা স্টেশনে নামতে হবে ঢাকা থেকে ট্রেনে রওনা দিলে আপনার সকাল ১১ টার মত গচিহাটা স্টেশনে আসতে পারবেন স্টেশন থেকে ইজিবাইক অথবা সিএনজি দিয়ে সহজেই যেতে পারবেন ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে নিকলী বাজার ইজিবাইকে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ভাড়া নিবে আর যদি আপনি রিজাভ যেতে চান তাহলে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া নিবে সময় লাগবে এক ঘন্টা।
আপনি যদি ঢাকা থেকে বাসে যেতে চান তাহলে আপনাকে ঢাকা গোলাপবাগ থেকে যাতায়াত অথবা অন্য অন্য সুপার সার্ভিস বাসে আসতে পারবেন প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে ১০ মিনিট পর পর বাড়ি আসে বাসে আসলে সবথেকে ভালো হবে কিশোরগঞ্জের আগেই কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে নেমে ওখান থেকে ২২ কিলোমিটার নিকলী যেতে আপনাকে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে সিএনজিতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘন্টা।
কোথায় খাবেন
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বিভিন্ন রকমের খাবারের হোটেল রয়েছে তার মধ্যে হোটেল সেতু ক্যাফে ঢেউ উল্লেখযোগ্য হারে তাজা মাছ ও নানা প্রজাতির মাছ আপনি ওখানে খেতে পারবেন ১০০ থেকে ২০০ টাকার মত পেট ভরে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
কোথায় থাকবেন
নিকলীতে আপনার থাকার জন্য উপজেলা ডাকবাংলা এবং চেয়ারম্যানের গেস্ট হাউস তবে ছোট ছোট কিছু বোর্ডিং আছে নিকলীতে থাকার মত উন্নত মানের ভাল কোন আবাসিক হোটেল নেই, তবে কাজ চলমান আছে খুব তাড়াতাড়ি উদ্বোধন হবে ওখানে গিয়ে আপনাকে কিশোরগঞ্জ শহরে চলে আসতে হবে সেখানে বিভিন্ন রকমের হোটেল-মোটেল রয়েছে।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS