কিশোরগঞ্জ জেলার ৩২টি দর্শনীয় স্থানসমূহ কি কি জানুন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৮৪ দর্শনীয় স্থানসমূহের নাম কিশোরগঞ্জ জেলা সমূহের বিস্ত...
কিশোরগঞ্জ জেলার ৩২টি দর্শনীয় স্থানসমূহ কি কি জানুন
কিশোরগঞ্জ জেলা
প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৮৪
দর্শনীয় স্থানসমূহের নাম
কিশোরগঞ্জ জেলা সমূহের বিস্তারিত ইতিহাস
ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশ মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের সর্বশেষ জেলা। উজান ভাটির মিলিত ধারা, নদী হাওরে মাছ ধরা কিশোরগঞ্জ জেলার ব্রান্ডের নাম। ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় বৃহৎ জেলা কিশোরগঞ্জ। কিশোরগঞ্জ জেলার ভৌগোলিক আয়তন প্রায় ২,৬৮৯ বর্গ কিলোমিটার । কিশোরগঞ্জ জেলায় (১৩) তেরোটি উপজেলা রয়েছে।কিশোরগঞ্জ জেলা পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা ও গাজীপুর জেলা, উত্তরে নেত্রকোনা জেলা উত্তর পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিনে নরসিংদী জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা । ১৩৫ কিলোমিটার রাজধানী ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ এর দূরত্ব।কিশোরগঞ্জের যাতায়াত ব্যবস্থা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো এবং উন্নত মানের কিশোরগঞ্জ জেলায় যেতে পারবেন রেলপথ এবং সড়ক পথের মাধ্যমে।
দর্শনীয় স্থান সমূহের নাম ও ইতিহাস
কিশোরগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের নাম
৪। পাগলা মসজিদ
৯। গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বর
১০। হরযত শাহ শামসুদ্দিন রহমতউল্লাহ এর মাজার
১২। অষ্টগ্রাম মিঠামইন ইটনা হাওর
১৩। দিল্লির আখড়া
১৮। সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি
১৯। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সেতু
২২। বালিখলা
২৫। ইটনা শাহী মসজিদ
২৬। গুরুই শাহী মসজিদ
২৭। ভাগলপুর দেওয়ান বাড়ি মসজিদ
২৮। সেত্রা নারায়নগু সাইড আখড়া
২৯। দয়াল কুঠির নিকলী
৩০। ধলা জমিদার বাড়ি
৩১। নেহাল পার্ক
৩২। উবাই পার্ক
নিকলী বেড়িবাঁধ ও হাওর একটি দর্শনীয় স্থান
কিশোরগঞ্জ জেলা
প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৮৪
নিকলী বেড়িবাঁধ ও হাওর
আনন্দ পেতে চাইলে চলে যান নিকলী হাওরে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি বুকের নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর নিকলী হাওর কিশোরগঞ্জ জেলা নিকলী উপজেলায় অবস্থিত। নিকলী উপজেলা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে কিশোরগঞ্জ জেলা অবস্থিত। ঢাকা থেকে একদিনে ঘুরে আসা সম্ভব নিকলী হাওর থেকে, পানিতে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম, স্বচ্ছ জলের খেলা, মাছ ধরতে জেলেদের ব্যস্ততা, খাওয়ার জন্য হাওরে তরতাজা মাছ এই সবকিছুর অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে নিকলী হাওর ভ্রমণ আপনার মনে রাখার মত একটি ভ্রমণ হিসেবে থাকবে। আরো মনে রাখার মত হবে সেটা যদি আপনি সেই হাওরের মাছ কিনে নিয়ে আপনার বাসায় এসে ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে খেতে পারেন খুব সুস্বাদু কিশোরগঞ্জ জেলা নিকলী হাওরে মাছ সেখানে আপনি যে সকল মাছ খুব অল্প দামে কিনতে পারবেন চিংড়ি মাছ, বোয়াল মাছ, দেশি টেংরা মাছ, রুই মাছ, শিং মাছ, কৈ মাছ, ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের মাছ পাওয়া যায় কিন্তু আপনাকে যদি মাছ কিনতে হয় আপনি খুব সকাল বেলা ভারতে যাবেন এবং মাস নিয়ে নষ্ট না করতে চাইলে সকাল সকাল আপনাকে কিশোরগঞ্জের নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে রওনা দিয়ে দিতে হবে তাই ভ্রমণের পূর্বেই মাছ কিনবেন না যেদিন আপনি আসবেন সেদিন মাছ কিনে রওনা দিবেন তাহলে আপনার মাছ ভালো থাকবেন।
নিকলী ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
হাওরে পানির রূপ দেখতে চাইলে আপনাকে বর্ষা বা তারপর যেতে হবে ।আপনি যদি মাছ ক্রয় বা ওখানে তরতাজা মাছ খেতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে শীত মৌসুম। অতএব আপনি নিকলী ভ্রমণে যেতে চাইলে এখানে বারোমাসি ভ্রমণের এবং দর্শনীয় স্থান বলা যেতে পারে তাই বছরে যেকোনো সময় আপনি নিকলী ভ্রমণে আসতে পারেন তবে আপনি যদি নৌকা ভ্রমনের ইচ্ছা করেন তাহলে আপনাকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আসতে হবে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা কিশোরগঞ্জ জেলার আশপাশ থেকে একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন নিকলী হাওরে ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে দুভাবেই যাতায়াতের ব্যবস্থা আছে আপনি যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর প্রভাতী ট্রেনে আসতে হবে এগারসিন্দুর প্রভাতী বুধবার ছাড়া সাপ্তাহিক বাকি ছয় দিন কমলাপুর স্টেশন থেকে সকাল টায় এ ছেড়ে বিমানবন্দর টঙ্গী নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ ট্রেনের টিকিট এর ভাড়া বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে তবে সাধারনত ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত জনপ্রতি।
কিশোরগঞ্জ সদর থেকে গচিহাটা স্টেশনে নামতে হবে ঢাকা থেকে ট্রেনে রওনা দিলে আপনার সকাল ১১ টার মত গচিহাটা স্টেশনে আসতে পারবেন স্টেশন থেকে ইজিবাইক অথবা সিএনজি দিয়ে সহজেই যেতে পারবেন ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে নিকলী বাজার ইজিবাইকে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ভাড়া নিবে আর যদি আপনি রিজাভ যেতে চান তাহলে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া নিবে সময় লাগবে এক ঘন্টা।
আপনি যদি ঢাকা থেকে বাসে যেতে চান তাহলে আপনাকে ঢাকা গোলাপবাগ থেকে যাতায়াত অথবা অন্য অন্য সুপার সার্ভিস বাসে আসতে পারবেন প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে ১০ মিনিট পর পর বাড়ি আসে বাসে আসলে সবথেকে ভালো হবে কিশোরগঞ্জের আগেই কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে নেমে ওখান থেকে ২২ কিলোমিটার নিকলী যেতে আপনাকে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে সিএনজিতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘন্টা।
কোথায় খাবেন
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বিভিন্ন রকমের খাবারের হোটেল রয়েছে তার মধ্যে হোটেল সেতু ক্যাফে ঢেউ উল্লেখযোগ্য হারে তাজা মাছ ও নানা প্রজাতির মাছ আপনি ওখানে খেতে পারবেন ১০০ থেকে ২০০ টাকার মত পেট ভরে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
কোথায় থাকবেন
নিকলীতে আপনার থাকার জন্য উপজেলা ডাকবাংলা এবং চেয়ারম্যানের গেস্ট হাউস তবে ছোট ছোট কিছু বোর্ডিং আছে নিকলীতে থাকার মত উন্নত মানের ভাল কোন আবাসিক হোটেল নেই, তবে কাজ চলমান আছে খুব তাড়াতাড়ি উদ্বোধন হবে ওখানে গিয়ে আপনাকে কিশোরগঞ্জ শহরে চলে আসতে হবে সেখানে বিভিন্ন রকমের হোটেল-মোটেল রয়েছে।
অষ্টগ্রাম মিঠামইন রোড দর্শনীয় স্থান
কিশোরগঞ্জ জেলা
প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৮৪
অষ্টগ্রাম মিঠামইন রোড
কিশোরগঞ্জ জেলার সবটুকুই হাওর অঞ্চল তার মধ্যে ০৪ চারটি উপজেলা নিকলী, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, ও ইটনা অঞ্চল গুলোতে বর্ষাকালে পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকে। বর্ষার শেষে ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করে। আর হাওর এলাকায় মাছে মাছে পরিপূর্ণ হয়ে যায় হাওর এলাকায় জেলেদের কাছে। এবং যখন পানি কমতে থাকে তখন রাস্তাগুলো ভেসে ওঠে।
হাওর এলাকার মানুষের কাছে একটা কথা প্রচলিত ছিল যে সুখনার পাও আর বর্ষাকালের নাও ।মানে হচ্ছে শুকনা কালের পায়ে হেঁটে চলাচল করা যায়, এবং বর্ষার মৌসুমে নৌকায় চলাচল করতে হয়।
কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চলের নিকলী বেড়িবাঁধ করিমগঞ্জ বালিখোলা অষ্টগ্রামের প্রচুর মানুষ ঘুরতে আসে বর্ষাকালে দূর-দূরান্ত থেকে চারপাশের সমান হাসির মেলা বর্ষায় হাওর ভ্রমণ খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে অষ্টগ্রামের মিঠামইন রোডের দৃশ্যগুলো।
তবে শুধু বর্ষার মৌসুমে নয়, অষ্টগ্রাম মিঠামইন উপজেলার সংযোগের জন্য ৪৭ কিলোমিটার উঁচু পাকা সড়ক অলওয়েদার রোড চালু হওয়ায় শীতে শুকনো মৌসুমে হাওড়া বিভিন্ন রূপ দেখার জন্য ঘুরতে পারেন হাওর অঞ্চল গুলো, সাম্প্রতিক সময়ের কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সাথে ইটনা মিঠামইন উপজেলা যোগাযোগের জন্য ফেরি চালু হয়েছে শুকনো সময় অর্থাৎ অক্টোবর থেকে এপ্রিল এই সময়ে কিশোরগঞ্জ থেকে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে ইটনা-মিঠামইনের মত এলাকায়। গ্রামের রাস্তা দিয়ে সারা বছরই চলাচল করা যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন বর্ষার মৌসুমে গেলে চারিপাশ যেন পানিতে থৈ থৈ করে, পানি নামার সাথে সাথেই সেই জায়গায় কি আবার ধানের সবুজ রাজ্য কিংবা ধান পেকে গেলে সোনালী রাজ্যে পরিণত হয়, এই বিভিন্ন রূপ সৌন্দর্যের দেখতে একবার বর্ষা শীত শুকনো মৌসুমে কিশোরগঞ্জ হাওর ঘুরে দেখে যেতে পারেন দৃষ্টিনন্দন এই স্থানটি আপনার মনে রাখার মত একটি জায়গা এখানে আপনি বিভিন্ন রকমের তরতাজা মাছ খাবারের জন্য পেয়ে যাবেন।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে দুই ভাবে যাওয়া যায় আপনি ট্রেনেও যেতে পারেন আবার বাসে ও যেতে পারেন আর ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতেই পারে আপনি যদি ট্রেনে যান তাহলে আপনাকে নামতে হবে বাজিতপুর বাজিতপুর নেমে আপনি এখানকার স্থানীয় যানবাহন সিএনজি অটোরিক্সা করে আপনি অষ্টগ্রাম মিঠামইন যেতে পারবেন ঢাকা থেকে আপনি খুব সকাল বেলা রওনা দিয়ে যে সকল ট্রেন গুলো পাবেন এগারসিন্দুর প্রভাতী ট্রেন এই ট্রেনটি সকালবেলা আসার জন্য। আবার আপনি যদি বিকেলে কিশোরগঞ্জ থেকে ব্যাক করতে চান তাহলে আপনাকে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা পৌঁছাতে পারবেন। আবার আপনি যদি বাসে আসতে চান তাহলে আপনাকে কিশোরগঞ্জ গামী কুলিয়ারচর নেমে সেখান থেকে সিএনজি দিয়ে বাজিতপুর দিঘির পারে অথবা সরাসরি যেতে পারবেন ফিরতি পথে আবার কুলিয়ারচর থেকে বাসে ঢাকায় ফিরে যাবে।
কি দেখবেন
৪০০ বছরের পুরনো ৫ গম্বুজ বিশিষ্ট কুতুবপুর গ্রামে অবস্থিত। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এর গ্রামের বাড়ি সেই দেখে আসতে পারেন।
কোথায় খাবেন
অষ্টগ্রাম বা মিঠামইন বাজারে মোটামুটি বিভিন্ন মানের খাবারের হোটেল রয়েছে রয়েছে হাওরের তাজা মাছ নানা ধরনের মাছ পাবেন বিভিন্ন রকমের হোটেল রেস্টুরেন্ট রয়েছে খাবারের জন্য কিশোরগঞ্জে আপনি লাকড়ি দিয়ে রান্না করা খাবার পাবেন এবং সে খাবারের টেস্টি ভিন্ন রকম।
কোথায় থাকবেন
অষ্টগ্রাম মিঠামইন সরকারি ডাকবাংলো রয়েছে সেখানে থাকতে পারেন আবার যদি কম খরচে বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে হাউর ঘুরে সুন্দর রিসোর্ট প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন মিঠামইন অষ্টগ্রাম মোটামুটি ভালো মানের বাজেটে হোটেল আছে সেখানে থাকতে পারেন।
ভ্রমণপিয়াসু বন্ধুদের যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তারা আমাদের এই পেজটি কে ফলো করতে পারেন আমরা সারা বাংলাদেশে কোথায় কোথায় ভ্রমণের স্থান রয়েছে আমাদের এই পেজটিতে পাবেন আর যদি জেলে যায় নাম আপনারা পাবেন না আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা দর্শনীয় স্থান
প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৮৪
শোলাকিয়া ঈদগাহ
শোলাকিয়া ঈদগাহ
উপমহাদেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বাংলাদেশের তথা কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত
ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহময়দান। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজের জন্য প্রতিবছর এই ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান কালের স্রোতে পরিণত হয়েছে একটি ঐতিহাসিক স্থান। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। কিশোরগঞ্জের এই ময়দানের বিশাল জামাত গর্বিত ও ঐতিহ্য করেছে কিশোরগঞ্জবাসী কে। তিন লক্ষাধিক
মুসল্লী বর্তমানে একসঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন। শটগানের গুলির শব্দে নামাজের শুরু হয়। কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব নরসুন্দা নদীর তীরে এর অবস্থান। বর্তমানে এই ঈদগাহে ইমামতি করেন ইমাম ফরিদ উদ্দিন মাসুদ।
মাঠের ইতিহাস
সুদূরের ইয়েমেন থেকে আগত শোলাকিয়া সাহেবের বাড়ির পূর্বপুরুষ সুফী সৈয়দ আহমেদের তার তালুকের ইসলামের বাণী প্রচারের জন্য সুদূর ইয়েমেন থেকে ১৮২৮ সালে নরসুন্দা নদীর তীরে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন। ওই জামাতে ইমামতি করেন সুফী সৈয়দ আহমেদ নিজেই। অনেকের মতে মুনাজাতে তিনি মুসল্লিদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে সোয়া লাখ কথাটি ব্যবহার করেন, আরেক মতে, সেদিনের জামায়াতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ লোক জমায়েত হয়। ফলের নাম হয় সোয়া লাখ। পরবর্তীতে উচ্চারণের বিবর্তনে শোলাকিয়া চালু হয়ে যায় । আবার কেউ কেউ বলেন মোগল আমলে এখানে অবস্থিত পরগনা রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। উচ্চারণের বিবর্তনের শোলাকিয়া নাম হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৫০ সালে স্থানীয় দেওয়ান মান্নান দাদ খা এই ময়দানকে অতিরিক্ত ৪.৩৫ একর জমি দান করেন।
মাঠের বর্ণনা
ঈদগা মাঠের আয়তন ৭ একর । নরসুন্দা নদীর তীরে শোলাকিয়ার অবস্থান। বর্তমানে শোলাকিয়া পূর্বপ্রান্তের প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই ঈদগাঁও মাটি চারপাশে উঁচু দেয়ালে ঘেরা মাঝখানে ফাঁকা রাখা হয়েছে যাতে মানুষ মাঠে প্রবেশ ও বের হতে পারে। এছাড়া এই মাটির দেওয়ালে কোন দরজা নেই। শোলাকিয়া মাঠে ২৬৫ শারির প্রতিটিতে ৫০০ করে মুসল্লিদের আবার ব্যবস্থা আছে। ফলে মাঠের ভিতর সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৫০০ মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে ঈদ-উল-ফিতরের সময় দেখা যায়, আশপাশের সড়ক, খোলা জায়গা, এমনকি বাড়ির উঠানে ও নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এভাবে সর্বমোট প্রায় ৩ লাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ পড়ে থাকেন। এবং এই মুসল্লির এই সংখ্যা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। শোলাকিয়া ঈদগাহ ব্যবস্থাপনার জন্য ৫১ সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটি রয়েছে। ঈদের নামাজের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি মূলক কর্মকান্ড এই কমিটি করে থাকেন।
ভ্রমণপিয়াসু বন্ধুদের যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তারা আমাদের এই পেজটি কে ফলো করতে পারেন আমরা সারা বাংলাদেশে কোথায় কোথায় ভ্রমণের স্থান রয়েছে আমাদের এই পেজটিতে পাবেন আর যদি জেলে যায় নাম আপনারা পাবেন না আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
উবাই পার্ক
উবাই পার্ক
উবাই পার্ক একটি অসাধারণ মনোরম বিনোদন কেন্দ্র সুন্দর জীবনের সুন্দর হোক সবার জন্য শুধু শিশুর জন্য নয়। কিশোরগঞ্জ জেলখানার বাইপাস মোড় থেকে এক কিলোমিটার দূরে হোসেনপুর যাওয়ার রাস্তার বামপাশে এবং হোসেনপুর থেকে আসার পথে ডানপাশে উবাই পার্ক অবস্থিত হোসেনপুর ও ভাই পার্কে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মতো পরিবেশ এই হোসেনপুর উভয় পার্ক উবাই পার্ক রয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্পোরেট পিকনিকের জন্য ৫০ জল থেকে ২০০০ জনের সুসজ্জিত পিকনিক স্পট উবাই পার্ক এ রয়েছে ৭ টি পিকনিক স্পট রয়েছে রান্না করা সুব্যবস্থা। অসংখ্য টয়লেট ওয়াশরুম নামাজের জায়গা ও গাড়ি পার্কিং এর সুব্যবস্থা, সব মিলিয়ে উবাই পার্ক একটি অসাধারণ মনোরম বিনোদন কেন্দ্র।
- প্রবেশ মূল্য - ৭০ টাকা
- সর্বমোট রাইড - ১২ টি
- প্রতিটি রাইড টিকিটের মূল্য - ৩০ টাকা
- গাড়ি পার্কিং -২০ টাকা
- পিকনিক স্পট রয়েছে -৭টি
- পার্ক খোলা থাকে পার্ক সপ্তাহে - ৭ দিন
- পার্ক খোলা - সকাল ৯ টা থেকে ৬ পর্যন্ত খোলা থাকে
কিশোরগঞ্জের নেহাল পার্ক
নেহাল পার্ক
কিশোরগঞ্জের নেহাল গ্রীন পার্ক এ বিনোদনের সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে কিশোরগঞ্জ সদর নওগাঁও অবস্থিত নেহাল পার্ক এখানে প্রতিদিন ছোট-বড় বৃদ্ধ সবাই আসে। বিনোদনের জন্য বাবা মায়ের হাত ধরে ছোট ছোট শিশুরা আসে খেলা করতে । এখানে ফ্যামিলি নিয়ে মা-বাবা ছেলেমেয়ে সবাইকে নিয়ে ঘুরার মত পরিবেশ রয়েছে এই নেহাল পার্ক ,নেহাল পার্ক রয়েছে সুন্দর একটি পুকুর এবং ঘুরে বেড়ানোর মতো খোলামেলা পরিবেশ গ্রামের মনোরম দৃষ্টি নন্দন পার্কে রয়েছে বিশ্রামের জন্য বিভিন্ন কক্ষ এবং পিকনিকের জন্য রয়েছে পিকনিক স্পটের জন্য আলাদা ব্যবস্থা তাই আপনারা স্কুল-কলেজের পিকনিকের জন্য নেহাল প্রার্থী নির্ধারণ করতে পারেন ।
ধলা জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান
ধলা জমিদার বাড়ি
১৩৩১ বঙ্গাব্দ জমিদার গিরিশ চন্দ্র পাল মদনের কাটল বাড়ি জমিদার এর নিকট থেকে তিন আনা জমিদারি করায় করে। বর্তমান বসতবাড়িতে ১৩৩১ বঙ্গাব্দের নির্মিত হয়েছিল বলে জানা যায়। জমিদার বাড়িটি কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত তাড়াইল উপজেলা নামক গ্রামে অবস্থিত। বাড়িতে উদ্বোধনকালে ৪০ মন মিষ্টি বিতরণ হয়েছিল বলে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানা যায়। বর্তমানে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা জমিদারবাড়ির প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন তাড়াইল বাসির গর্বের জায়গা। উপজেলার ঐতিহ্য ও অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে এই জমিদার বাড়ি। অথচ প্রাচীন স্থাপত্য সেলিও কালের সাক্ষী এই জমিদার বাড়িটি । জমিদারবাড়ির সুউচ্চ শক্তিশালী সীমানা প্রাচীর এর ভিতরে ৫২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নিরাপত্তা ।
ধলা জমিদার বাড়ি
১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর জমিদার ও তার স্বজনরা এ বাড়ি ছেড়ে চলে যান ভারতে। পরবর্তীতে ১৯৬২ জমিদারের অনুপস্থিতিতে এবার ই এস এ রেকর্ড অনুমোদন হয় জমিদার নামেই। ভূমি অফিসের তথ্য থেকে জানা গেছে,৯টি ভিন্ন ভিন্ন দাগে প্রায় ১০ একর ভূমি নিয়ে ছিল এই জমিদার বাড়ি। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় সমুদয় ভূমি ও বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় সরকার। দেশের রাজনৈতিক পালাবদল ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা ইতিমধ্যে জমিদারবাড়ির প্রায় ৫ একর ভূমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৫ একর ভূমি এখন দখলমুক্ত রয়েছে।
ধলা জমিদার বাড়ি
তবে এই ভূমিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ ও জমিদারের কাচারি নামে ভবনী ইউনিয়ন ভূমি অফিস। এসব প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ৬ ভিন্ন ভিন্ন ধাগে ২ একর ৫৩ শতাংশ ভূমি রয়েছে জমিদার বাড়ির মূল অংশে। মুঘল স্থাপত্য রীতি মেনে চুন সুরকি দিয়ে গড়া বাড়ির মূল অংশ দুটি সিংহের মুখোমুখি অবস্থানে প্রতিচ্ছবি সংবলিত দৃষ্টিনন্দন মূল ফটক, জমিদারি ভগ্নস্তূপে পরিণত অতিথিশালা, বাড়ির সামনে পিছনে ২টি পুরো একটি সুবিশাল খেলার মাঠ রয়েছে।
ধলা জমিদার বাড়ি
দেশ ও দেশের বাইরে থেকে আগত ভ্রমণপিয়াসু পর্যটকদের কাছে এর স্থাপত্য নিদর্শন ও ধ্বংসাবশেষ আজও জানান দেয় জমিদারের অতীত। অবহেলার সংস্কারের অভাবে প্রাচীন ভ্রমণ গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে খসে পড়ছে।
যোগাযোগ
সিএনজি অটোরিকশাযোগে কিশোরগঞ্জ শহরের শহীদি মসজিদের সামনে থেকে যাওয়া যায়
স্থান
জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত তাড়াইল উপজেলার গ্রামে অবস্থিত
দয়াল কুঠির নিকলী কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত
দয়াল কুঠির নিকলী Dayal Kuthir Nikli
নিকলী জমিদারবাড়ি একটি দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান. কঠিন নামে পরিচিত এই জমিদার বাড়িটি একটি প্রাচীন বাড়ি, নিকলী উপজেলা এই জমিদার বাড়িটি অবস্থান, এই বাড়িতে গোরাচাঁদ নামে এক প্রভাবশালী জমিদার বসবাস করতেন এবং তখনকার সময়ে তিনি হিন্দুদের প্রধান ছিলেন।
দয়াল কুঠির নিকলী Dayal Kuthir Nilkli
নিকলীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো এই মন্দিরটি নিকলী উপজেলার গোরাচাঁদ হিন্দু পরিবার ভারতে আশ্রয় নেওয়া একটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা গণি সালে জমিদার বাড়িটি কি হিসেবে ব্যবহার, বাড়ির মন্দিরটিকে কারাগার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
দয়াল কুঠির নিকলী Dayal Kuthir Nikli
নিকলীতে দয়াল কুঠির স্মৃতিচিহ্ন টি ধ্বংসের পথে কিশোরগঞ্জ নিকলী উপজেলায় শেষ স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দয়াল কুটির জমিদার বাড়ি অনেকে জমিদারবাড়িটি কিশোরগঞ্জ জেলার জমিদার বাড়ি।
দয়াল কুঠির নিকলী Dayal Kuthir Nikli
রাজাও নেই রাজ্য নেই তবুও নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাজবাড়িটি, সুবিধাবাদীরা এই নিরাপদ সুযোগ নিচ্ছে বারবার, কিশোরগঞ্জ নিকলী উপজেলা চিহ্নটি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দয়াল কুটির,১৩৪০ সালে ভারতীয় কারিগরের হাতে নির্মিত এই রাজবাড়ির পুরোটা জুড়ে রয়েছে সিরামিকের কারুকাজ, ছেলেরা যা এই বাড়িটির রাজা ছিলেন, তার নামে নামকরণ করা হয়েছিল এই রাজবাড়ী।
দয়াল কুঠির নিকলী Dayal Kuthir Nikli
রাজবাড়ী কেন রাজার পতন হতে না হতেই উত্তরাধিকারীদের মধ্যে যায়, রাজবাড়ী রক্ষা না রাজবাড়ী দখলে, বাড়ির দেওয়ালে আগাছা গাছে পরিণত হয়েছে কিন্তু রাজপরিবারের উত্তরাধিকারীরা ব্যর্থ হয়েছে রাজার নাম গৌরব ধরে রাখতে, আপন করে নিতে পারেনি তাদের ঐতিহ্য সৃষ্টি হয়েছে বিকৃতি ইতিহাস, রাজবাড়ী নিয়ে চলে মনোমালিন্য আর এর প্রভাব পড়েছে বাড়িটির উপর।
দয়াল কুঠির নিকলী Dayal Kuthir Nikli
১৯৭১ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজবাড়ী দখল করে মুক্তিবাহিনী, এই বাড়ির মন্দির ব্যবহার করা হয়েছে জেলখানায়, মুক্তি বাহিনীর সদস্যরা জেলখানায় রাজাকারদের ধরে এনে বন্দি করে রাখত, রাজ পরিবারের লোকজন পাক বাহিনীর ভয়ে ভারতে শরণার্থী শিবিরে চলে যায়।
দয়াল কুঠির নিকলী Dayal Kuthir Nikli
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাড়িটি নিজেদের দখলে থাকলেও দ্বন্দ্ব থেকেই যায়। শেষ চারের মধ্যে, একজন অংশ সেই, শুধু কি বাড়ির লোকজন দের কুনজর, পাড়া-প্রতিবেশী রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা, গোরাচাঁদ শহরের চারদিকে দেওয়াল রয়েছে পিতলের ত্রিশূল, পাড়া-প্রতিবেশী অদ্রীশ, যেই বলা সেই কাজ একদিন রাতে উন্নয়নের অফিস থেকে এসে চুরি করা হয় সিঁদুর, রেখে যায় বই, রাজবাড়ীতে রয়েছে নাটকীয় ভাবে ডাকাতির ঘটনা কোনো ভয়-ভীতি দেখিয়ে নয় চিঠি দিয়ে টাকা ডাকাতি করতে আসত চিঠিতে টাকা তারিখ লিখে দিয়ে পাঠাতো ডাকাত এসে টাকা নিয়ে যেত এই রাজবাড়ী।
ছেত্রা নারায়ন গোসাইর আখড়া // Chhetra Narayan Gosair Akhara
নিকলী উপজেলায় কোন ইউনিয়নের ভিতর সেটাই অবস্থিত বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র সত্যনারায়ন আখড়া, লাকিরাটি অন্যান্য পুরাকীর্তি ও প্রকৃতির সৌন্দর্যের এক অপূর্ব সমন্বয় সৃষ্টি করার কারণে ভ্রমন পিয়াসিদের জন্য আকর্ষণ করতে সক্ষম।
ছেত্রা নারায়ন গোসাইর আখড়া // Chhetra Narayan Gosair Akhara
কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যে অঞ্চল ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল এবং ঢাকা বিভাগের সর্বশেষ জেলা, উপজেলা উপজেলার সংখ্যা অনুসারে কিশোরগঞ্জ শ্রেণীভূক্ত, কিশোরগঞ্জ জেলার নাম হল উজান-ভাটির মিলন দা কিশোরগঞ্জ ঢাকা বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা হাওরের অঞ্চলের জন্য কিশোরগঞ্জ বিখ্যাত।
যোগাযোগ
জেলা প্রশাসক কিশোরগঞ্জ
কিভাবে যাওয়া যায়
কিশোরগঞ্জ শহরের একরামপুর নামক স্থান হতে বাসে অথবা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া যায়
স্থান
নিকলী উপজেলা ইউনিয়নে নির্ভীক গ্রাম থেতরাই অবস্থিত
ভাগলপুর দেওয়ান বাড়ি মসজিদ কিশোরগঞ্জ বাজিতপুর ভাগলপুর Bhaghalpur Dewan Bari Mosque Kishorgonj, Bajitpur, Bhaghalpur
ভাগলপুর দেওয়ান বাড়ি মসজিদ // Bhaghalpur Dewan Bari Mosque
মসজিদটির সৌন্দর্যময় কারুকার্য চমৎকার এবং নির্মাণ শিল্প স্থাপত্য নিদর্শন করেছে ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ পশ্চিম দেওয়ালে ৩টি মেহরাব রয়েছে, এছাড়া ৪টি বড় মিনার ,৫টি দরজা এবং ২টি শিলালিপি রয়েছে, দেওয়ান বাড়ী জামে মসজিদ ভাগলপুর বাজিতপুর কিশোরগঞ্জ এটি একটি ৪০০ বছরের পুরাতন মসজিদটি ১১০৫ হিজরী সনে দেওয়ানগঞ্জ খান প্রতিষ্ঠা করেন, দেওয়ান গোরস খান মোগল আমলে এখানকার গভর্নর ছিলেন, মসজিদের সিও ৪১ শতাংশের ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত মসজিদটি ১৯২৫ স্বভূমি ভাগলপুর দেওয়ানবাড়ী দেওয়ানবাড়ী দুই ভাই মিলে জমির দলিল ভিত্তিক করে দেন। মসজিদটি ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়, পরবর্তীতে মসজিদ কে পুনরায় সংস্কার করা হয়।
মসজিদের সামনের বারান্দাটি একটি আধুনিকায়ন এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন, মসজিদ রিপিয়ারিং ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম সম্প্রদান করেন।
আরবি ও ফারসি ভাষায় দুটি শিলালিপি মসজিদে উৎকীর্ণ করা হয়েছে, আরবি শিলালিপি ১ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থে ১ ফুট ১ ইঞ্চি, মধ্যবর্তী স্থানে ২টি উনিত ভাবে রেখা অঙ্কন করে মূল শিলালিপি থেকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৩৬৭ পবিত্র হিসনে করা হয় এর প্রতিষ্ঠাতার উপর হাজার শান্তি বর্ষিত হোক।
গুরুই শাহী মসজিদ কিশোরগঞ্জ জেলা নিকলী উপজেলা অবস্থিত
গুরুই শাহী মসজিদ // Gurui Shahi Mosque
নিকলী উপজেলা সদরের দক্ষিণ পাশে গুরুই ইউনিয়নে অবস্থিত এই মসজিদটি কিশোরগঞ্জ জেলার ইতিহাসের একটি অন্যতম প্রাচীন মসজিদ,৭০০ বছরের পুরাতন এই মসজিদটি মধ্যযুগীয় স্থাপনা কাল এক অনন্য নিদর্শন, সুলতান উদ্দিন বার বাক ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত ১৬টি মসজিদের মধ্যে গুরুই শাহী মসজিদ অন্যতম,স্থাপত্য শৈলী বিচারে এই মসজিদটি জেলার অন্যতম নিদর্শন।
গুরুই মসজিদ কিশোরগঞ্জ জেলা নিকলী উপজেলা অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ ও বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা এটি নিকলী উপজেলায় গ্রামে অবস্থিত ,পূর্বে এই জমিটির মালিক ছিল সুলতান বারবাক শাহ
গুরুই শাহী মসজিদ মুঘল আমলের স্থাপত্য শিল্পে ফুটে উঠেছে, মসজিদের গম্বুজের গোড়ায় একটি সরু লম্বা শিলালিপি রয়েছে, শিলালিপি থেকে জানা যায় মসজিদটি ১৬৮০ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল, শিলালিপিতে সুলতান বারবাক শাহ এর নাম খোদাই করা আছে।
বিবরণ
গুরুই শাহী মসজিদ বর্গাকৃতির, দিক থেকে দেয়ালের উচ্চতা ২২ ফুট ও বাইরের দিক থেকে ৩৫ ফুড,৪ কোনে ৪টি অষ্ট কোন আকৃতির মিনার আছে, যা উপরে উঠে নির্মিত শেষ হয়েছে, মসজিদ আকৃতি বড় গম্বুজ, উত্তর দক্ষিণ ও পূর্বের দেওয়ালে একটি করে তিনটি প্রবেশপথ আছে, যার বা কেন্দ্রীয় পথ টি বড় কেন্দ্রীয় প্রবেশপথের উচ্চতা ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৪ ফুড ৬ ইঞ্চি পশ্চিমে দেওয়ালে তিনটি বিভাগ রয়েছে, মাঝের মেয়েটি বাকি গুলোর চেয়ে বড়, মেহরাব গুলোতে সুন্দর টেরাকোটার কাজ আছে এই মসজিদটি সুলতানি আমলের স্থাপত্য শিল্পের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
গুরুই শাহী মসজিদ স্থান
নিকলী উপজেলা সদরের দক্ষিণ পাশে গুরুই ইউনিয়নে অবস্থিত।
কিভাবে যাওয়া যায়
কিশোরগঞ্জ শহরে একরামপুর থেকে বাসে অথবা সিএনজি অটোরিক্সাযোগে গুরু শাহী মসজিদে যাওয়া যায়।
যোগাযোগ
জেলা প্রশাসক কিশোরগঞ্জ
ইটনা শাহী মসজিদ কিশোরগঞ্জ
ইটনা শাহী মসজিদ // Etna Shahi Mosque
ইটনা শাহী মসজিদ কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায় অবস্থিত, মুঘল স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত মসজিদ নির্মিত মসজিদ স্থাপিত, চারপাশের দেয়াল দ্বারা পরিবেষ্টিত দুটি তরুণ ও একটি ছাদে তিনটি সুর্দৃশ্য গম্বুজ রয়েছে, মসজিদ মূল কাঠামোর স্থানীয়ভাবে একটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে, কিছুটা অপরিকল্পিতভাবে মেরামত করা মসজিদের গায়ে থাকা শিলালিপি সিমেন্টের নিচে আটকা পড়ে গেছে, ইতিহাস থেকে জানা যায় ৪২৫ বছরের পুরনো এই মসজিদটি বারোভূঁইয়া প্রধান ঈশা খাঁর প্রাসাদ নির্মাণ করেন স্থানীয়দের মসজিদ নিয়ে দেখা যায়, কেউ কেউ এটাকে বলেন গায়েবি মসজিদ আবার কেউ কেউ এটাকে বলেন তিন গম্বুজ মসজিদ।
ইটনা শাহী মসজিদ
চারিদিকে পানির অভাব বিস্তার এর মাঝে কোথাও কোথাও মাথা জাগিয়ে রেখেছে এক চিলতে সবুজ ভূমি, কয়েকটি বাড়ি নিয়ে দ্বীপের মতো মাথা তুলে জেগে রয়েছে কয়েকটি বসতি, প্রায় প্রতিটি বাড়ি লাগোয়া ঘাটের নৌকা নৌকা এসব গ্রামের মানুষ যাতায়াতের একমাত্র, গ্রামগুলো পানি ভেসে বেড়াচ্ছে হাঁসের পাল, ছোট বাঁশের কঞ্চি হাতে হাঁসের রাখার চেষ্টা করছে হাঁসগুলোকে নিরাপদে খোঁয়াড়ে নিয়ে তুলতে কোন এক জায়গায় পানিতে ঝাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে দুরন্ত কিশোর অনেকবারই এরই মাঝে রয়েছে পুরাতন ইটনা শাহী মসজিদ।
মাহমুদ মসজিদ কিশোরগঞ্জে অবস্থিত
মাহমুদ মসজিদ
শাহ মোহাম্মদ মসজিদ বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ যা ১৬৮০ সালে নির্মিত। মোগল স্থাপত্য রীতি নির্মিত এ মসজিদটি মূল নাম শাহ মাহমুদ মসজিদ, কিন্তু ইউনেস্কো থেকে প্রকাশিত মুসলিম স্থাপত্য কে একে শাহ মোহাম্মদ মসজিদ হিসেবে নির্দেশ করা হয়।
মসজিদটির নির্মাতা বণিক শেখ মাহমুদ এবং তার নাম এই মসজিদটি পরিচিতি, শেখ মাহমুদ এর উত্তরসূরী রা বসবাস করেন মসজিদের পাশেই।
বিবরণ
চারপাশে আড়াই ফুট দেয়াল ঘেরা একটি প্লাটফর্মের উপর ১৬৮০ সালে নির্মিত এই মসজিদটিতে রয়েছে মোগল শিল্প রীতি ও স্থানীয় শিল্পরীতির সমন্বয়। এক গম্বুজবিশিষ্ট বর্গাকৃতির এই মসজিদটি প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ৩২ ফুড, ৪৪৮ কোন আকৃতি বুরুজ রয়েছে। অনেক আগে মসজিদের চার কোণায় চারটি মূল্যবান প্রস্তুত ছিল যা বর্তমানে লুণ্ঠিত।
মাহমুদ মসজিদটি এগারসিন্দুর গ্রামে অবস্থিত অন্যতম আকর্ষণীয় স্থাপনাটি সম্ভবত ১৬৮০ সালে নির্মিত হয়েছিল, একটি উঁচু প্ল্যাটফর্মের পিছনে অবস্থিত এই মসজিদটি দেওয়াল দিয়ে ঘেরা করা হয়েছে। মসজিদটির আয়তো কার এবং এটিতে দোতলা সাধ রয়েছে সাদ এর উপর চারকোনা অষ্টভুজ চারটি টাওয়ারসহ বর্গক্ষেত্র কার এই মসজিদটির ভিতরে প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৫.৭৯ মিটার। মসজিদের টাওয়ার গুলোতে অলংকার দিয়ে সাজানো ছিল। দক্ষিণ দিকের টাওয়ারে এখনো সেসব অলংকারের দেখা মিলে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাসে অথবা ট্রেনে খুব সহজেই যেতে পারেন আপনি এই মসজিদটি দেখতে আসতে পারেন মাত্র ৩ ঘন্টার রাস্তা পেরোলেই প্রাচীন এই মসজিদটির দেখা মিলে ট্রেনে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে এগারসিন্দু অবস্থিত গোয়ালঘাট পৌঁছাতে হবে। গোয়ালঘাট জিপিএস অবস্থান করে ঢাকা মহাখালী থেকে আপনি এখানে বিভিন্ন বাসে করে আসতে পারেন। যেমন কিশোরগঞ্জের জলসিড়ি ও অন্যান্য নান্দাইলের গণপরিবহনে সব বাসে ভাড়া পড়বে ১৩০ থেকে দেড়শ টাকা কিশোরগঞ্জে নামার পর আপনি মাহমুদ মসজিদের কথা বলা মাত্রই আপনাকে রিক্সায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা মসজিদে পৌঁছে দেবে।
- কিশোরগঞ্জ থাকার জন্য কোন আবাসিক হোটেল গুলো ভালো
- হোটেল রিভার ভিউ স্টেশন রোড কিশোরগঞ্জ
- হোটেল আবাসিক স্টেশন রোড কিশোরগঞ্জ
- বাংলাদেশ গেস্ট হাউস স্টেশন রোড কিশোরগঞ্জ
- হোটেল গাংচিল আবাসিক স্টেশন রোড কিশোরগঞ্জ
এসব হোটেলে আপনারা ইচ্ছে করলে থাকতে পারবেন এখানে থাকতে আপনাদের ৩০০ থেকে
২০০০ মধ্য ভাড়া পড়বে
প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট
প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট
খুলছে হাওরের প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট, অভিযাত্রী নিয়ে আলোচনার তুঙ্গে, কিশোরগঞ্জ অবস্থিত, বাংলার মানচিত্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কিশোরগঞ্জের হাওর, দিগন্তবিস্তৃত অবকাশ, মেঘ এবং হাওরের জলরাশি যে কাউকে রোমাঞ্চিত করবে, প্রতিবছর পর্যটকরা মিঠামইন অষ্টগ্রাম ও ইটাহারের সৌন্দর্য দেখতে আসেন, এবার সঙ্গে দেখা অভিজাত রিসোর্ট, পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট রিসোর্টটি মিঠামইন উপজেলার ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের ৩০ একর জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে রিসোর্ট। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাম দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট। রিসোর্টে ১০ রয়েছে।৪০ টি পরিবার একসঙ্গে থাকতে পারবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ঘুরতে হত ভ্রমণপিয়াসীদের দিনে গিয়ে দিনে আবার ফিরে আসতে হতো, পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা ছিলনা, এসব কথা মাথায় রেখে মিঠামইন উপজেলা ইউনিয়ন হোসেনপুর গ্রামের ৩০ একর জায়গার উপর দ্বীপের মতো গড়ে তোলা প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট
প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট ২০২১ সালে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় প্রেসিডেন্ট রিসোর্টটি বর্ণিক স্থাপনার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড হয়ে উঠেছে হাওরের আর এক বিস্ময়, কিশোরগঞ্জের হাওর সৌন্দর্যকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করেছে জলের মাঝখান দিয়ে নির্মিত বিস্ময়কর অল ওয়েদার সড়ক ,হাওরের ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রাম উপজেলা কে যুক্ত করে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে কিশোরগঞ্জের হাওর কে নিয়ে গেছে এক উচ্চতায়, এবার তার সঙ্গে যুক্ত হলো মিঠামইনের পানির মাঝখানে নির্মিত প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট
প্রেসিডেন্টের দিগন্ত বিস্তৃত সাগরের বড় বড় যেতে হেলে পড়া হেলেপড়া নীল উকিঝুকি মারছে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে অনেকে জলের বুকে বয়ে চলে মহাজনের নাও
ভ্রমন পিয়াসিদের জন্য কিশোরগঞ্জের হাওর বিস্তীর্ণ জলরাশি বুকে গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিকমানের প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট। বিস্ময়কর অল ওয়েদার অদূরেই মিঠামইন উপজেলা হোসেনপুর বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই রিসোর্ট।
রেস্টুরেন্ট, পার্টি সেন্টার ও শিশুদের জন্য খেলার জন্য করা হয়েছে। উপর থেকে হাওড়া সুন্দর্য ভোগ করার জন্য বানানো হয়েছে। বিশাল আয়তনের কুকুর রাখা হয়েছে ভোট। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা লাগানো হয়েছে রিসোর্টের চারপাশে এসব কিছু নির্মাণ করা হয়েছে মাত্র ৮ মাস সময়ে
প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট থাকতে হলে আপনাকে পূর্ব থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং পূর্বে বুকিং দিয়ে সেখানে থাকার জন্য টাকা পেমেন্ট করতে হবে অন্যথায় আপনি খালি নাও পেতে পারেন খালি না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকবে তবে পূর্বে থেকে যদি আপনি যোগাযোগ করে বুকিং দিয়ে রাখেন তাহলে কোন অসুবিধা হবে না।
প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে থাকার জন্য আপনাকে প্রতিরাতে ভাড়া যেটা দিতে হবে সে সম্পর্কে আমরা জেনে নিব প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের সর্বোচ্চ ভাড়া ২৮ হাজার , তবে যাদের সামর্থ্য আছে তাদের জন্য নিঃসন্দেহে এই রিসোর্ট হাওরের প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের মাধ্যমে বর্ষার পানির উপর রোদ-বৃষ্টির খেলাধুলা সূর্যোদয় সূর্যাস্ত দেখা ডিঙ্গি নৌকা ভ্রমণ করতে পারবেন এবং প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট থাকতে পারবেন।
রেসিডেন্ট রিস্টোর থেকে সামান্য দূরে মিঠামইন উপজেলার চারপাশে তিনটি হাওরবেষ্টিত উপজেলা রয়েছে সেগুলো হলো নিকলী, অষ্টগ্রাম ও ইটনা হাওর গুলো ঘুরে দেখা যাবে তিনটি হাওরের পানি থাকে বাকি সময় পায়নি না থাকলেও জায়গাগুলো সুন্দর।
কিভাবে যাবেন
প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে দেখতে আসতে পারেন তবে আপনি যেখান থেকে আসতে চান নাকে প্রথমে আপনাকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে আসতে হবে সেখান থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখোলা কিংবা চামটা বন্দর যেতে হবে সিএনজি অটোরিকশায় সময় লাগবে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট তারপরে প্রেসিডেন্ট এ যেতে হবে।
পর্যটকদের সাথে কথা বলে তাদের মনের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেছি তারা বলেছে জীবনে একবার হলেও প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে ঘুমানোর বা রাত কাটানোর খুব ইচ্ছা এতই সুন্দর্য এতই মনোরম পরিবেশ না দেখলে বুঝার কোন উপায় নেই তাই মনে চাইলেই ঘুরতে চলে আসুন ।
বালিখলা কিশোরগঞ্জ
বালিখলা
দিগন্তবিস্তৃত হাওর, চারিদিকে থই থই পানি এর মাঝখান দিয়ে চলে গেছে রাস্তায় এরকম ছবির মত সুন্দর একটি জায়গা যদি আপনারা খুঁজে পেতে চান তাহলে আপনাদেরকে যেতে হবে করিমগঞ্জের কিশোরগঞ্জ জেলায় বালিখোলা উপজেলায় প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তাটি চলে গেছে বালিখোলা থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত থেকে রাস্তায় বেশ উঁচু হওয়া বর্ষাকালে এটি ডুবে যায় না সেখান থেকে আপনি চাইলে নৌকা নিয়ে হাওর ভ্রমণ করতে পারেন ঢাকা থেকে দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার জন্য বালিখোলা হতে পারে চমৎকার একটি স্থান।
কখন যাবেন
বছরের এই থাকে তবে রাস্তার দু'পাশে পানি দেখতে চাইলে আপনাকে বর্ষাকালে বালিখোলা আসতে হবে অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময় এবং আপনি যদি মাছ কিনতে চান এবং ভ্রমণ করতে চান এবং তরতাজা মাছ খেতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে নভেম্বর থেকে মার্চ মার্চ পর্যন্ত এ সময়ে বিভিন্ন রকম খাল-বিল শুকিয়ে গিয়ে বিভিন্ন রকমের দেশি প্রজাতির মাছ সেখানে পাবেন ।
বালিখোলা বাজারে বিক্রি হয় কোটি কোটি টাকার মাছ বালু নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা বাজারে খ্যাতি রয়েছে হাওরের তরতাজা মাছের কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরের বিভিন্ন প্রকারের মাছ বিক্রি হয় বালু খোলাবাজারে শুধুমাত্র মাছকে ঘিরেই কয়েক ঘণ্টা বাজা রুই কাতলা বোয়াল শিং-মাগুর চিংড়ি পাবনাসহ ৮০ থেকে ৯০ প্রজাতির দেশীয় মাছ বিক্রি করা হয় এ বাজারে প্রতিদিন সকাল সাতটায় শুরু হয় মাছ বাজারটিতে সকাল দশটা পর্যন্ত আর এই তিন ঘণ্টা বিক্রি হয় কোটি টাকার মাছ।
আবার মাঝে মাঝে মাছ বেশি বেচাকেনা হলে বাবার যদি বেশি পরিমাণে আসে তাহলে দেড় থেকে দুই কোটি টাকারও বেশি হয় হাওড়া প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখোলা বাজারের তাজা মাছের জন্য পাইকারি ও খুচরা বাজারে পাওয়া যায় নদনদী ও মুক্ত জলাশয়ে মাছ ভোর থেকেই ছোট ছোট নৌকা নিয়ে নিয়ে বাজারে আসতে শুরু করে জেলেরা সারারাত হাওরে মাছ ধরার পর ভোরে আলো ফুটবে আগেই ঘাটে চলে আসেন ছোট ছোট নৌকা নিয়ে।
কিভাবে যাবেন
যাবেনঃ ঢাকা থেকে বাসে আপনি আবার ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে পারবো ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে হলে এখন আর আগের মতো ঝামেলা পোহাতে হয় না এখন নিজের ইচ্ছেমতো যেখানে খুশি সেখানে রেখে যেতে পারবেন তবে নির্ধারিত পার্কিংয়ে আপনার গাড়ি রাখতে হবে যে আপনি নৌকা দিয়ে ভ্রমন করতে পারবেন আপনি বাসে যদি যেতে চান তাহলে আপনি গাবতলী অথবা সায়েদাবাদ অথবা কল্যাণপুর থেকে বিভিন্ন রকমের বাস রয়েছে কিশোরগঞ্জ গামী ট্রেনে যেতে চান তাহলে ঢাকার কমলাপুর অথবা এয়ারপোর্ট থেকে ট্রেনে যেতে পারবেন আপনাকে নামতে হবে কিশোরগঞ্জ বাজিতপুর সেখান থেকে অটোতে করে আপনাকে বালিখোলা যেতে হবে।
তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জ তাড়াইল
তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি
তালজাঙ্গা জমিদারবাড়ি একটি দর্শনীয় স্থান তালজাঙ্গা জমিদারবাড়ি তাড়াইল উপজেলা অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র, বাবু রাজ চন্দ্র রায় এই জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, জমিদার বাড়িতে রয়েছে ৩টি পুকুর দাতব্য চিকিৎসালয়, অন্ধক স্মৃতিসৌধ জমিদার রাম চন্দ্র রায়ের একটি স্মৃতিসৌধ শিব মন্দিরের দক্ষিণ দিকে মাথা উঁচু করে এখনো অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
তালজাঙ্গা জমিদারবাড়ি বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত তাড়াইল উপজেলার ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি প্রায় ১০০ বছর আগের জমিদারবাড়ি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জমিদার চন্দ্র রায়, যিনি ছিলেন শিক্ষিত জমিদার, তখনকার সময়ে এম এ এন ডিগ্রীপ্রাপ্ত উকিল ছিলেন, তিনি ১৯১৪ সালে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করার পর ট্রাই ৩৩ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি করেন। তার জমিদারি শেষ হয় তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। তারপর এই জমিদার বাড়ি জমিদার তার ছেলে মহিম চন্দ্র রায়।
বাবার মতন শিক্ষিত ডিগ্রীপ্রাপ্ত কলকাতা থেকে ডিগ্রী নেওয়ার পর ময়মনসিংহে আইন ব্যবসা শুরু করেন এবং সেখানকার সভাপতিও ছিলেন। জমিদার মহিম চন্দ্র রায় বারবার স্মৃতিস্বরূপ একটি হাই স্কুল নির্মাণ করেন, তাই স্কুলটির নাম দেন শিরায় হাই স্কুল, যা বর্তমানে সুনামধন্য স্কুল হিসেবে পরিচিত, কোনটি জমিদার বাড়ি,১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এই জমিদার বাড়ি জমিদার এর সমাপ্তি ঘটে, জমিদারের নাতি বা জমিদারের ছেলে ও তার সাত ভাই মিলে ভারতে কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু, এখনও ওই জমিদার বাড়ির ধ্বংস হবে আছে তারা পূর্ব বেড়াতে আসেন।
বর্তমান অবস্থা
অবহেলা ও রক্ষণাবেক্ষণ বর্তমান প্রশ্নগুলো প্রায় ধ্বংসের মুখে প্রসাদ এর কয়েকটি দেয়াল ভেঙ্গে গিয়ে, পুরো বাড়ি বাড়িতে লতাপাতায় জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে, বর্তমানে জমিদার বাড়ির সামনে পুকুর দখল হয়ে যাচ্ছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা জেলায় এখানে এসে সেখানে সিএনজি অটোরিকশা অটোরিকশায় করে তারা তাড়াশ উপজেলা তালজাঙ্গা ইউনিয়ন তালডাঙ্গা বাজারে যেতে বাজার পাশে এই জমিদার বাড়ি।
স্থান
তালজাঙ্গা জমিদারবাড়ি তাড়াইল উপজেলা অবস্থিত।
কিভাবে যাওয়া যায়
কিশোরগঞ্জ শহিদী মসজিদ এর সামনে থেকে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে জলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।
যোগাযোগ
জেলা প্রশাসন কিশোরগঞ্জ।
জিল্লুর রহমান সেতু কিশোরগঞ্জ ভৈরব কুলিয়ারচর
জিল্লুর রহমান সেতু
কিশোরগঞ্জ ভৈরব কুলিয়ারচর উপজেলার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া কালি নদীর উপর প্রায়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নামে নির্মিত সেতুর দৃষ্টিনন্দন, কালি নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্র, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে বেড়াতে যাই, সেতুটি দেখার মত দৃষ্টিনন্দন মানুষের মন কারে,কুলিয়ারচর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ হাসান সারওয়ার মহাসিন জানান, সেতু নির্মাণের পর এলাকাটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়, স্থানীয় অর্থনীতি ও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে,জিল্লুর রহমান সেতুটি বর্তমানে ভ্রমন পিয়াসিদের জন্য দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ভৈরব উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া কালি নদীর উপর নির্মিত রাষ্ট্রপতি অালহাজ জিল্লুর রহমান সেতুটি ২০১৯ সালে ৭ সেতুটি ঘিরে স্থানীয় বিনোদন কেন্দ্র ।
ট্রাক মহামান্য রাষ্ট্রপতি অালহাজ জিল্লুর রহমান ২০১০ সালে ২৪ অক্টোবরে ভৈরব শহররক্ষা বাঁধ উদ্বোধন করেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি অালহাজ জিল্লুর রহমান এর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ছিল ভৈরব শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা, মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে ভৈরব শহরকে রক্ষা করবে প্রায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি অালহাজ জিল্লুর রহমান ভৈরবের পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ, ভৈরব কুলিয়ারচর গ্যাস লাইন স্থাপন, স্থাপনের উদ্যোগ নেন, দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের কারণেই জিল্লুর রহমান এর স্মরণে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে ।
সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলা কটিয়াদী
সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি
কিশোরগঞ্জ জেলা কটিয়াদী উপজেলা থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে মসূয়া গ্রামের অংকার বিজয়ী চলচ্চিত্রকার
সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। একসময় এই বাড়িটি ঘিরে পূর্ববাংলার জোড়াসাঁকো
বলে অভিহিত করা হতো। বর্তমানে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী অংকার বিজয়ী চলচ্চিত্রকার
সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি ধ্বংসের মুখে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরনো ভবন এর
অংশবিশেষ খসে পড়েছে। যেকোনো সময় ভবনটি হেলে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে। এদিকে
দূর থেকে আসা পর্যটকদের বিশ্রামও রাত যাপনের জন্য নির্মাণ করা অফিশিয়াল অরক্ষিত
অবস্থায় আছে। দীর্ঘ পুরাতন এবং প্রায় ১০ বছর পূর্বে অতিথিশালা টি পর্যটকেরা ব্যবহার
করতে পারছে না।
ওঙ্কার বিজয়ী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ঐতিহাসিক পৈতৃক বাড়িটি দক্ষিণ দিকে রয়েছে শান বাঁধানো ঘাট, একর জায়গাজুড়ে জরাজীর্ণ ভবনে,
খেলার মাঠ, সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি এখনো সরকারের রাজস্ব বিভাগের
তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
জানা যায় ২০১২ সালে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উদ্যোগে
অতিথিশালা সহ বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও রাস্তা সংস্কার করেন কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের
অভাবে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি, ভবনটি বছরের-পর-বছর তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে
আছে, বর্তমানে, ভেতরের ময়লা আবর্জনার স্তুপ, জানালার কাঁচ ভাঙ্গা আসবাবপত্র
ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অতিথি জাগুয়া টিউবওয়েলের মাথা চুরি হয়ে গেছে,
সূচনার গুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, এতে দূর-দূরান্তের মানুষ বাড়িটি দেখতে
এসে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
ইট পাথর চুন দিয়ে গড়া প্রশ্নটিই খসে খসে পরছে বিভিন্ন অংশ কোন কোন অংশ তৈরি
হয়েছে মরণফাঁদ ২৬ এলাকার গর্ত হয়ে দ্বিতল ভবনের ছাদ রয়েছে ঝুঁকির মুখে ঝুলে
রয়েছে ছাদের উপর বড় বড় ভীম চারপাশের লতাপাতা আর বট বৃক্ষের আবর্তন ঢাকা
পড়ে রয়েছে সৌন্দর্য।
পাগলা মসজিদ পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স
পাগলা মসজিদ
পাগলা মসজিদ বা পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স বাংলাদেশের একটি প্রাচীন মসজিদ কিশোরগঞ্জ সদরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত (০৩) তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদ, মুসলিম ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জনপদ কিশোরগঞ্জে কে ঘিরে রয়েছে অনেক ইতিহাস, প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্য বিখ্যাত নানা দর্শনীয় স্থান রয়েছে এখানে প্রায় আড়াই শত বছরের পুরনো ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ তারই একটি নিদর্শন।
পাগলা মসজিদের ইতিহাস
পাগলা মসজিদের ইতিহাস সম্পর্কে জনশ্রুতি আছে যে পাগল বেশিয়ে আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমানে মসজিদের কাছে এবং তাকে ঘিরে আশপাশে অনেক ভক্তকুল সমবেত হন। এই পাগলের মৃত্যুর পর তার সমাধির পাশে পরবর্তীতে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। ফলে কালক্রমে মসজিদটি পাগলা মসজিদ নামে পরিচিতি পায়। এই মসজিদটি শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে নয়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ এর আশেপাশে অঞ্চল সহ বাংলাদেশের সব ধর্মালম্বী দের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। মানুষের বদ্ধমূল বিশ্বাস, যে কেউ এক নিয়মে মসজিদে দান খয়রাত করলে তার ইচ্ছে পূরণ হয় এ কারণেই এবং বিশ্বাস এর আলোকে পাগলা মসজিদ প্রদান করে থাকেন বিভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষেরা।
পাগলা মসজিদের পাশেই রয়েছে একটি হাফেজী মাদ্রাসা পাগলা মসজিদ বর্তমানে অনেক সম্প্রসারিত, বর্তমানে এর পরিমাণ ৩ একর ৮৮ শতাংশ। ওয়াকফকৃত ভূমির পরিমাণ ছিল - ১০ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম পাইকারি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পায় পাগলা মসজিদ। পাগলা মসজিদের আয় থেকে বিশাল একটি ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে এবং ইসলামী কমপ্লেক্স তৈরী করা হয়েছে।
কিভাবে যাবেন
হারুয়া নামক স্থানে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদটি অবস্থিত এলাকায় যেতে হলে আপনাকে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে রিকশায় যেতে হবে।
কোথায় থাকবেন
কিশোরগঞ্জ জেলায় অনেক হোটেল মোটেল রয়েছে তবে পাগলা মসজিদ আশেপাশে রাতে অবস্থানের জন্য আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থা নেই তবে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে বড়বাজারে হোটেলের ক্যাসেল সালাম চাইনিজ ও আবাসিক আওয়ামী লীগ অফিসের বিপরীতে রিভারভিউ আবাসিক, রংমহল সিনেমা হল এর বিপরীতে রয়েছে গাংচিল এখানে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে আরও অনেক রকমের হোটেল রয়েছে থাকার জন্য।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
নরসুন্দা লেকসিটি নরসুন্দা নদীর কূল ঘেঁষে
নরসুন্দা লেকসিটি
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বুকে নরসুন্দা নদীর কূল ঘেঁষে নির্মিত হয়েছে একটি মুক্ত মঞ্চ, নাম দেওয়া হয়েছে নরসুন্দা লেকসিটি। অভিরাম প্রকল্পটি এখন শহর ও শহরতলীর মানুষের কাছে প্রধান বিনোদন কেন্দ্র আমেজের জায়গা হয়ে উঠেছে। শহরের মধ্য দিয়ে এক সময় খরস্রোতা নদী ঘিরে রয়েছে নানা উপাখ্যান নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জ জেলা মানুষের মনকে নতুন করে জীবন গড়ে তোলার লক্ষ্যে মৃতপ্রায় নরসুন্দা নদী ঘিরে তৈরি হয়েছে এই লেকসিটি।
কিশোরগঞ্জ বাসির স্বপ্নের শহরে অবস্থিত নরসুন্দা লেকসিটি, লেকসিটি শহরের বুক চিরে অবস্থিত, শহরের নদী ঘিরে রয়েছে উপাখ্যান, জীবন্ত করে তোলার লক্ষ্যে মৃতপ্রায় নরসুন্দা নদীর ঘিরে তৈরি হয়েছে এই লেকসিটি, নির্মিত ৫টি দৃষ্টিনন্দন সেতু ইতিমধ্যে শহরের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে, আক্রা বাজারের দৃষ্টিনন্দন সেতুর কাছে স্বাধীনতা চত্বরে দিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে গৌরাঙ্গ বাজার সেতু পর্যন্ত নদীর তীরবর্তী হাঁটার শহরবাসীকে সরিল মন সতেজ রাখার সুবিধা দিয়েছে। এছাড়া গৌরঙ্গ বাজার সেতুসংলগ্ন নদীর পাড়ে পার্কের কাজ চলছে।
কোথায় থাকবেন
এটি শহরবাসীর বিনোদনের বাড়তি আনন্দ যোগায়। কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজের পুকুর, ভাসমান মুক্ত মঞ্চ, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এখনই মানুষের পদচারণায় মুখর। কিশোরগঞ্জ শহরে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান এর ব্যবস্থা রয়েছে শহরের সালাম, গাংচিল এবং হোটেল উজান ভাটি হোটেল শ্রাবণী, হোটেল আলম সহ আরো অনেক আবাসিক হোটেল রয়েছে থাকার জন্য ।
কোথায় খাবেন
কিশোরগঞ্জ শহরে খাবারের জন্য বিভিন্ন রকমের হোটেল রয়েছে রেস্টুরেন্ট রয়েছে আপনারা যেখানে খুশি খেতে পারেন তবে খাবার আগে দাম যাচাই করে খাবেন এটা সবার জন্য ভালো কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী আছে তারা বিভিন্ন সময় দাম বেশি রাখে সে জন্য দাম যাচাই করে খাওয়াই ভাল তবে এখানে বিভিন্ন হাওরের মাছ পাবেন বিভিন্ন প্রকার মাছ হয়েছে হাওরের এবং মাছগুলো খুব সুস্বাদু।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সেতু কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সেতু
কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু হাওরের জন্য মাইলফলক হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী। কিশোরগঞ্জ জেলা রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সেতু, সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় ৫ উপজেলায় ,ইউনিয়নের সাধারন সারা বছরে এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে সহজেই সড়ক পথে যেতে পারে অষ্টগ্রাম সদরপুর অষ্টগ্রাম কান্ত বাংগালপাড়া ও দেওঘর ইউনিয়নে প্রায় এক লাখ মানুষ সারা বছর সড়ক পথেই এসব ইউনিয়নের যোগাযোগ করতে পারছে।
দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সেতু নির্মিত হওয়ায় উপজেলার মানুষ উচ্ছলিত, এখন থেকে তাদের নৌকা ও ট্রলার দিয়ে এক ইউনিয়ন থেকে উন্নয়নে যোগাযোগ করতে হবে না। সেতুটি মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ নিজ নামে তৈরি এ সেতু উদ্বোধন করেন সেতু উদ্বোধন করেন ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর। সেতুটি উদ্বোধনের পর থেকে হাওর এলাকার লোকজন নৌকা ভ্রমণের/ চলাচলের দিন ভুলে যাচ্ছে এখন তাদের পাও ভিজানো লাগেনা একটি কথা প্রচলিত আছে বর্ষার নাও অর্থাৎ নৌকা শুকনার পাও অর্থাৎ এই পরিচালিত কথা বর্তমানে হাওরবাসীর জন্য অতীত হয়ে গেছে
সুখ নয় তারা হাওরবাসীর উপজেলাসহ জেলার যানবাহন চলাচল করে, এছাড়াও হাওড়া সুন্দর্য পিপাসু মানুষের জন্য সেতুটি বিনোদন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এগারসিন্দুর দুর্গ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া
এগারসিন্দুর দুর্গ
এগারসিন্দুর দুর্গ বা এগারসিন্দুর দুর্গ ছিল মধ্যযুগের বাংলার একটি দুর্গ, বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ আট কিলোমিটার দূরে এগারসিন্দুর গ্রামে অবস্থিত। বারো ভূঁইয়াদের নেতা ঈশা খাঁর মোগলদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দুর্গ ব্যবহার করেছিলেন বর্তমানে এই দুর্গের অস্থিত্ব নেই। এগারসিন্দুর দুর্গের পাশে রয়েছে বেতুর রাজার দীঘি, সাদি মুরগির ,দুর্গতি ঈশা খাঁর শক্ত ঘাঁটি ছিল।
এগারসিন্ধু শব্দটি এখানে এগারোটি নদী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে এ দুর্গ নামে পরিচিত হওয়ার কারণ হল এক সভায় এটি অনেকগুলি নদীর বানার শীতলক্ষ্যা আরিয়ালখা জিওর ইত্যাদি সংযোগস্থলে অবস্থিত ছিল অনুযায়ী উপজাতি প্রধান দূর্গটি নিমার্ণ করেন এদিকে তার রাজধানীতে পরিণত করেন এখানে পুরনো একটি দীঘি রয়েছে দিকে বেবুদ বাজারদিঘী বলা হয়ে থাকে ধারণা করা হয় যে এ দিঘির পাড়ে অবস্থিত ছিল, ঈশা খাঁর দুর্গটি দখল করেছিলেন দুর্গটিকে সংস্কার করে একটি শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে উন্নত করার স্বীকৃতি শাখানের ৫৮৯ খ্রিস্টাব্দে মানসিংহের দূর্গটি আক্রমণ করে কিন্তু ঈসা খানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করে তিনি ফিরে যান।
এগারসিন্দুর বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়ন এর একটি গ্রাম, গ্রামটি নদীর পূর্ব পাশে অবস্থিত, এটি ঢাকা থেকে সড়কপথে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, আবুল ফজল মুরাদ এই গ্রামটির কথা আকবরনামা উল্লেখ করেছেন, এগারসিন্দুর ইতিহাস নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে, মনে করা হয় ১০০০ খ্রিস্টাব্দে এখানে প্রথম বসতি স্থাপন করা হয়েছে, সেই সময় গ্রামটি একটি বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল, ১৯৩৩ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে এখানে মুদ্রা রুপো, অক্ষয় লোহার, লেন্স, ধনুক এবং তীর পাওয়া গেছে।
ইতিহাস
অষ্টম শতাব্দীতে, এটি একটি নদী বন্দর ছিল এবং মুসলমানদের বণিকরা মসৃণ বস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী ও রুমে নিয়ে যেত। ১৩৩৮ ফকরুদ্দিন এগারসিন্দুর বাংলায় অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন, ১৫৭৭ ঈশা খাঁর মসনদ-ই-আলা এগারসিন্দুর রাজনৈতিক ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ঈশা খাঁ আকবরের সেনাপতি মানসিংহ ময়মনসিংহের যুদ্ধ হয়। ঈশা খাঁ পরাজিত হন। শাহজাহানের রাজত্বকাল ১৬৩৮ সালে আসাম রাজ্য ৫০০ নৌকাসহ এগারসিন্দুর আক্রমণ করেন, এতে এগারসিন্দুরের পতন ঘটে।
প্রত্নতত্ত্ব
উল্লেখযোগ্য স্থাপনার মধ্যে এখানে এগারসিন্দুর দুর্গ শাহ মসজিদ ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে সাদি মসজিদ এবং কবর স্থান রয়েছে।
জঙ্গলবাড়ি ঈশা খাঁর দুর্গ কিশোরগঞ্জ করিমগঞ্জ নরসুন্দা
জঙ্গলবাড়ি ঈশা খাঁর দুর্গ
জঙ্গলবাড়ি দূর্গ বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ঈশা খাঁর স্মৃতিবাহী একটি স্থাপনা। বিশাখা ছিলেন বাংলার বারো ভূঁইয়াদের প্রধান। ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভুক্ত একটি স্থাপনা। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা নরসুন্দা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে ঈশা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত জঙ্গলবাড়ি দূর্গ। এটি ছিল তার দ্বিতীয় রাজধানী শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীনতা রক্ষায় মোগল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যেসব শাসক যুদ্ধ করেছিলেন, সেই বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ছিলেন মহালয়া বির ইশাখা।
জঙ্গলবাড়ি ঈশা খাঁর দুর্গ
ঈশা খাঁর মূল রাজধানী সোনারগাঁওয়ে হলে ও জঙ্গলবাড়ি ছিল ঈশা খাঁ দ্বিতীয় রাজধানী ।কারণ জঙ্গলবাড়ি দূর্গ থেকেই তিনি বিশাল ভাটিবাংলা শাসন করতেন, বর্তমানের জঙ্গলবাড়ি দুর্গের ভবনটি ধসে গেল দরবার কক্ষে অনেকটাই ঠিকই আছে এখনো দরবার সংলগ্ণ পান্থশালায় এখনো কিছু কক্ষের অস্তিত্ব দেখা যায়। দেওয়ালে রয়েছে ফুল ও লতাপাতার আলপনা, বাড়ির সামনে রয়েছে সেই আমলের ক্ষরণ করা বিশাল পরীক্ষা, পাশেই মসজিদ, ধারণা করা হয় ঈশা খাঁর হাট এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।
জঙ্গলবাড়ি ঈশা খাঁর দুর্গ
অযত্ন-অবহেলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে চলেছে ঐতিহাসিক জঙ্গলবাড়ি দুর্গা, মসজিদের কাছে রয়েছে এই শাখার বংশধরদের বাঁধানো কবর, প্রতিদিনই শাখা সম্পর্কে জানতে চান তার স্মৃতি বিজড়িত দুর্গ দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন।
জঙ্গলবাড়ি ঈশা খাঁর দুর্গ
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পর্যটকরা বলছেন অযত্ন-অবহেলায় সংস্কারবিহীন ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় এবং সংরক্ষণ করার মত কিছু না থাকায় পর্যটকরা দেখতে এসে হতাশা হয় স্থানীয় একজন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়।
জনাব আইরিন আক্তার বলেন আমাদের জন্মের পর থেকে এখানে আমরা এই জমিদারবাড়িতে এরকমই দেখে আসতে চাই এবং আমাদের জন্মের পর থেকে স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত এখানে কোনো সংস্কার কাজ হয়নি আমাদের চোখে পড়েনি তাই জঙ্গলবাড়ি ঈশা খাঁর দুর্গটি বর্তমানে ধ্বংস এবং ছিন্নবিচ্ছিন্ন হতে চলেছে এখনই যদি সংস্কার না করা হয় তাহলে এর কোন চিহ্ন থাকবে না।
ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ কিশোরগঞ্জ
ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ
কিশোরগঞ্জ জেলার এক ঐতিহাসিক আধুনিক স্থাপত্য। দেশ বিখ্যাত পাগলা মসজিদ এরপর জেলাটিতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মসজিদ হলো শহীদি মসজিদ। ঐতিহাসিক মসজিদ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। তাছাড়া দেশের বৃহত্তম ঈদগা ময়দান ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান এই মসজিদের কাছে অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত আধুনিক স্থাপত্যের ঐতিহাসিক নিদর্শন শহীদি মসজিদ। এবং রংয়ের কাজ দ্বারা সুসজ্জিত মসজিদের সবাইকে মুগ্ধ করে। ইতিহাস জানা যায় ১৯৪২ সালের ২৪ অক্টোবর ব্রিটিশ সরকারের সৈন্যদের গুলিতে প্রায় ১২ জন মুসল্লি আহত হন ও ৫ জন মারা যান।
বিশিষ্ট আলেমদের নিহত ও মুসল্লীদের শহীদ বলে আখ্যা দেন এবং তখন থেকেই এই মসজিদটি শহীদি মসজিদ হিসেবে পরিচিত লাভ করে। মসজিদটির আরেকটি বিশেষত্ব হলো পিলারের উপর স্থাপিত মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ১২৮ টি পিলার রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালীন মসজিদটি নির্মাণ ২০ লক্ষ টাকা অনুদান দিলেন বর্তমানে নতুনরূপে লাভ করে।
স্থান
পুরান থানা, কিশোরগঞ্জ
যোগাযোগ
জেলা প্রশাসন, কিশোরগঞ্জ
ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ এর খতিব আল্লামা আযহার আনোয়ার
কিভাবে যাওয়া যায়
কিশোরগঞ্জ শহরে রিক্সা যোগে পায়ে হেঁটে ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদের যাওয়া যায়।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু আশুগঞ্জ এর মধ্যেও মেঘনা নদীর উপর
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু কিশোরগঞ্জ
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু ভৈরব টু আশুগঞ্জ এর মধ্যেও মেঘনা নদীর উপর নির্মিত একটি বড় সেতু। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অংশ। এই সেতুর পাশে ভৈরব রেল সেতু অবস্থিত। দৃষ্টিকাড়া নান্দনিক সৌন্দর্য এবং আধুনিক স্থাপত্য কলার কারণে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু কিশোরগঞ্জ জেলার একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মেঘনা নদীর উপর স্থাপিত হয়েছে ১২০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৬০ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য চীন মৈত্রী সেতু। এই সেতুর উপর দাঁড়িয়ে মেঘনা অপার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু
এই সেতুর পাশে রয়েছে ১৯৩৭ সালে নির্মিত ঐতিহাসিক সেতু হাবিলদার আব্দুল হামিদ রেল সেতু। মেঘনার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা এ সেতুগুলোর চারপাশে দৃশ্য উভয়দিকে সংযোগ সড়ক সেতুর নিচে ওবায়দী কে সংযোগ সড়ক কৃষ্ণনগর রাজি সারিবদ্ধ মালবাহী কার্গো বিমান বিরামহীন যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌ-যান নীল আকাশে ভেসে বেড়ানোর বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দৃশ্য পর্যটকদের ও শরণার্থীদের আকর্ষণ করে।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু
কালের বিবর্তনে সড়ক পথে উন্নয়ন ঘটলেও এফ এল নদী ও রেলপথে যোগাযোগ অন্যতম মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি ও জনপ্রিয়। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোন নদী পথে অন্যতম। সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য স্থানের লঞ্চ মালবাহী কার্ব এবং নিয়মিত চলাচল করে। সড়কপথে মেঘনা নদী পার হয়ে ফেরি চালু ছিল দীর্ঘদিন, ফেরি পার হতে অনেক সময় লেগে যেত, সড়কপথে যোগাযোগের উন্নয়নে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মেঘনা নদীর উপরে ৬৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৩৫-১৯৩৭ সালে নির্মিত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু।
গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জ
গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি
গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত হোসেনপুর উপজেলার এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়িটি হোসেনপুর উপজেলায় গোবিন্দপুর ইউনিয়নে অবস্থিত এই জমিদার বাড়িটি অষ্টাদশ শতকের স্থাপত্যকলা অনুসারে নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়দের কাছে এই বাড়িটি মানবারি নামে পরিচিত। মানব নামটি মানব বাবু জমিদার বংশের বর্তমান উত্তরাধিকারী মানব কেন্দ্র চক্রবর্তী নাম অনুসারে পরিচিত। অতি প্রাচীন জমিদার বাড়ি সৃষ্টি ৮শ শতকের শেষের দিকে। দিননাথ চক্রবর্তীর হাত ধরে এর যাত্রা শুরু হয়। তিনি ইংরেজদের কাছ থেকে হোসেন শাহী পরগনার একটি অংশ কিনে এই জমিদার বাড়ি এবং জমিদারি শুরু করেন।
গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি
ইতিহাস থেকে জানা যায় বাবু অতুল চন্দ্র চক্রবর্তী সূত্রে আঠারবাড়ী জমিদার জ্ঞানদা সুন্দরী চৌধুরীর কাছ থেকে গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়িটি জমিদারিতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি
স্থানীয় ইতিহাসবিদ ও হোসেনপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক একেএম হাকিম জানান দিনরাত চক্রবর্তী পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ব্রাহ্মণ শাস্ত্রীয় পন্ডিত। তারা ১৬ শতকের দিক থেকে বর্তমান জমিদারবাড়ির দক্ষিণের শিব মন্দিরের বসতি শুরু করেন ১৮ শতকের শেষদিকে দিনরাত চক্রবর্তীর হাত ধরে বর্তমানে বাড়িটির যাত্রা শুরু হয় ইংরেজদের কাছ থেকে হোসেন শাহী পরগনার কিছু অংশ কিনে জমিদারি শুরু করেন।
গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি
দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে বাড়িতে রয়েছে কাচারি ঘর, নহবতখানা, দরবার গৃহ ও মন্দির, জাগিরের রয়েছে চারিদিকে সুউচ্চ প্রাচীর, বাড়ির সামনে রয়েছে সবুজে গেরা বিশাল বাগান ও পুকুর, যা ৯.৮৫ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত। এছাড়াও বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রয়েছে সুবিশাল অভিরাম মাঠ চাষাবাদের ব্যবস্থা, যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি
ব্রিটিশ শাসনামলে কলকাতার কাঞ্চনকে রাজা আদিশূরের সময়ে বাংলাদেশ ময়মনসিং জেলা দিননাথ চক্রবর্তীর পূর্বপুরুষ ছিলেন যেমন করতে স্মৃতি নাথ চক্রবর্তী চৌধুরী সে সময়ে জমি চাষের জন্য কোন লোকবল পাওয়া যেত না, ওই সময় গরু নিয়ে জমি দিয়ে লাঙ্গল জোয়াল হেঁটে হেঁটে ও তাকে জমি চাষ করতে বাধ্য করা হতো। ব্রিটিশদের এসব অত্যাচারের কারনে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়। কাজেই এখন আর কেউ জমি দান নাড়ি। জমিদারের জমিদারি প্রথা না থাকলেও ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে কালের সাক্ষী হয়ে আছে জমিদার বাড়ি ও বিশাল পুকুর যা নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানার সুযোগ করে দিচ্ছে ।
কুতুব শাহ মসজিদ কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলা অবস্থিত
কুতুব শাহ মসজিদ অষ্টগ্রাম
কৌতুক মসজিদ বা কুতুব শাহ মসজিদ কিশোরগঞ্জ অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলা অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও বাংলাদেশের একটি প্রাচীন মসজিদ মসজিদ।ষোড়শশতাব্দীতে কুতুবশাহ নামে এক আউলিয়া পাস গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদের নিকটে কুতুবশাহ রহমতউল্লাহ এর মাজার রয়েছে। হযরত কুতুব শাহ রহমাতুল্লাহ হযরত শাহজালাল এর সংজ্ঞা দাও তো ৩৬০ আউলিয়া একজন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। হরযত শাহাজালাল রহমাতুল্লাহ চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলাদেশে আসেন এবং ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দ শ্রী হট্ট জয় করেন। হযরত কুতুব শাহ রহমতুল্লাহর নাম অনুসারে কুতুবশাহ মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে। ১৯০৯ সালে তৎকালীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে সংরক্ষিত হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন।
সঠিকভাবে নির্ণয় করা না গেলেও মসজিদের নির্মাণ শেলী ও অলংকার এর ধরন বিশ্লেষণ করে ধরে নেওয়া যায় যে, কুতুব মসজিদ ষোল শতকের শেষভাগে নির্মিত একটি সুলতানি মসজিদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার টিকে থাকা মুসলিম স্থাপত্য এই মসজিদটিকে সবচেয়ে প্রাচীন বলে মনে করা হয়।
মসজিদের উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এবং ৪ চার কোণে রয়েছে চারটি ত্রিভুজাকৃতি বুরুজ , বুরুজ এর উপরের চারটি মিনার, বুড়োর গায়ে আলংকারিক এর কাজ রয়েছে, ৫ গম্বুজবিশিষ্ট মাঝারি আকারের কুতুব মসজিদের ছাদের কার্নিশ, ৫ টি গম্বুজ এর মধ্যে অপেক্ষাকৃত বড় এবং চার কোণের ৪ চারগুন অপেক্ষাকৃত ছোট, মসজিদের পূর্বে তিনটি এবং উত্তর দক্ষিণে একটি করে প্রবেশপত্র হয়েছে, ভেতরের পশ্চিমের কিবলার দেওয়ালে মিহরাব এর সংখ্যা তিনটি, মাঝের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ছোট ২ দুটি মিল রয়েছে, কুতুব মসজিদের বাইরে দেওয়ালের সুন্দর প্লানিং এর কাজ রয়েছে যা শেরপুর বগুড়া খেরুয়া মসজিদ এর সঙ্গে শারজা সম্পূর্ণ।
ফুল লতা পাতা সম্বলিত পোড়ামাটির ফলক ও বাইরের দেয়ালে অলংকরণের ব্যবহৃত রয়েছে, মসজিদের সামনে খোলা আঙ্গিনায় উত্তর-পূর্বদিকে ধ্বংসস্তূপ একটি পাকা কবর রয়েছে, ধারণা করা হয় যে, সম্ভব কুতুব শাহ এর, তার নামে নামেই মসজিদ হিসেবে পরিচিত, লাভ করে ।
কিভাবে যাবেন
কিশোরগঞ্জ শহরের একরামপুর রেলগেট থেকে সিএনজি, অটোরিকশা দিয়ে বালিখোলা বেরিবাধ নেবে ট্রলার বা নৌকাযোগে মিঠামইন, মিঠামইন থেকে রিকশা বা মোটরসাইকেলযোগে অষ্টগ্রাম অষ্টগ্রামে অবস্থিত কুতুব শাহ মসজিদ।
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বর কিশোরগঞ্জ
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বর
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কলেজ গুলোর মধ্যে একটি। এ কলেজে রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার তৎকালীন কিশোরগঞ্জ প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুরুদয়াল সরকারি কলেজ। গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ১৯৪৩ সাল, তখনো কিশোরগঞ্জে কোন কলেজ স্থাপিত হয় নি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান খান বাহাদুর আবদুল করিম খান সাহেবের সাথে বিবাহ মজলিসের শিক্ষা অনুরাগী আইনজীবী জনাব জিল্লুর রহমানের কিশোরগঞ্জের একটি কলেজে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আলাপ করলে তিনি স্বাচ্ছন্দে সম্মতি প্রদান করেন। ফলশ্রুতিতে তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক হোসেন চৌধুরীকে সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী ও যুগ্ম সম্পাদক শাহ আব্দুল হামিদ, প্রফুল্ল চন্দ্র ধরকে সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় আরও ছিলেন আইন পরিষদের সদস্য সহ কিশোরগঞ্জের নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিবর্গ।
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক, ও স্নাতকোত্তর বিষয়ে পাঠদান করে হয়ে থাকে। এর উচ্চমাধ্যমিকের ডিগ্রি শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা তিনটি শাখার দান করা হয় এবং শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এবং শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই কলেজগুলোকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষাকার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত।
কলেজটি প্রতিবছরই বিভিন্ন বিষয়ে ১ম স্থানসহ অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষার ফলাফল করে আসছে, তাছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কলেজে রয়েছে দক্ষ প্রশাসনসহ শিক্ষকমন্ডলী। রয়েছে সিসি ক্যামেরা চমৎকার পরিবেশ। সুদীর্ঘ ৭৫ বছরের পথ পরিক্রমায় গুরুদয়াল সরকারি কলেজ অসংখ্য কৃতিমান দেশ বরেণ্য ব্যক্তিদের জন্ম দিয়েছে। ওইসব কীতিমান শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুদয়াল সরকারি কলেজের পরিবারের সব সময় গৌরব করে, বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছে কীর্তিমানদের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খরস্রোতা নরসুন্দর তীর ঘেঁষে অবস্থিত জেলার কলেজ পর্যায় প্রথম বিদ্যাপীঠ সরকারি গুরুদয়াল কলেজ। যদিও প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কলেজটি এই নামে ছিল না। এমনকি কলেজটি এই স্থানে অবস্থিত ছিল না। আজকে ঐতিহ্যবাহী সরকারি গুরুদয়াল কলেজ হয়েছিল। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছেই অজানা ইতিহাস। ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনামলে বিদ্যমান সেই ১৯৪৩ সালের কথা। কিশোরগঞ্জ মহকুমা কোন কোন কলেজ গড়ে ওঠেনি এটিই সবথেকে ময়মনসিংহ বিভাগের ভিতরে পুরাতন কলেজ বলে আমরা জানতে পারি ।
হরযত শাহ শামসুদ্দিন রহমতউল্লাহ এর মাজার কিশোরগঞ্জ
হরযত শাহ শামসুদ্দিন রহমতউল্লাহ এর মাজার
হযরত শাহ শামসুদ্দিন আউলিয়া সুলতান বুখারী রহমতুল্লাহি এর মাজার শরীফ কুড়িখাই পুরুলিয়া কটিয়াদী কিশোরগঞ্জ হযরত শামসুদ্দীন আউলিয়ার সুলতান বুখারী রহমতুল্লাহি নাম নামক শহর থেকে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি এর সাথে তথা ৩৬০ জন আউলিয়া সাথে বাংলায় আগমন করেন। তাদের মধ্যেও প্রশিদ্ধ ১২ আউলিয়া একজন ছিলেন তিনি।
হযরত শামসুদ্দীন রহমতউল্লাহ এর পুরো নাম হরযত শাহ উদ্দিন আউলিয়া সুলতানুল বুখারী রহমতুল্লাহি, কথিত আছে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১২ আউলিয়ার অন্যতম শামসুদ্দিন রহমতুল্লাহি প্রায় ৯০০ বছর আগে তার ৩ সহচর কুড়িখাই এলাকায় আস্তানায় স্থাপন করেন।
তিনি ইহকাল ত্যাগ করলে এখানেই তাঁর মাজার গড়ে ওঠে তার মাজার কে কেন্দ্র করে ১২২৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে উন্নত গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে জানা যায়। এছাড়া মাজার সংলগ্ন একটি বৃহৎ মসজিদ, মাজার শরীফ, ফকির পাগলের ৪টি আস্তানা ভবন, অফিস ভবন, পুকুর, ভান্ডার ঘর,২টি মসজিদ, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অতিথিশালা সালে লেখা। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী কুড়িখাই মাজার দর্শনে আসেন।
৮০০ বছরের প্রাচীন দেশের অন্যতম গ্রামীণ মেলা কুড়িখাই মেলা এর অংশ হিসেবে প্রতিবছর বাংলা মাঘ মাসের শেষে সোমবার বিশাল তামার পাঁতিলের তলার রান্না আর বাউল ফকিরের আসরের মধ্য দিয়ে এই মেলা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়, পনেরো দিনব্যাপী এই মেলা চলে, এই মেলা আশেপাশের সব।
কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলা এলাকায় এই মেলাটি কিশোরগঞ্জ জেলা সবচেয়ে বড় গ্রামীণ মেলা। প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ সোমবার মেলা শুরু হয়। এই মেলায় ছেলে-বুড়ো থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষের সপ্তাহব্যাপী দীর্ঘ লাইন থাকে মেলা দিকে, এই মেলায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মাছের হাট, মেলায় বিশাল এলাকাজুড়ে বসে মাছের হাট, এই হাটে বোয়াল, চিত, রুই, কাতলা, রুই-কাতলা সিলভার, পাঙ্গাস, মাছ, বাঘায় সহ নানা ধরনের অন্তত শতাধিক মাছের দোকান বসে। মাছ বিক্রেতা কিশোরগঞ্জ নেত্রকোনা সুনামগঞ্জের হাওর ও নদী থেকে ১০০ থেকে সব মাছ সংগ্রহ করে মেলায় বিক্রি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধনাঢ্য ব্যক্তি সর্বস্তরের লোক এই মেলায় থেকে মাছ কিনে নিয়ে যান এছাড়া মেলায় হাজারো দর্শক দেখতে।
মুমুরদিয়া ইউনিয়নের পাশের ইউনিয়নের চাঁদপুর ইউনিয়ন এখানে আরো একজন শুয়ে আছেন তার সহযোদ্ধা হরযত শাহ জালাল রহমতুল্লাহি এর সাথে এসেছিলেন তিনি হলেন হরযত নিয়ে আসা রহমতুল্লাহর দরগায় চুনের দরগা বলে সারা বাংলায় পরিচিত।
কবি চন্দ্রাবতীর মন্দির কিশোরগঞ্জ
কবি চন্দ্রাবতীর মন্দির
চন্দ্রাবতী ষোড়শ শতাব্দীর কবি এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি মহিলা কবি। অণুকাব্য ছাড়াও পিতার আদেশে বাংলা ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে, ময়মনসিংহ গীতিকার এর কবি নয় ঘোষ চক্রবর্তী রচিত কথা রচনা করেন। চন্দ্রাবতী মন্দির বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত বাংলাদেশ মহিলা কবি চন্দ্রাবতী বালি একটি স্থাপনা। বাংলা সাহিত্য ইতিহাসের প্রথম বাঙালি মহিলা কবি হিসেবে সুবিখ্যাত। চন্দ্রাবতী ১৫৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা বংশীদাস বিখ্যাত কাব্য মনসামঙ্গল এর রচয়িতা এবং কবি মায়ের নাম সূচনা। কিশোরগঞ্জ শহর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে পাতায় গ্রামে ফুলেশ্বরী নদীর পাশে কারুকার্যমণ্ডিত দুটি শিব মন্দির রয়েছে এই মন্দিরে কবি চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির বা কবি চন্দ্রাবতী মন্দির হিসেবে খ্যাত।
ধারণা করা হয় এই মন্দিরগুলোতে কোভিদ জীবনী বিভিন্ন ঘটনা সম্পৃক্ততা, রয়েছে মন্দির কাছেই দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা, প্রতিদিন বিভিন্ন ছুটির দিনে অনেক মানুষ কবি চন্দ্রাবতী মন্দির দেখতে আসেন
ইতিহাস প্রচলিত আছে কিশোরের কবি চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির প্রণয়ন হয়, তাদের এ সম্পর্কের কথা মেনে কোভিদ বাবা তাদের বিবাহের দিন ধার্য করেন, পরবর্তী জয়নন্দ প্রতিশ্রুতি ধর্মালম্বী মুসলিম নারীকে বিয়ে করেন। এই ঘটনায় কবি চন্দ্রাবতী ভীষণভাবে ভেঙে পড়েন। এ সময় উপাসনার জন্য তিনি পিতার কাছে একটি মন্দির স্থাপনের অনুরোধ জানান। আবদার রক্ষা জীবন বংশীদাস ফুলেশ্বরী নদীর তীরে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। আজ অবধি এই কবি চন্দ্রাবতীর মন্দির নদীর তীরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে জেলা সদরে মাই জল কাপন ইউনিয়নের ফুলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থিত পাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কালজয়ী কবি চন্দ্রাবতী। কোভিদ লেখা কবিতা বিশ্বের প্রায় 21 ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বর্তমানে নদী চিনলো না থাকলেও কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক শিব মন্দির। দেশ-বিদেশের নানা স্থান থেকে দর্শনার্থীরা ঐতিহাসিক শিব মন্দির দেখতে ছুটে আসেন। অংশ স্মৃতি মন্দির উচ্চতা ১১ মিটার। আপনার প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ১.৭ মিটার, বাংলা সাহিত্যের একজন সার্থক নায়িকা হিসেবে কিংবদন্তি হয়ে রয়েছেন, রোমান্টিক মনের অধিকারী চন্দ্রাবতীর জীবনে ঘটে যাওয়া প্রেমের বিয়োগান্ত ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায় ময়মনসিংহের গীতিকার নয়ন ঘোষ রচিত পালায়।
১২ টি অধ্যায় ৩৫৪ সত্যের লোগোটি চন্দ্রাবতীর জীবনে তথ্যভিত্তিক লিখিত প্রামাণ্য দলিল। নয়নচাঁদ ঘোষের গণনায়, যাদের সাথে সুন্দরী চন্দ্রাবতীর ছিল গভীর প্রণয়ন পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু জয়ানন্দ আসমানী নামের একটি মেয়েকে বিবাহ করে ফেলায় চন্দ্রাবতী নাওয়া-খাওয়া ত্যাগ করেন। চন্দ্রাবতী তার পিতার নিকট প্রার্থনা করেন। প্রথমটি হলো ফুলেশ্বরী নদীর তীরে মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করা এবং দ্বিতীয় টি চিরকুমারী থাকার ইচ্ছা। পিতার ইচ্ছায় রাজি হন। অনুতপ্ত হয়ে চন্দ্রাবতীর নিকট ফিরে আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন কিন্তু চন্দ্রাবতী রাজি না হয় জনতার বাড়ির পাশে ফুলেশ্বরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরবর্তীতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দেন।
দিল্লির আখড়া কিশোরগঞ্জ, মিঠামইন উপজেলার কাট খেলা
দিল্লির আখড়া
প্রায় সাড়ে ৪০০ বছরের পুরানো দিল্লির আখড়া কিশোরগঞ্জ জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান। যদি ভাবেন স্থানটি ভারতের দিল্লির কোন অংশ, তাহলে মিঠামইন এর অবস্থান। এলাকার অন্যতম সেরা আকর্ষণ এই দিল্লির আখড়া। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ঐতিহাসিক স্থাপনা। ঠিক তেমনি এক ঐতিহাসিক স্থাপনা হলো ৪০০ বছরের পুরনো দিল্লির আখড়া। নিশ্চয়ই ভাবছেন দিল্লির আখড়া কিভাবে বাংলাদেশ এল। বলছি কিশোরগঞ্জ জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান দিল্লির আগ্রার কথা শেষ প্রান্তে এর অবস্থান হাওর এলাকার অন্যতম সেরা আকর্ষণ এই আখড়া। প্রাচীন দেওয়াল ও আর তালিকার পাশেই নদীর তীর। আর সেখানেই আছে হিজল গাছের সারি। ভিতরে অপূর্ব দৃশ্য ও নিরিবিলি পরিবেশ সবারই নজর কাড়বে। এই একরার ভিতরে আছে আধ্যাত্মিক সাধক নারায়ন গোস্বামী ও তার শিষ্য গঙ্গারাম গোস্বামীর সমাধি।
মিঠামইন উপজেলার কাট খেলা ইউনিয়নে এক নারীর অবস্থান। জানা যায়, দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে আধ্যাত্মিক সাধনার এ আখড়া টি স্থাপন করেন। আখড়ার ভিতরে ধর্মশালা, নাটমন্দির, অতিথিশালা, পাঠশালা, থাকার ঘর, সাধক নারায়ন গোস্বামী এবং অন্যতম শীর্ষ গঙ্গারাম গোস্বামীর সমাধি। দিল্লির আখড়া কে কেন্দ্র করে রয়েছে বিশাল খোলা জায়গা। চারপাশে বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে ৩০০০ হিজল গাছ। আক্রা হিজড়াদের এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি হাতছানি দিয়ে ডাকে। এসব হিজল গাছ নিয়ে রয়েছে চমকপ্রদ কাহিনী। এগুলো নাকি একটি লোক ছিল। নারায়ন গোস্বামী হিজল গাছের উপর করেন।
প্রাচীনকালের এই এলাকাটি ঝোপ-জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল, কোন হিজল গাছ ছিল না। এ লেখাটির চতুর্দিকে নীল নদী বেষ্টিত। ফলে আখড়া এলাকাটিকে মনে হতো দ্বীপের মতো্ নদীপথে নৌকা চলাচল করতে পারত না। রহস্যজনক কারণে এ নদী পথে চলা চল করি নৌকা ডুবে যেতে। বা অন্য কোনো দুর্ঘটনায় পতিত হত। একদিন নদী পথের দিল্লির একটি নৌকা মালামালসহ ডুবে যায়। অনেক চেষ্টার পর উঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হন এবং তাদের একজন সর্প দংশনে মারা যান। বানিয়াচং-এর সাধক রামকৃষ্ণ খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জে এখানে আসার নির্দেশ দেন। গুরুদেবের নির্দেশ মোতাবেক নারায়ন গোস্বামী এখানে এসে নদীর তীরে বসে। তপস্যারত হলেন হঠাৎ ক্ষমতার বলে কে যেনো তাকে হাত পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। ওই ক্ষমতাবলে তিনি ধীরে ধীরে উঠে আসেন। এভাবে প্রায় সাত দিন একই ঘটনার ঘটান। একদিন রানীর মত কে যেন বলল আপনি এখানে থাকতে পারবেন না। এখান থেকে চলে যান। উত্তর সাধক বললেন তোমরা কারা। উত্তর এলো আমরা এখানকার বাসিন্দারা। পূর্বপুরুষদের এইখানে আছি। আপনার কারণে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। সাধক বললেন তোমরা স্পোর্টস হও অর্থাৎ রূপ ধারণ করো। সঙ্গে সঙ্গে তারা একেকটা মূর্তি ধারণ করল।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
COMMENTS