হিন্দা কসবা শাহী মসজিদ জয়পুরহাট হিন্দা কসবা শাহী মসজিদ ইসলামী স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম নিদর্শন হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ । জয়পুরহাট শহ...
হিন্দা কসবা শাহী মসজিদ জয়পুরহাট
হিন্দা কসবা শাহী মসজিদ
ইসলামী স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম নিদর্শন হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ। জয়পুরহাট শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইগ্রামে মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদটির কাঠামোতে কাচ, চিনামাটির টুকরা ও এর দেওয়ালে রয়েছে বিভিন্ন রকমের নকশা মোগল স্থাপত্য শিল্পের অনুকরণে করা হয়েছে।মসজিদের কক্ষের দৈর্ঘ্য ৪৯.৫০ ফুট ও প্রস্থ ২২.৫০ফুট ।ইসলামের ৫টি স্তম্ভের কথা চিন্তা করে এর ৫ টি গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে। মাঝের বড় ১টি ও চারপাশে ৪টি ছোট-রড ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে ।মসজিদের উত্তর পাশে ৪০ ফুট লম্বা মিনার রয়েছে। পূর্ব পাশে রয়েছে হরযত শাহ সুলতান বক্তিয়ার ৪জন শিষ্যের মাজার।
- মসজিদটি নির্মিত হয় - বাংলা ১৩৬৫ সালে
- মসজিদের কক্ষের দৈর্ঘ্য ৪৯.৫০ ফুট
- মসজিদের কক্ষের প্রস্থ ২২.৫০ ফুট
- মসজিদের পাশে মিনার রয়েছে - ৪০ ফুট লম্বা
- মসজিদের পাশে মিনার রয়েছে কতটি - ৫টি
- মসজিদটির কাঠামো কিসের - কাচ,চিনামাটির টুকরা
- একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে কত মুসল্লী - ৩০০-৪০০ জন
ইতিহাস
বাংলা ১৩৬৫ সালে বাগমারি পীর হিসেবে পরিচিত চিশতিয়া তরিকার অন্যতম পীর আব্দুল গফুর চিশতী রহমতুল্লাহি মাওলানা আব্দুল খালেক এর আমলে তত্ত্বাবধানে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। হযরত আব্দুল গফুর চিশতী রহমতুল্লাহি এর নকশা তৈরি ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
হিন্দা-কসবা শাহী মসজিদ বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলায় অবস্থিত ইসলামিক স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম মসজিদ। জয়পুর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মসজিদটির কাজ, চিনামাটির টুকরা অনুযায়ী করা দেওয়াল রয়েছে বিভিন্ন রকমের নকশা যা মোগল স্থাপত্য শিল্পের অনুকরণে করা হয়েছে।
বাংলা ১৩৬৫ বাগমারি হিসেবে পরিচিত অন্যতম পীর আব্দুল গফুর চিশতী রহমতুল্লাহি মাওলানা আব্দুল খালেক তারই তত্ত্বাবধানে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। হযরত আব্দুল কাদের নিজেই এর নকশা তৈরি ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
কাঠামো
মসজিদটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য অবকাঠামো। মোগল আমলের আকৃতিতে নির্মিত বেশিরভাগ মসজিদের বাইরের দেয়ালের পোড়ামাটির আস্তরণ দেখা যায়। কিন্তু এই মসজিদের বাইরে আস্তরণের পরিলক্ষিত হয় কাজ ও চিনামাটির টুকরার সমন্বয় বিভিন্ন নকশা। সূর্যের আলো করতেই এই মসজিদটির ঝলমলে নজরকাড়া রূপ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। মসজিদের কক্ষের দৈর্ঘ্য ৪৯.৫০ ফুট ও প্রস্থ ২২.৫০ ফুট । ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের কথা চিন্তা করে এর 5 টি গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে। মাঝের বড় একটিও চারপাশে চারটি গম্বুজ রড ছাড়া তৈরি হয়েছে মসজিদের উত্তর পাশে ৪০ লম্বা মিনার রয়েছে। মসজিদের মাটির নিচে একটি ছোট কক্ষ আছে যেখান থেকে আজানের ব্যবস্থা করা হয়। মিনার এর উত্তরে স্থাপন করা আছে যেখানে থেকে আজানের ধ্বনি এলাকায় মুসল্লিদের নামাজের আহ্বান জানায়। পূর্ব পাশে রয়েছে হযরত শাহ সুলতান বক্তিয়ার ৪ জন শিষ্যের মাজার।প্রায় ৩০০-৪০০ মুসল্লী এখানে একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS