এগারসিন্দুর দুর্গ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এগারসিন্দুর দুর্গ এগারসিন্দুর দুর্গ বা এগারসিন্দুর দুর্গ ছিল মধ্যযুগের বাংলার একটি দুর্গ, বর্তমান...
এগারসিন্দুর দুর্গ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া
এগারসিন্দুর দুর্গ
এগারসিন্দুর দুর্গ বা এগারসিন্দুর দুর্গ ছিল মধ্যযুগের বাংলার একটি দুর্গ, বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ আট কিলোমিটার দূরে এগারসিন্দুর গ্রামে অবস্থিত। বারো ভূঁইয়াদের নেতা ঈশা খাঁর মোগলদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দুর্গ ব্যবহার করেছিলেন বর্তমানে এই দুর্গের অস্থিত্ব নেই। এগারসিন্দুর দুর্গের পাশে রয়েছে বেতুর রাজার দীঘি, সাদি মুরগির ,দুর্গতি ঈশা খাঁর শক্ত ঘাঁটি ছিল।
এগারসিন্ধু শব্দটি এখানে এগারোটি নদী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে এ দুর্গ নামে পরিচিত হওয়ার কারণ হল এক সভায় এটি অনেকগুলি নদীর বানার শীতলক্ষ্যা আরিয়ালখা জিওর ইত্যাদি সংযোগস্থলে অবস্থিত ছিল অনুযায়ী উপজাতি প্রধান দূর্গটি নিমার্ণ করেন এদিকে তার রাজধানীতে পরিণত করেন এখানে পুরনো একটি দীঘি রয়েছে দিকে বেবুদ বাজারদিঘী বলা হয়ে থাকে ধারণা করা হয় যে এ দিঘির পাড়ে অবস্থিত ছিল, ঈশা খাঁর দুর্গটি দখল করেছিলেন দুর্গটিকে সংস্কার করে একটি শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে উন্নত করার স্বীকৃতি শাখানের ৫৮৯ খ্রিস্টাব্দে মানসিংহের দূর্গটি আক্রমণ করে কিন্তু ঈসা খানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করে তিনি ফিরে যান।
এগারসিন্দুর বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়ন এর একটি গ্রাম, গ্রামটি নদীর পূর্ব পাশে অবস্থিত, এটি ঢাকা থেকে সড়কপথে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, আবুল ফজল মুরাদ এই গ্রামটির কথা আকবরনামা উল্লেখ করেছেন, এগারসিন্দুর ইতিহাস নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে, মনে করা হয় ১০০০ খ্রিস্টাব্দে এখানে প্রথম বসতি স্থাপন করা হয়েছে, সেই সময় গ্রামটি একটি বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল, ১৯৩৩ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে এখানে মুদ্রা রুপো, অক্ষয় লোহার, লেন্স, ধনুক এবং তীর পাওয়া গেছে।
ইতিহাস
অষ্টম শতাব্দীতে, এটি একটি নদী বন্দর ছিল এবং মুসলমানদের বণিকরা মসৃণ বস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী ও রুমে নিয়ে যেত। ১৩৩৮ ফকরুদ্দিন এগারসিন্দুর বাংলায় অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন, ১৫৭৭ ঈশা খাঁর মসনদ-ই-আলা এগারসিন্দুর রাজনৈতিক ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ঈশা খাঁ আকবরের সেনাপতি মানসিংহ ময়মনসিংহের যুদ্ধ হয়। ঈশা খাঁ পরাজিত হন। শাহজাহানের রাজত্বকাল ১৬৩৮ সালে আসাম রাজ্য ৫০০ নৌকাসহ এগারসিন্দুর আক্রমণ করেন, এতে এগারসিন্দুরের পতন ঘটে।
প্রত্নতত্ত্ব
উল্লেখযোগ্য স্থাপনার মধ্যে এখানে এগারসিন্দুর দুর্গ শাহ মসজিদ ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দে সাদি মসজিদ এবং কবর স্থান রয়েছে।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS