অষ্টগ্রাম মিঠামইন রোড দর্শনীয় স্থান কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৮৪ অষ্টগ্রাম মিঠামইন রোড কিশোরগঞ্জ জেলার সবটুকুই হাওর অঞ্চল তার মধ্য...
অষ্টগ্রাম মিঠামইন রোড দর্শনীয় স্থান
কিশোরগঞ্জ জেলা
প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৮৪
অষ্টগ্রাম মিঠামইন রোড
কিশোরগঞ্জ জেলার সবটুকুই হাওর অঞ্চল তার মধ্যে ০৪ চারটি উপজেলা নিকলী, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, ও ইটনা অঞ্চল গুলোতে বর্ষাকালে পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকে। বর্ষার শেষে ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করে। আর হাওর এলাকায় মাছে মাছে পরিপূর্ণ হয়ে যায় হাওর এলাকায় জেলেদের কাছে। এবং যখন পানি কমতে থাকে তখন রাস্তাগুলো ভেসে ওঠে।
হাওর এলাকার মানুষের কাছে একটা কথা প্রচলিত ছিল যে সুখনার পাও আর বর্ষাকালের নাও ।মানে হচ্ছে শুকনা কালের পায়ে হেঁটে চলাচল করা যায়, এবং বর্ষার মৌসুমে নৌকায় চলাচল করতে হয়।
কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চলের নিকলী বেড়িবাঁধ করিমগঞ্জ বালিখোলা অষ্টগ্রামের প্রচুর মানুষ ঘুরতে আসে বর্ষাকালে দূর-দূরান্ত থেকে চারপাশের সমান হাসির মেলা বর্ষায় হাওর ভ্রমণ খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে অষ্টগ্রামের মিঠামইন রোডের দৃশ্যগুলো।
তবে শুধু বর্ষার মৌসুমে নয়, অষ্টগ্রাম মিঠামইন উপজেলার সংযোগের জন্য ৪৭ কিলোমিটার উঁচু পাকা সড়ক অলওয়েদার রোড চালু হওয়ায় শীতে শুকনো মৌসুমে হাওড়া বিভিন্ন রূপ দেখার জন্য ঘুরতে পারেন হাওর অঞ্চল গুলো, সাম্প্রতিক সময়ের কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সাথে ইটনা মিঠামইন উপজেলা যোগাযোগের জন্য ফেরি চালু হয়েছে শুকনো সময় অর্থাৎ অক্টোবর থেকে এপ্রিল এই সময়ে কিশোরগঞ্জ থেকে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে ইটনা-মিঠামইনের মত এলাকায়। গ্রামের রাস্তা দিয়ে সারা বছরই চলাচল করা যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন বর্ষার মৌসুমে গেলে চারিপাশ যেন পানিতে থৈ থৈ করে, পানি নামার সাথে সাথেই সেই জায়গায় কি আবার ধানের সবুজ রাজ্য কিংবা ধান পেকে গেলে সোনালী রাজ্যে পরিণত হয়, এই বিভিন্ন রূপ সৌন্দর্যের দেখতে একবার বর্ষা শীত শুকনো মৌসুমে কিশোরগঞ্জ হাওর ঘুরে দেখে যেতে পারেন দৃষ্টিনন্দন এই স্থানটি আপনার মনে রাখার মত একটি জায়গা এখানে আপনি বিভিন্ন রকমের তরতাজা মাছ খাবারের জন্য পেয়ে যাবেন।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে দুই ভাবে যাওয়া যায় আপনি ট্রেনেও যেতে পারেন আবার বাসে ও যেতে পারেন আর ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতেই পারে আপনি যদি ট্রেনে যান তাহলে আপনাকে নামতে হবে বাজিতপুর বাজিতপুর নেমে আপনি এখানকার স্থানীয় যানবাহন সিএনজি অটোরিক্সা করে আপনি অষ্টগ্রাম মিঠামইন যেতে পারবেন ঢাকা থেকে আপনি খুব সকাল বেলা রওনা দিয়ে যে সকল ট্রেন গুলো পাবেন এগারসিন্দুর প্রভাতী ট্রেন এই ট্রেনটি সকালবেলা আসার জন্য। আবার আপনি যদি বিকেলে কিশোরগঞ্জ থেকে ব্যাক করতে চান তাহলে আপনাকে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা পৌঁছাতে পারবেন। আবার আপনি যদি বাসে আসতে চান তাহলে আপনাকে কিশোরগঞ্জ গামী কুলিয়ারচর নেমে সেখান থেকে সিএনজি দিয়ে বাজিতপুর দিঘির পারে অথবা সরাসরি যেতে পারবেন ফিরতি পথে আবার কুলিয়ারচর থেকে বাসে ঢাকায় ফিরে যাবে।
কি দেখবেন
৪০০ বছরের পুরনো ৫ গম্বুজ বিশিষ্ট কুতুবপুর গ্রামে অবস্থিত। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এর গ্রামের বাড়ি সেই দেখে আসতে পারেন।
কোথায় খাবেন
অষ্টগ্রাম বা মিঠামইন বাজারে মোটামুটি বিভিন্ন মানের খাবারের হোটেল রয়েছে রয়েছে হাওরের তাজা মাছ নানা ধরনের মাছ পাবেন বিভিন্ন রকমের হোটেল রেস্টুরেন্ট রয়েছে খাবারের জন্য কিশোরগঞ্জে আপনি লাকড়ি দিয়ে রান্না করা খাবার পাবেন এবং সে খাবারের টেস্টি ভিন্ন রকম।
কোথায় থাকবেন
অষ্টগ্রাম মিঠামইন সরকারি ডাকবাংলো রয়েছে সেখানে থাকতে পারেন আবার যদি কম খরচে বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে হাউর ঘুরে সুন্দর রিসোর্ট প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন মিঠামইন অষ্টগ্রাম মোটামুটি ভালো মানের বাজেটে হোটেল আছে সেখানে থাকতে পারেন।
ভ্রমণপিয়াসু বন্ধুদের যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তারা আমাদের এই পেজটি কে ফলো করতে পারেন আমরা সারা বাংলাদেশে কোথায় কোথায় ভ্রমণের স্থান রয়েছে আমাদের এই পেজটিতে পাবেন আর যদি জেলে যায় নাম আপনারা পাবেন না আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS