বার শিবালয় মন্দির জয়পুরহাট বারো শিবালয় মন্দির জয়পুরহাট সদর থেকে তিন মাইল উত্তর-পশ্চিমে ছোট যমুনা নদীর তীরে বেল আমরা গ্রামে এই মন্দিরট...
বার শিবালয় মন্দির জয়পুরহাট
বারো শিবালয় মন্দির
জয়পুরহাট সদর থেকে তিন মাইল উত্তর-পশ্চিমে ছোট যমুনা নদীর তীরে বেল আমরা গ্রামে এই মন্দিরটি অবস্থিত। প্রকৃতি-পরিবেশ স্থানে ১২টি শিব মন্দির রয়েছে। মন্দির গুলি কোন যুগের এবং কার দ্বারা নির্মিত তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে মন্দিরের গঠন প্রণালি ও নির্মাণশৈলী দেখে ধারণা করা হয় এগুলি সেন যুগে নির্মিত। কারণ সেন রাজা বল্লাল সেন ছিলেন শিবের উপাসক তথা শৈব । এতদঞ্চলে সেন রাজাদের আরো কিছু তৃপ্তি রয়েছে। পাঁচবিবির লকমা রাজবাড়ি ও পাথরঘাটা। এ থেকে ধরে নেওয়া যায় যে, রাজা বল্লাল সেন শিব উপসনার জন্য এখানে মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।
- শিব মন্দিরে রয়েছে - ১২টি শিব
- রাজা বল্লাল সেন শিব উপসনার জন্য - মন্দির নির্মাণ করেছিলেন
- বারো শিবালয় মন্দির টি অবস্থিত - জয়পুরহাটের বেল আমলা গ্রামে অবস্থিত
- প্রতিবছর পূজা আর্চনা আয়োজিত হয় - ফাল্গুন মাসের চতুর্দশী তে
- শিবরাত্রি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় - বিশাল মেলা
ইতিহাস
বারো শিবালয় মন্দির টি জয়পুরহাটের বেল আমলা গ্রামে অবস্থিত। বার শিবমন্দির প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের সাক্ষ্য বহন করে আজও দাঁড়িয়ে আছে। বারো শিবালয় এর সঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয় যে রাজা বল্লাল সেন শিবের উপাসক ছিলেন বলে তিনি এই মন্দির স্থাপন করেন। আবার কারো কারো মতে ইতিহাস পরিচিত জগৎশেঠের মতন ছিলেন রাজীব লোচন মন্ডল নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি ছিলেন ধার্মিক কায়স্থ। যিনি ১৭০০ বারো শিবালয় মন্দির কে নির্মাণ করেন। রাজীব লোচন মন্ডলের বংশের অধঃস্তন জ্ঞানেন্দ্র নাথ চৌধুরী একসময় এখানকার বিশাল জমিদারি মালিক ছিলেন। আমলা হতে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য মতে এবং সেখান থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন প্রকার চন্ডী মূর্তি, সূর্য মূর্তি, বাসুদেব মূর্তি, দেখে ধারণা এক কালে এখানে জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান ছিল। পর্যায়ক্রমে গতি নাথ দত্ত ও চৌধুরী তাঁর পুত্র গিরিলাল দত্ত চৌধুরীর সময় জমিদারি সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
ফাল্গুন মাসের চতুর্দশী তে শিবরাত্রি বারো শিবালয় ঘিরে প্রতিবছর পূজা আর্চনা আয়োজিত হয়। শিবরাত্রি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল মেলা। মেলায় মানত, শিভ দর্ষণ, গীতা পাঠ, উলুর ধ্বনি আর ঐতিহ্যবাহী ঢাক ঢোলের বাজনা এলাকা মুখরিত হয়। এছাড়া দেশের সুখ সমৃদ্ধ ও মানব কল্যাণে শিব ঠাকুর কে সন্তুষ্ট করতে আলো-আঁধারিতে মাঝে কীর্তন গানের অনুষ্ঠান করা হয়। মেলায় বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্র খেলনা পুতুল ঘর সাজানোর জিনিসপত্র বিভিন্ন প্রকার বেচাকিনা জমে ওঠে।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS