পাথরঘাটা জয়পুরহাট পাথরঘাটা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলা হতে ৫ কিলোমিটার পূর্বে তুলসী গঙ্গা নদীর পশ্চিম পাশে প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ ...
পাথরঘাটা জয়পুরহাট
পাথরঘাটা
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলা হতে ৫ কিলোমিটার পূর্বে তুলসী গঙ্গা নদীর পশ্চিম পাশে প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ পূর্ণ এলাকার নাম পাথরঘাটা। প্রায় ৯/১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অসংখ্য প্রাচীন কীর্তি মধ্যপ্রাচ্যের ভগ্নাংশে খোদাই-করা শিলালিপি, বিশাল গ্রানাইট পাথরের খণ্ডঘোষ এর জন্যই সম্ভবত এলাকাটি পাথরঘাটা বলে পরিচিত। পাথরঘাটার মূলকেন্দ্র মাত্র ২০০ প্রাচীনকালে চার পার বাঁধানো একটি ও গভীর জলাশয় আজও কালের সাক্ষী হয়ে আছে। পুকুরের পূর্বদিকে খ্রিস্টান মিশনারী অত্যাধুনিক একাধিক ভবন নির্মাণ করে স্থানটির নাম অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। ভবনগুলি নির্মাণকালে খননের সময় অসংখ্য পুরাকীর্তির ভগ্নাবশেষ বের হয়েছে যা সংগ্রহশালায় সুরক্ষিত আছে। তুলসী গঙ্গা নদীর উচু পাহাড় হতে প্রায় ১৮ ফুট নিচে পর্যন্ত পাথর দিয়ে বাঁধানো প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। অনুমান করা হয় তুলসী গঙ্গা নদীর সৃষ্টির ফলে প্রাচীন এই বিশাল নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমান খ্রিস্টান মিশন এর পশ্চিম দিকে একই স্থানে ৯টি পুকুর রয়েছে। আর এজন্যই স্থানটির নাম নওপুকুরিয়া হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। ধারণা করা হয় এই নওপুকুরিয়া তে ঐতিহাসিক পাথরঘাটার প্রাচীন প্রশাসনিক আবাসিক ভবন ছিল। পাথরঘাটা স্থানীয়ভাবে মহিপুর নামেও পরিচিত। বংশীয় রাজা প্রথম মহিপাল ৯৮৮ থেকে ১০৮৩ এর নাম অনুসারে স্থানটির নাম মহিপুর হয়েছে বলে কিংবদন্তি চালু আছে।
পাথরঘাটা জয়পুরহাট জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি প্রাচীন নগরী ও অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল । এটি জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পাথরঘাটা নামক স্থানে অবস্থিত। পাথরঘাটা প্রত্নস্থল বেশ কয়েকটি প্রত্ন সম্পদের সমষ্টি।এটি উপজেলা সদর থেকে ৬.৪৪ কিলোমিটার পূর্বে তুলসী গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। তুলসী গঙ্গা নদীর উভয় তীরে এই প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
ইতিহাস
পাথরঘাটাল প্রত্নস্থলের মোট আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কিলোমিটার। খনন কাজের সময় তুলসী গঙ্গা নদীর উপর দিয়ে একটি পাথরে তৈরি প্রাচীন সেতুর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। এখানে ও সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণ কাজ চলাকালে প্রত্ন নিদর্শন বিভিন্ন ও অসংখ্য প্রশ্ন বস্তুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখানকার প্রত্নতান্ত্রিক স্থাপনা গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মিশন, উচাই, বাহারাম্পুর, কাশিয়াবাড়ী, কুসুম্বা, গাংগুরিয়া, ও বিধি গ্রাম একাধিক দিবি এবং নিমাই শাহের মাজার, বদ এর ধাপ, সাঁওতাল পাড়া।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় খননের ফলে আবিষ্কৃত হয়েছে নিচের অংশ, প্রাচীন ইটের টুকরা, পোড়ামাটির বস্ত্র, ভাস্কর্য সহ আরো অনেক কিছু। এছাড়াও লহু খন্ড চুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু জিনিসপত্র।
বর্তমান পাকিস্তানের তৃতীয় দ্বিতীয় শতকের মৃৎপাত্রের টুকরা টুকরা পাওয়া গিয়েছে। এদিকে অনেকেই ধারণা করেন পাথরঘাটা নগরীটি সম্ভবত গড়ে উঠেছিল খ্রিস্টীয় প্রথম বা দ্বিতীয় শতকের। সেই হিসেবে এর বয়স ২ হাজার বছর বা তার কাছাকাছি হতে পারে। এছাড়াও এখানে গুপ্ত পাল যুগের আবিষ্কৃত হয়েছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে সুলতানি যুগের একটি মাজার মাজার নামে ও স্থানীয়দের কাছে পরিচিত।
বিভিন্ন অঞ্চলে খ্রিস্টীয় চতুর্থ পঞ্চম শতকের গুপ্ত যুগের ও কৃষ্টি অস্ত্র যুগের থেকে দাস পাল যুগের সময়কাল বিভিন্ন শিল্প সামগ্রী পাওয়ার কথা জানা যায়। প্রাচীন নগরী বিভিন্ন যুগের শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চা করা হয়।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS