এবার জাপানের বিস্তারিত। আমরা বলেছিলাম আগের পোস্টে যে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কিছু সম্পর্কে আমরা জানতে পারব। তাই এবার আমরা জাপান সম্পর্কে জা...
জাপান Japan
চারটি দিক জাপানের মোট ভূখণ্ডের ৯৭% এলাকা নিয়ে গঠিত। জাপানের জনসংখ্যা ১২৬ মিলিয়ন ২০২২। পৃথিবীর জনসংখ্যা হিসেবে এটি বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম রাষ্ট্র। জাপানের রাজধানী টোকিও । জাপান এর রাজধানীতে জনসংখ্যা প্রায় ৯.১ মিলিয়ন। জাপানের আয়তন ৩৭৭,৯৭৫ বর্গ কিলোমিটার। জাপানের জাতীয় ফুল চেরি ফুল ( সাকুরা) জাপানের জাতীয় খেলা সুমো এবং জুডো।
জাপান সাম্রাজ্যঃ ১৮৬৮ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত টিকে থাকা একটি শক্তিশালী জাতি রাষ্ট্র ছিল। ১৮৬৮ সালে মেইজি উন্নয়ন এর মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এবং ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের নতুন সংবিধান গৃহীত হলে এটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। জাপানের মূল ভূখণ্ড এবং উপনিবেশ আসিত, প্রথম বিশ্বযুদ্ধওোর প্রাপ্ত অঞ্চল সমূহ ও অন্যান্য অধীনস্থ ভূখণ্ড নিয়ে অনেকটা বিস্তৃত হয়েছিল। জাপানের রাজধানীর নাম কিয়োতো বৃহত্তম নগরী টোকিও এবং সরকারি ভাষা জাপানি ভাষা স্বীকৃতি আঞ্চলিক ভাষা আইনু ভাষা রুশ ভাষা ওকিনাওয়ান ভাষা জাপানের ধর্ম ধর্মনিরপেক্ষতা (দে জুরি) শিন্তো ধর্ম (দে ফাক্তো) এবং জাতীয়তাসূচক বিশেষণ জাপানি সরকার এক কেন্দ্রিক পূর্ণ রাজতন্ত্র (১৮৬৮-১৮৮৯) এককেন্দ্রিক সংসদীয় আধা সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (১৮৮৯-১৯৪৭)
- মেইজি পুনরুত্থান - ৩ জানুয়ারি ১৮৬৮
- মেইজি সংবিধান - ১৮৮৯
- প্রথম চীন জাপান যুদ্ধ - ১৮৯৪
- রুশ-জাপান যুদ্ধ - ১৯০৪
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ - ১৯১৪
- মুগদাল ঘটনা - ১৯৩১
- দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধ - ১৯৩৭
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ - ১৯৪১
- জাপানের আত্মসমর্পণ - ১৯৪৫
- জাপানের নতুন সংবিধান প্রণীত - ৩ মে ১৯৪৭
- জাপানের জাতীয় খেলা - সুমো এবং জুডো
- জাপানের আয়তন - ৩৭৭,৯৭৫ বর্গ কিলোমিটার
- জাপানের জনসংখ্যা - ১২৬ মিলিয়ন ২০২২
- পৃথিবীর জনসংখ্যা হিসেবে এটি বিশ্বের - ১০ম বৃহত্তম রাষ্ট্র
- জাপান এর রাজধানীতে জনসংখ্যা প্রায় - ৯.১ মিলিয়ন
১৯৪৭ সালে আমেরিকান হস্তক্ষেপে জাপানের নতুন সংবিধান গৃহীত হয় এবং জাপান সাম্রাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে অবসান ঘটে। তবে যুদ্ধোত্তর পূর্ণগঠন ১৯৫২ সাল অবধি অব্যাহত ছিল যার ফলে বর্তমান সাংবিধানিক রাজতন্ত্র বাদী জাপানের জন্ম হয়।
এরপর জাপান খুব দ্রুত রাজনৈতিক ও সামরিক ভাবে অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে।সাম্রাজ্য বিস্তারের লক্ষ্যে তৎকালীন চীন, রাশিয়া, তাইওয়ান, কোরিয়া, রিভিউ সহ অনেক দেশের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন অঞ্চল অধিকার করে নেয়। অবশেষে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির সাথে ও দ্বিতীয় যুদ্ধ তে অক্ষশক্তির সাথে যোগ দিয়ে জাপান এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশাল অংশের মালিকানা লাভ করে। এভাবেই জাপান বিশাল বড় সাহায্যে তৈরি করে।
জাপানের সাগরের যে তিনজন সম্রাট ছিলেন, যদিও হিরো হিরোর শাসনামল শেষ হওয়ার পূর্বে সাহায্য অবসান ঘটে। তারা তিনজন হলেন- সম্রাট মেইজি ১৯১২-১৯৬৭ (মুতসুহিত) সম্রাট তাইশো ১৯১২-১৯২৬ (ইউশিহিতো)ও সম্রাট শোয়া ১৯২৬-১৯৮৯ (হিরোইতো)
জাপানকে বলা হয় সূর্য উদয়ের দেশ।এটিকে কেন সূর্যোদয়ের দেশ বলা হয় আপনারা কি জানেন?কারণ এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পূর্বের দেশ।এই কথা দ্বারা আমরা বুঝতে পারি জাপান পৃথিবীর পূর্বদিকে অবস্থিত। তাই যথারীতি জাপানের সর্বপ্রথম সূর্য উদয় হয় এবং সূর্য দেখা যায়। তাই জাপানকে সূর্যোদয়ের দেশ বলা হয়।আর ভূমিকম্পের দেশ।এখানে প্রচুর ভূমিকম্প হয়। এখন বলা যাক ভূমিকম্পের কথা।এখানে প্রায় ৮ থেকে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তাই এখানে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। জাপানের বিল্ডিং, বাড়িঘর এই ভূমিকম্পের জন্য বিধ্বস্ত হয়। তাই জাপানের ইঞ্জিনিয়াররা খুব ভালোভাবে বিল্ডিং কন্সট্রাকশন এর কাজ করে। যাতে ভূমিকম্প বিল্ডিংগুলো বিধ্বস্ত না হয়।জাপানে অনেক সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থান আছে। যা পর্যটকদের মন কারে। তাই বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা এদেশে ঘুরতে আসে।
জাপানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়
জাপানি ভিসার আবেদন পত্র পত্রি কর্মদিবসে দূতাবাস এর গেটের বিতরণ করা হয় এবং আপনি ভিসা আবেদন পত্রের ক্লিক করেও এটি পেতে পারেন। এছাড়া, একই ফর্ম ইন্টার্নেট অনুসন্ধানে জাপান ভিসা ফর্ম মূল শব্দ গুলির সাথে পাওয়া যাবে। ফর্ম গুলো অবশ্যই পুরন করতে হবে। তা না হলে ভিসার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
জাপানে কয় ধরনের ভিসা পাওয়া যায়
জাপানের ৫ ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। জাপানে উল্লেখ যোগ্য কিছু ভিসা রয়েছে। যেমন জাপান ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা, জাপান স্টুডেন্ট ভিসা, জাপান কাজের ভিসা, জাপান টুরিস্ট ভিসা, জাপান বিজনেস ভিসা।
জাপান ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা
একটি ইমেজ অফ পাসপোট, একটি যার নির্ধারিত আরো ৩০ দিন বাকী থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বইয়ের দুটি অ-ব্যবহৃত/ থাকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
ভিসার আবেদন পত্র: আবেদনপত্র তারিখ তারিখসহ স্বাক্ষরিত ফর্ম ফরম পূরণ করা ভিসার আবেদনপত্র থাকতে হবে।
ছবি স্পেসিফিকেশন : ছবি থাকতে হবে যারা কার হবে ৩৫ মি.মি * ৪৫ মিমি । সেই ছবি যাতে ৩ মাসে বেশি না হয়।
স্বাস্থ্য মূল্যায়ন পত্র: আপনাকে স্বীকৃতি স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিতে হবে। করুনার দিয়েছেন কিনা তারও একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আসল কপি।
আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমণ করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসনের বিবরণ দেখাতে হবে।
সিঙ্গেল আইডেন্টি কমেন্ট: বাংলাদেশের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি থাকতে হবে।
ম্যারেজ সার্টিফিকেট: স্কুল সার্টিফিকেট আবেদন পত্র জমা দিতে হবে।
জাপান স্টুডেন্ট ভিসা
মেয়াদযুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা যার মেয়াদ নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরো ৩০ দিন বাকী থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বইয়ের দুটি ব্যবহৃত থাকা পাতা থাকতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন পত্র: সঠিক তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথভাবে ফরম পূরণ করা ভিসার আবেদনপত্র থাকতে হবে। ছবি স্পেসিফিকেশন ছবি থাকতে হবে যারা কার হবে ৩৫ মি.মি * ৪৫ মিমি । সেই ছবি যাতে ৩ মাসে বেশি না হয়।
কভার লেটার: আবেদনকারী সম্পূর্ণ বিবরণ থাকতে হবে। তার সাথে পাসপোর্ট এর বিস্তারিত বিবরণ এবং ভ্রমণের জন্য স্টুডেন্টের কারা বহন করবে তার বিবরণ উল্লেখ থাকা একটি কভার লেটার তৈরি করতে হবে।
তালিকাভুক্তির নিশ্চিত করা: আপনি যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে চান সেখানে গ্রহণযোগ্যতা পত্র সহ কিন্তু সীমাবদ্ধ নয় মনোনীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি পেমেন্ট এ রশিদ: একটি অর্থ প্রদান এর থাকতে হবে যার মাধ্যমে বোঝা যাবে যে আপনি প্রতিষ্ঠানকে সঠিক পরিমাণে অর্থ প্রদান করেছেন কিনা।
একাডেমিক ডকুমেন্টস: আপনার সমস্ত একাডেমিক ডুকুমেন্ট দূতাবাস তথা কনসুলেট এ জমা দিতে হবে এবং তার সাথে সত্যায়িত করে নিতে হবে।
আর্থিক অর্থপ্রদান: আপনার পড়াশোনার সময় খরচ করার জন্য আর্থিক উপায় এর সঠিক প্রমাণ সহ উল্লেখ থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃতি মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিতে হবে করুণা নিয়েছেন কিনা তারও প্রমাণ জমা দিতে হবে।
স্বাস্থ্য মূল্যায়ন পত্র: আপনাকে স্বীকৃতি স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিতে হবে। করুনার দিয়েছেন কিনা তারও একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আসল কপি।
আবাসন এর বিস্তারিত বিবরণ: আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমণ করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আবাসনের বিবরণ দেখাতে হবে।
সিঙ্গেল আইডেন্টি কমেন্ট: বাংলাদেশের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি থাকতে হবে।
IELTS স্কোর এর সার্টিফিকেট : IELTS কোর্স করাকালীন পরীক্ষা স্কুলের সার্টিফিকেট আবেদনপত্রের সাথে প্রদান করতে হবে ।
জাপানে কাজের ভিসা
মেদযুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা যার মেয়াদ নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরো ৩০ দিন বাকী থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বইয়ের দুটি ব্যবহৃত থাকা পাতা থাকতে হবে।
কোম্পানী কর্তৃক অফার লেটার: যে কোম্পানির কাজের অফার করেছে তাদের অফার লেটার।
ভিসার আবেদন পত্র: আবেদনপত্র তারিখ তারিখসহ স্বাক্ষরিত ফর্ম ফরম পূরণ করা ভিসার আবেদনপত্র থাকতে হবে।
ছবি স্পেসিফিকেশন ছবি থাকতে হবে যারা কার হবে ৩৫ মি.মি * ৪৫ মিমি । সেই ছবি যাতে ৩ মাসে বেশি না হয়।
স্পন্সরের আকামার কবি: কাজের জন্য যার মাধ্যমে স্পন্সর করা হচ্ছে তারা কামার কবে দিতে হবে।
স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃতি মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিতে হবে করুণা নিয়েছেন কিনা তারও প্রমাণ জমা দিতে হবে।
স্বাস্থ্য মূল্যায়ন পত্র: আপনাকে স্বীকৃতি স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিতে হবে। করুনার দিয়েছেন কিনা তারও একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আসল কপি।
জাপান টুরিস্ট ভিসা
মেদযুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা যার মেয়াদ নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরো ৩০ দিন বাকী থাকে। তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বইয়ের দুটি ব্যবহৃত থাকা পাতা থাকতে হবে।
কোম্পানী কর্তৃক অফার লেটার: যে কোম্পানির কাজের অফার করেছে তাদের অফার লেটার।
ভিসার আবেদন পত্র: আবেদনপত্র তারিখ তারিখসহ স্বাক্ষরিত ফর্ম ফরম পূরণ করা ভিসার আবেদনপত্র থাকতে হবে।
ছবি স্পেসিফিকেশন ছবি থাকতে হবে যারা কার হবে ৩৫ মি.মি * ৪৫ মিমি । সেই ছবি যাতে ৩ মাসে বেশি না হয়।
স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃতি মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিতে হবে করুণা নিয়েছেন কিনা তারও প্রমাণ জমা দিতে হবে।
স্বাস্থ্য মূল্যায়ন পত্র: আপনাকে স্বীকৃতি স্বাস্থ্য মূল্যায়ন এর মাধ্যমে প্রশংসাপত্র নিতে হবে। করুনার দিয়েছেন কিনা তারও একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন: জন্ম নিবন্ধন পত্র এর একটি আসল কপি থাকতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আসল কপি।
জাপানের বিষয়ে আরো অনেক কিছুই বলা যেত কিন্তু আজ এত টুকুই আল্লাহ হাফেজ সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ
COMMENTS