আছরাঙ্গা দীঘি জয়পুরহাট Acharanga Dighi Joypurhat আছরাঙ্গা দীঘি Acharanga Dighi ক্ষেতলাল উপজেলা অবস্থিত আছরাঙ্গা দীঘি Acharanga Dighi একট...
আছরাঙ্গা দীঘি জয়পুরহাট Acharanga Dighi Joypurhat
আছরাঙ্গা দীঘি Acharanga Dighi
ক্ষেতলাল উপজেলা অবস্থিত আছরাঙ্গা দীঘি Acharanga Dighi একটি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। ইতিহাস থাকলেও তৎকালীন রাজশাহী জেলার তাহিরপুর রাজবংশের পূর্বপুরুষ নারায়ণের ১৩শ বংশধর মৌন ভট্ট ৯ম শতকে এই দীঘিটি খনন করেন। বরেন্দ্র এলাকায় বর্ষাকাল ব্যতীত অন্য সময়ে বৃষ্টি না হওয়ার দরুন কৃষি জমি চাষের উপযোগী হয়। ওই কৃষিজমি কৃষি জমি চাষের উপযোগী করার জন্য মৌন ভট্ট ৯ম শতকে প্রারম্ভে এই দীঘির খনন কাজ শুরু করেন। নবম শতকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যই দিঘির কাজ শেষ হয়। এই দীঘির পানি দ্বারা অগ্রহায়ণ মাসের আমন ধানের ফলন হয়। পৌষের শুরুতে ধানের ক্ষেত গুলো থেকে পেকে লাল রঙ ধারণ করত। আর এ কারণেই এই উপজেলার নাম ক্ষেতলাল হয়েছে।
- মোট আয়তন - ২৫.৫০ একর
- ধারণা করা হয় প্রায় - ১২০০ বছর পূর্বের
- ফুট দৈর্ঘ্য - ১১০০
- ফুট প্রস্থ - ১০৭০
- দীঘিটি পুনরায় ক্ষরণ খনন করা হয় - ১৯৯২ সালে
- উদ্বোধন করেন - তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া
- দীঘিটি খনন কালে কতটি মূর্তি পাওয়া গেছে - ১২টি
- নাম - আছরাঙ্গা দীঘি Acharanga Dighi
নামকরণ
পৌষ মাসের শুরুতে ধানের ক্ষেত গুলো লাল রং ধারণ করতো। আর এ কারণেই এই উপজেলার নাম করণ হয়েছে ক্ষেতলাল।
ইতিহাস
আছরাঙ্গা দীঘি Acharanga Dighi , দীঘিটির সঠিক কোন ইতিহাস লিপিবদ্ধ না থাকলেও জানা যায় তৎকালীন রাজশাহী জেলার তাহিরপুর আদি রাজবংশের পূর্বপুরুষ ভট্ট নারায়ণের ১৩শ বংশধর মৌন ভট্ট ৯ম শতকের এই দীঘিটি খনন করেন। জনশ্রুতি আছে যে আদিকালে আগ্রহ মাসে আমন ধান ক্ষেত চাষ হতো।
পরিচয়
মোট আয়তন ২৫.৫০ একর । ধারণা করা হয় প্রায় ১২০০ বছর পূর্বে ১১০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০৭০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট এই দীঘিটি খনন করা হয়।দীঘিটি পুনরায় খনন করা হয় ১৯৯২ সালে । তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজ হাতের দিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উদ্বোধন করেন। এই দীঘিটি খনন কালে ১২টি মূর্তি পাওয়া গেছে যা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে দীঘিটির চতুর্দিকের পারে একটি পাকা রাস্তা তৈরি আছে।
আছরাঙ্গা দীঘি Acharanga Dighi চারপাশে চারটি বাঁধাই করা ঘাট আছে। শীতকালে বিভিন্ন প্রকার অতিথি পাখির আগমন এর দিঘিটি হয়ে ওঠে কল কাকলিতে ভরপুর। চারিদিকে অসংখ্য গাছপালা এবং স্বচ্ছ পানি এর প্রকৃতি পরিবেশ এর সৃষ্টি করেছে যা সকলকে আকৃষ্ট করে। প্রতিবছর অসংখ্য ভ্রমণপিয়াসু লোকেরা এখানে আগমন ঘটে।
আছরাঙ্গা দীঘি Acharanga Dighi ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন এর তুলসী গঙ্গা নদীর পাশে অবস্থিত। দিঘির আয়তন প্রায় ২৬.০০ একর। চারপাশে চারটি বাঁধাই করা ঘাট আছে। সনাতন ধর্ম সহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের তীর্থস্থান হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। এটিকে কেন্দ্র করে মাজার, মন্দিরসহ সনাতন ধর্মীয় পুরাকীর্তি গড়ে ওঠে। কথিত আছে এই দীঘির জল কাকপক্ষী জলের নেয় স্বচ্ছ। সুমিষ্ট ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। শীতকালে বিভিন্ন প্রকার অতিথি পাখির আগমনে হয়ে ওঠে কাল কাকলিতে ভরপুর।
প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি সুদীর্ঘকাল যত্নের অবহেলায় ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে তার সৌন্দর্য। প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের দৃষ্টি আশা করছি।
জেনে নিন ভ্রমণের দরকারি টিপসঃ Know Useful travel tips
শীতকালীন ছুটিতে ঘুরতে বা বেড়াতে যাওয়া আরামদায়ক তাই শীতকালে পরিবার পরিজন নিয়ে যেকোন ভ্রমণস্পটে বা পিকনিকে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক।এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ঘুরতে যাবেন তার আগে প্রয়োজন প্রস্তুতি । ঘুরতে যাওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে।
সাথে রাখুনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জরুরি ফোন নম্বরসমূহ, হোটেল বা কটেজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। শীতবস্ত্র, পানির বোতল, রোদের চশমা, ফোনের চার্জার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, অতিরিক্ত অর্থকরি।
কোথায় যাবেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নির্ধারণ করে নিন আপনি কোথায় যেতে চান। বেড়াতে যাওয়ার আগে দেখুন কোন জেলার কোথায় কি কি দর্শণীয় স্থান রয়েছে। দেখে ভেবে নিন কোথায় বেড়াতে যাবেন। শীতকালের জন্য ভ্রমণের উপযোগী স্থানসমূহ হলো সাগর, পাহাড়, হাওড়, বন, নদী ঠিক কোন জায়গা আপনার বেশি পছন্দ সঙ্গে কাদের নিয়ে যাবেন। যেখানে যাবেন সেখানকার সুযোগ-সুবিধা কেমন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন কোথায় যাওয়া ভালো্।
কিভাবে যাবেনঃ
ভ্রমণে পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কার, লঞ্চ কোনটায় যাবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ফোনে বা কারো মাধ্যমে রাস্তার লোকেশন জেনে নিন।
COMMENTS