গোপীনাথপুর মন্দির জয়পুরহাট গোপীনাথপুর মন্দির গোপীনাথপুর মন্দির বা গোপীনাথ ঠাকুরের মন্দির জয়পুরহাট জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি প্রা...
গোপীনাথপুর মন্দির জয়পুরহাট
গোপীনাথপুর মন্দির
গোপীনাথপুর মন্দির বা গোপীনাথ ঠাকুরের মন্দির জয়পুরহাট জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি প্রাচীন প্রত্ন নিদর্শন ও হিন্দু মন্দির। এটি ৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মন্দির। ঐতিহাসিক পর্যটন স্থান হিসেবে গোপীনাথপুর মন্দির বেশ পরিচিত। যতদূর জানা যায়, আজ হতে ৫০০ বছর পূর্বে ভারতের নদীয়া জেলার শান্তিপুর প্রভুপাদ আদিত্য গোস্বামী সবসময় ঈশ্বরের ধ্যান করতেন। তার স্ত্রী সীতাদেবী ও ছিলেন সতী-সাধ্বী নারী। একদিন ২৪ পরগনার যুবক নন্দকুমার এবং নদীয়া জেলার আরেক যুবক জয় প্রভুপাদ আদিত্য গোস্বামী শিক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে অর্থ গোস্বামী মহোদয় সব কথা শুনে তাদেরকে সীতাদেবীর কাছে পাঠান। সীতাদেবীর ধ্যানযোগে জানতে পারেন যে, এই যুবকেরা পূর্বজন্মে জয় ও বিজয় নামের ২০০ কি ছিল।
গোপীনাথপুর মন্দির কোন জেলায় অবস্থিত - জয়পুরহাট জেলায় অবস্থিত
গোপীনাথপুর মন্দির কত বছরের পুরনো - ৫০০ বছরের পুরনো
সীতাদেবী ছিলেন - সতী-সাধ্বী নারী
গোপীনাথপুর মন্দির এর প্রতিষ্ঠাকাল - ১৫২০ হতে ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে
ভূমিকম্পে মন্দিরটি ভেঙে পড়ে - ১৩০৪ সালে
পুনরায় নির্মাণ করা হয় মূল মন্দিরটি - ১৯২৮ হতে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে
গোপীনাথপুর মন্দির উচ্চতা - ৫০ফুট
দোল পূর্ণিমাতে এই মেলা চলে - ১৩ দিন ধরে
তখন সীতাদেবী যুবকদের মাথা ন্যাড়া করে স্নান করে আসতে বলেন। সীতাদেবীর নির্দেশমতো কাজ শেষ করে এলে তিনি তাদের ভিক্ষা দেন। সীতাদেবী নন্দকুমার এর নাম নন্দিনী এবং যশোরের নামে জঙ্গিলি রাখলেন। নন্দিনী প্রিয়া বরেন্দ্র এলাকায় বর্তমান জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে এক কিলোমিটার উত্তরে গভীর জঙ্গলে নদীর ধারে একটি মন্দির স্থাপন করেন। জনশ্রুতি আছে যে ১৫২০ হতে ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ নন্দিনীর পূজার বল অতিথিসেবা কথা শুনে খুশি হয় তার লিখে পূর্ণ গোপীনাথপুর ও গোপাল পুর মৌজার সব সম্পত্তি হিসেবে প্রদান করেন। এরপর পূর্ণ গোপীনাথ মন্দির নির্মিত হয়। পাল যুগের নির্মাণ কৌশল অনুসারে মন্দির মন্দিরটির কাঠামো। বাংলা ১৩০৪ সালে ভূমিকম্পে এ মন্দিরটি ভেঙে পড়ে। ১৯২৮ হতে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বর্তমান মূল মন্দিরটি পুনরায় নির্মাণ করা হয়। এখনো পুরাতন কারুকার্যের কিছু কিছু নমুনা মূল ভবনে রয়েছে।
অবস্থান
গোপীনাথপুর মন্দির উচ্চতা ৫০ ফুট। বর্তমানে এটি প্রত্নস্থলের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থনায় স্থল। এখানে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আরতি এবং মধ্যাহ্নের অন্নভোগ দেওয়া হয়। দূরদূরান্ত থেকে ভ্রমণপিয়াসু ও সৌন্দর্য পিপাসু ব্যক্তিবর্গ এখানে প্রতিনিয়ত আগমন করেন। তাই পিকনিক স্পট হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেছে দর্শনীয় স্থান হিসেবে তো আছেই।
মেলা
প্রতি বছর দোল পূর্ণিমাতে এখানে মেলা বসে এবং ১৩ দিন ধরে এই মেলা চলে। মেলাটি শুরুতে মাসব্যাপী চলত । শুরু থেকেই মেলাটি ঘুরার জন্য প্রসিদ্ধ। প্রতিবার নেপাল, ভুটান, ভারত, পাকিস্তান পাকিস্তানসহ বিভিন্ন উন্নত ঘোড়া।
- গোপীনাথপুর ইউনিয়নের মন্দিরের তালিকা নিম্নরূপ
- গুসাইস্থল নুয়ামুড়া স্থল শ্রীশ্রী সনাতন মন্দির
- চন্ডীদার শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ সেবা মন্দির
- চন্ডীদার শ্রীশ্রী কালী মন্দির
- চন্ডীদার শ্রীশ্রী ভগবান মন্দির
- দৌলতপুর শ্রীশ্রী কালী মন্দির
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS