ধলা জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান ধলা জমিদার বাড়ি ১৩৩১ বঙ্গাব্দ জমিদার গিরিশ চন্দ্র পাল মদনের কাটল বাড়ি জমিদার এর নিকট থেক...
ধলা জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান
ধলা জমিদার বাড়ি
১৩৩১ বঙ্গাব্দ জমিদার গিরিশ চন্দ্র পাল মদনের কাটল বাড়ি জমিদার এর নিকট থেকে তিন আনা জমিদারি করায় করে। বর্তমান বসতবাড়িতে ১৩৩১ বঙ্গাব্দের নির্মিত হয়েছিল বলে জানা যায়। জমিদার বাড়িটি কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত তাড়াইল উপজেলা নামক গ্রামে অবস্থিত। বাড়িতে উদ্বোধনকালে ৪০ মন মিষ্টি বিতরণ হয়েছিল বলে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানা যায়। বর্তমানে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা জমিদারবাড়ির প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন তাড়াইল বাসির গর্বের জায়গা। উপজেলার ঐতিহ্য ও অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে এই জমিদার বাড়ি। অথচ প্রাচীন স্থাপত্য সেলিও কালের সাক্ষী এই জমিদার বাড়িটি । জমিদারবাড়ির সুউচ্চ শক্তিশালী সীমানা প্রাচীর এর ভিতরে ৫২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নিরাপত্তা ।
ধলা জমিদার বাড়ি
১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর জমিদার ও তার স্বজনরা এ বাড়ি ছেড়ে চলে যান ভারতে। পরবর্তীতে ১৯৬২ জমিদারের অনুপস্থিতিতে এবার ই এস এ রেকর্ড অনুমোদন হয় জমিদার নামেই। ভূমি অফিসের তথ্য থেকে জানা গেছে,৯টি ভিন্ন ভিন্ন দাগে প্রায় ১০ একর ভূমি নিয়ে ছিল এই জমিদার বাড়ি। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় সমুদয় ভূমি ও বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় সরকার। দেশের রাজনৈতিক পালাবদল ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা ইতিমধ্যে জমিদারবাড়ির প্রায় ৫ একর ভূমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৫ একর ভূমি এখন দখলমুক্ত রয়েছে।
ধলা জমিদার বাড়ি
তবে এই ভূমিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ ও জমিদারের কাচারি নামে ভবনী ইউনিয়ন ভূমি অফিস। এসব প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ৬ ভিন্ন ভিন্ন ধাগে ২ একর ৫৩ শতাংশ ভূমি রয়েছে জমিদার বাড়ির মূল অংশে। মুঘল স্থাপত্য রীতি মেনে চুন সুরকি দিয়ে গড়া বাড়ির মূল অংশ দুটি সিংহের মুখোমুখি অবস্থানে প্রতিচ্ছবি সংবলিত দৃষ্টিনন্দন মূল ফটক, জমিদারি ভগ্নস্তূপে পরিণত অতিথিশালা, বাড়ির সামনে পিছনে ২টি পুরো একটি সুবিশাল খেলার মাঠ রয়েছে।
ধলা জমিদার বাড়ি
দেশ ও দেশের বাইরে থেকে আগত ভ্রমণপিয়াসু পর্যটকদের কাছে এর স্থাপত্য নিদর্শন ও ধ্বংসাবশেষ আজও জানান দেয় জমিদারের অতীত। অবহেলার সংস্কারের অভাবে প্রাচীন ভ্রমণ গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে খসে পড়ছে।
যোগাযোগ
সিএনজি অটোরিকশাযোগে কিশোরগঞ্জ শহরের শহীদি মসজিদের সামনে থেকে যাওয়া যায়
স্থান
জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত তাড়াইল উপজেলার গ্রামে অবস্থিত
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS