দেবতার পুকুর খাগড়াছড়ি- রাঙ্গামাটি রোডে দেবতার পুকুর সমুদ্র সমতল হতে ৭০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় এই দেবতা পুকুর অবস্থিত। পাহাড়ের...
দেবতার পুকুর খাগড়াছড়ি- রাঙ্গামাটি রোডে
দেবতার পুকুর
সমুদ্র সমতল হতে ৭০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় এই দেবতা পুকুর অবস্থিত। পাহাড়ের পাদদেশ ১ হাজার ৩৮৬ টি শেরপুরে পৌঁছাতে হয়। সিঁড়ি বেয়ে প্রায় ২৫ মিনিটের পথ পেরোলেই দেখা মিলবে স্বপ্নের দেবতা পুকুর। কথিত আছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য জলদেবতা এ পুকুর খনন করেছে। দেবতা পুকুরের পানি কখনো শুকায় না। পুকুরের পানিকে স্থানীয় পাহাড়িরা দেবতার আশীর্বাদ মনে করেন। প্রতিবছর সংক্রান্তিতে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজারো নারী-পুরুষ-শিশু দেবতা পুকুর দর্শনে হাজির হন।
দেবতার পুকুর এ জায়গার পরিমাণ - ৫ একর
স্থানীয় লোকজন দেবতার পুকুরের পানিকে কি বলে - আশীর্বাদ
কোন মৌজায় অবস্থিত - নুনছড়ি মৌজায়
সমতল হতে কত ফুট উপরে - ৭০০ ফুট
দেবতার পুকুরে পৌঁছাতে কতটি সিঁড়ি বেয়ে যেতে হয় - ৩৮৬ টি
পুকুরের আকার দৈর্ঘ্য - ১৫০০ ফুট
পুকুরের আকার প্রস্থ - ৬০০ ফুট।
তাদের মতে এ পুকুরে গোসল করলে মনের বাসনা পূরণ হবে। প্রতিবছর বৈশাখে এখানে তীর্থ মেলা বসে। প্রাকৃতিক দৃশ্য ছাড়া ওই অঞ্চলে আদিবাসীদের, বিশেষত, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি জানতে পারবেন পানছড়ি উপজেলার শান্তিপুর অরণ্য কুটির, দীঘিনালা বন বিহার, খাগড়াছড়ি শহরের কেন্দ্রস্থলে শতবর্ষের পুরনো য়ংড বুদ্ধ মন্দির ঘুরে আসতে পারেন। পুকুরের চারিদিক সুবিস্তৃত পর্বতশ্রেণী। তারি মাঝে পূর্ব-পশ্চিমে লম্বালম্বিভাবে প্রায় ১০০০ ফুটের উপর এর অবস্থান। পুকুরের আকার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০০ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ৬০০ ফুট।
স্থান
খাগড়াছড়ি- রাঙ্গামাটি রোডে ত্রিপুরা নামক স্থানে খাগড়াছড়ি সদর হতে ১২ কিলোমিটার মােইসছড়ি হতে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
কিভাবে যাওয়া যায়
খাগড়াছড়ি- রাঙ্গামাটি লোকাল বাসে করে মাইসছড়ি পর্যন্ত যাওয়া যাবে বাকিটা পায়ে হেঁটে যাওয়া যাবে। চাঁদের গাড়ি সিএনজি ভাড়া গাড়ি করে মুড়ি পর্যন্ত যাওয়া যায়। পাহাড়ের চূড়ায় উঠার জন্য এর থেকে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় হাঁটতে হয়।
’’দেবতার পুকু ‘’ ছাড়াও খাগড়াছড়ি এর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে
রিসাং ঝর্ণা
বিডিআর সৃতিশোধ
আলুটিলার সুড়ঙ্গ
হটিকালচার পার্ক
তৈদু ছড়া ঝর্ণা
হাতিমাথা পাহাড়
মানিকছড়ি মং রাজবাড়ী
রাবার ড্রাম
পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির
নিউজিল্যান্ড পাড়া
শতবর্ষী বটবৃক্ষ
ঠান্ডা ছড়া ঝর্ণা
তৈলাফাং ঝর্ণা
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS