দিঘলিয়া ঝুলন্ত ব্রিজ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা দিঘলিয়া ঝুলন্ত ব্রিজ ১৯৭০ সালে সরকার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা কে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে।১...
দিঘলিয়া ঝুলন্ত ব্রিজ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা
দিঘলিয়া ঝুলন্ত ব্রিজ
১৯৭০ সালে সরকার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা কে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে।১৯৮৬ সালে জেলা সদরে সরকারি পর্যটন হোটেল, মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্স স্থাপন করে এবং সেখানে ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্য ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করা হয়। পর্যটকদের আকর্ষণের কাপ্তাই হ্রদের দুটি পাহাড়ের মাঝখানে পারাপারের সুবিধায় সেতুটি নির্মাণ করে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন। সেতুটি বর্তমানে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আকারে পরিচিতি লাভ করেছে। ঝুলন্ত সেতুর পূর্ব দিকে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশি রয়েছে ছোট-বড় নৈসর্গিক সবুজ পাহাড়।
শিশিরভেজা শরতের আগমনী দিয়েই রাঙ্গামাটিতে জমে ওঠে পর্যটন মৌসুম। দেখা মেলে ভ্রমণপিয়াসু লোকজনের। ঝুলন্ত সেতুতে পদচারণা ঘটে বিপুল পর্যটক এর। শুক্র-শনি সহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে মুখর হয়ে ওঠে রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো। তবে সরকারি নির্দেশনা স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য কথা রয়েছে।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা কে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে সরকার - ১৯৭০ সালে
সরকারি পর্যটন হোটেল, মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্স স্থাপন করে - ১৯৮৬ সালে
ঝুলন্ত সেতুর দৈর্ঘ্য - ৩৩৫ ফুট
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, আরো খুলে দেওয়া হয়েছে বাঘাইছড়ির সাজেক রিসোর্ট ও কটেজ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় দিঘলিয়া ঝুলন্ত ব্রিজ অবস্থিত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে ঝুলন্ত ব্রিজ রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ দেখার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী সেখানে ভিড় করেন।
কোথায় থাকবেন
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় থাকার জন্য সার্কিট হাউজ থেকে শুরু করে ছোট-বড় অনেক ধরনের হোটেল-মোটেল রয়েছে সেখানে আপনি ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত থাকতে পারবেন।
কোথায় খাবেন
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় দিঘলিয়া ঝুলন্ত বিরিজ দেখতে গিয়ে আপনারা দিগলিয়া ঝুলন্ত ব্রিজের আশেপাশে অনেক ছোট-বড় খাবারের হোটেল রয়েছে এবং সেখানে অনেক হোটেলেই পাবেন বিন্নি ধানের চাউল সেই চাউল অনেক হোটেলে খেতে পারবেন এটি একটি পাহাড়ি ধানের চাউল এই বিন্নি ধানের চাউলের ভাত খুব সুস্বাদু এবং মিষ্টি হয়।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে যাওয়ার জন্য আপনি ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন আবার বাসে চড়ে যেতে পারেন ঢাকা থেকে গাবতলী সায়েদাবাদ কল্যাণপুর থেকে বিভিন্ন বাস রয়েছে তবে ঢাকা থেকে অথবা অন্য যেখান থেকেই যান না কেন আপনারা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গেলে বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখতে পারবেন খুব অল্প সময় তাই আমি পরামর্শ করব আপনারা ১০/১২ জন মিলে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে একসাথে ভ্রমণ করতে, আনন্দ করতে এটার মজাই আলাদা।
দিঘলিয়া ঝুলন্ত ব্রিজছাড়াও খাগড়াছড়ি এর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে
রিসাং ঝর্ণা
বিডিআর সৃতিশোধ
আলুটিলার সুড়ঙ্গ
হটিকালচার পার্ক
দেবতার পুকুর
তৈদু ছড়া ঝর্ণা
হাতিমাথা পাহাড়
মানিকছড়ি মং রাজবাড়ী
রাবার ড্রাম
পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির
নিউজিল্যান্ড পাড়া
শতবর্ষী বটবৃক্ষ
ঠান্ডা ছড়া ঝর্ণা
তৈলাফাং ঝর্ণা
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS