কিশোরগঞ্জ জেলা দর্শনীয় স্থান প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৮৪ শোলাকিয়া ঈদগাহ শোলাকিয়া ঈদগাহ উপমহাদেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বাংলাদেশের তথা কিশোরগঞ্জ জে...
কিশোরগঞ্জ জেলা দর্শনীয় স্থান
প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৮৪
শোলাকিয়া ঈদগাহ
শোলাকিয়া ঈদগাহ
উপমহাদেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বাংলাদেশের তথা কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত
ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহময়দান। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজের জন্য প্রতিবছর এই ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান কালের স্রোতে পরিণত হয়েছে একটি ঐতিহাসিক স্থান। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। কিশোরগঞ্জের এই ময়দানের বিশাল জামাত গর্বিত ও ঐতিহ্য করেছে কিশোরগঞ্জবাসী কে। তিন লক্ষাধিক
মুসল্লী বর্তমানে একসঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন। শটগানের গুলির শব্দে নামাজের শুরু হয়। কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব নরসুন্দা নদীর তীরে এর অবস্থান। বর্তমানে এই ঈদগাহে ইমামতি করেন ইমাম ফরিদ উদ্দিন মাসুদ।
মাঠের ইতিহাস
সুদূরের ইয়েমেন থেকে আগত শোলাকিয়া সাহেবের বাড়ির পূর্বপুরুষ সুফী সৈয়দ আহমেদের তার তালুকের ইসলামের বাণী প্রচারের জন্য সুদূর ইয়েমেন থেকে ১৮২৮ সালে নরসুন্দা নদীর তীরে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন। ওই জামাতে ইমামতি করেন সুফী সৈয়দ আহমেদ নিজেই। অনেকের মতে মুনাজাতে তিনি মুসল্লিদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে সোয়া লাখ কথাটি ব্যবহার করেন, আরেক মতে, সেদিনের জামায়াতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ লোক জমায়েত হয়। ফলের নাম হয় সোয়া লাখ। পরবর্তীতে উচ্চারণের বিবর্তনে শোলাকিয়া চালু হয়ে যায় । আবার কেউ কেউ বলেন মোগল আমলে এখানে অবস্থিত পরগনা রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। উচ্চারণের বিবর্তনের শোলাকিয়া নাম হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৫০ সালে স্থানীয় দেওয়ান মান্নান দাদ খা এই ময়দানকে অতিরিক্ত ৪.৩৫ একর জমি দান করেন।
মাঠের বর্ণনা
ঈদগা মাঠের আয়তন ৭ একর । নরসুন্দা নদীর তীরে শোলাকিয়ার অবস্থান। বর্তমানে শোলাকিয়া পূর্বপ্রান্তের প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই ঈদগাঁও মাটি চারপাশে উঁচু দেয়ালে ঘেরা মাঝখানে ফাঁকা রাখা হয়েছে যাতে মানুষ মাঠে প্রবেশ ও বের হতে পারে। এছাড়া এই মাটির দেওয়ালে কোন দরজা নেই। শোলাকিয়া মাঠে ২৬৫ শারির প্রতিটিতে ৫০০ করে মুসল্লিদের আবার ব্যবস্থা আছে। ফলে মাঠের ভিতর সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৫০০ মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে ঈদ-উল-ফিতরের সময় দেখা যায়, আশপাশের সড়ক, খোলা জায়গা, এমনকি বাড়ির উঠানে ও নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এভাবে সর্বমোট প্রায় ৩ লাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ পড়ে থাকেন। এবং এই মুসল্লির এই সংখ্যা প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। শোলাকিয়া ঈদগাহ ব্যবস্থাপনার জন্য ৫১ সদস্য কার্যনির্বাহী কমিটি রয়েছে। ঈদের নামাজের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি মূলক কর্মকান্ড এই কমিটি করে থাকেন।
ভ্রমণপিয়াসু বন্ধুদের যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তারা আমাদের এই পেজটি কে ফলো করতে পারেন আমরা সারা বাংলাদেশে কোথায় কোথায় ভ্রমণের স্থান রয়েছে আমাদের এই পেজটিতে পাবেন আর যদি জেলে যায় নাম আপনারা পাবেন না আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS