পুলিশ ভেরিফিকেশন Police verification যে সকল বিষয়ে তদন্ত করা হয় পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় যেসকল সাধারণ প্রার্থীর নিকট হতে তদন্ত করা হয় সেগ...
পুলিশ ভেরিফিকেশন Police verification
যে সকল বিষয়ে তদন্ত করা হয়
পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় যেসকল সাধারণ প্রার্থীর নিকট হতে তদন্ত করা হয় সেগুলো হলো
১। প্রার্থীর পুরো নাম
২। প্রার্থীর জাতীয়তা
৩। প্রার্থীর পিতার পুরো নাম জাতীয়তা
৪। প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা ( বাড়ির দলিল এর কপি / বিদ্যুৎ বিল / গ্যাস বিল / ওয়াসা বিল / টেলিফোন বিল / ইত্যাদির কবি ।
৫। প্রার্থীর বর্তমান স্থল এর ঠিকানা
৬। প্রার্থীর বৈবাহিক অবস্থা
৭। প্রার্থীর বিগত ৫ বছর যেসব ঠিকানায় অবস্থান করেছেন সেগুলোর ঠিকানা
৮। প্রার্থীর জন্মতারিখ ( মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা জন্ম সনদ)
৯। প্রার্থীর জন্মস্থান ( গ্রাম, ইউনিয়ন, থানা/ উপজেলা, জেলা ইত্যাদি
১০। প্রার্থীর ১৫ বছর বয়স হতে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ( বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, ইত্যাদি)
১১। প্রার্থী যদি কোনো সরকারি,আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, স্থানীয় সরকারের কোন সংস্থা বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পূর্বে চাকুরী করে থাকেন বা বর্তমানে কর্মরত থেকে থাকেন, সেগুলোর তথ্য।
১২। প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/ কন্যা/ নাতি/ আপনি কিনা?
১৩। প্রার্থী অন্য কোন কোটাধারী কিনা?
১৪। প্রার্থীর কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা?
১৫। প্রার্থী ফৌজদারি, রাজনৈতিক, বা অন্য কোন মামলায় অভিযুক্ত, গ্রেফতার, বা দণ্ডিত নজরবন্দি বা কোন বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা হতে বহিষ্কার হয়ে থাকলে তার তথ্য।
১৬। প্রার্থীর নিকট আত্মীয় স্বজন( পিতা, মাতা, ভাই, বোন, আপন মামা, চাচা, খালু, ইত্যাদি বা শশুরের দিকের অনুরূপ কোনো নিকট আত্মীয়) বাংলাদেশ সরকারের কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান চাকরিতে থাকলে সেগুলো তথ্য।
১৭। কোন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বা নৈতিক স্খলন রেকর্ড রয়েছে কিনা।
১৮। প্রার্থী ইতিপূর্বে কোন সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন কিনা?
১৯। প্রাপ্তি কোন রাষ্ট্রদ্রোহী বা নাশকতামূলক কার্যকলাপে জড়িত আছেন/ ছিলেন কিনা?
২০। প্রার্থীর চারিত্রিক ও সামাজিক অবস্থান
২১। এছাড়াও আবেদন এর ধরন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় অন্য যেকোনো বিষয়ে তদন্ত হতে পারে।
পুলিশ ভেরিফিকেশন কি?
সাধারণত চাকরি, পাসপোর্ট, লাইসেন্স বা অন্য কোন প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আবেদনকারী কর্তৃক প্রদান কিনা তা পুলিশ কর্তৃক যাচাই করা কে ভেরিফিকেশন বা সত্যতা প্রতিবাদন বলে। ভেরিফিকেশন তথ্যদির সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি প্রার্থীর চারিত্রিক ও সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হয়।
কোন ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন হতে পারে?
সরকারি, আধা সরকারি, সাহিত্য শাসিত ও বেসরকারি ( ঐচ্ছিক) প্রতিষ্ঠান নিয়োগ, খ) পাসপোর্ট গ) ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি, ঘ) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ( কেপিআই) ব্যবহার, ইত্যাদি ক্ষেত্রে
ভেরিফিকেশন আবেদনপত্র প্রাপ্তির কোন ঠিকানা ( স্থায়ী/ অস্থায়ী) দিতে হয়?
স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ঠিকানা দিতে হয়। স্থায়ী ঠিকানা বলতে বোঝায় প্রার্থীর নামিও পিতার নামিও সহ যে কোন ভূ-সম্পত্তি, যেখানে প্রার্থীর অধিকার সত্য এবং বসতবাড়ি রয়েছে। যে ভূসম্পত্তি ও বসতবাড়ি নাই, এমন কোন ঠিকানায় প্রার্থীর বসবাস করলে তা স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে বিবেচিত হবে।
ভেরিফিকেশনের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা ব্যতীত অন্য কোন ঠিকানা দিতে হয় কি?
স্থায়ী ঠিকানা ছাড়াও সাধারণত প্রার্থীর বিগত ৫ বছর যেসব ঠিকানায় ৬ মাসের অধিক সময় এবং প্রার্থী ১৫ বছর বয়সে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করেছেন বা যে সকল প্রতিষ্ঠান কর্মকালীন বা কর্মরত থাকা কালিন সময়ে যেসব ঠিকানায় অবস্থান করেছেন, সেগুলো উল্লেখ করতে হয়
ভেরিফিকেশনের সময় প্রার্থীকে কি থানায় যেতে হয়, নাকি তদন্তকারী পুলিশ অফিসার প্রার্থীর ঠিকানায় তদন্ত করেন?
পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় প্রার্থীকে সাধারণত থানায় যেতে হয় না। কারণ, তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখিত ঠিকানা সমূহ সরোজমিনে তদন্ত করে থাকেন। তবে, তদন্তকালে প্রার্থী যদি চাহিদামত তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে ব্যার্থ হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে পৌঁছে দিতে আলোচনা সাপেক্ষে থানায় যেতে হতে পারে।
ভেরিফিকেশনের তদন্তের সময় প্রার্থী তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের নিকট কোন ডকুমেন্ট কি কি দিতে হয়?
পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় কোন কোন ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা জাতির নিকট হতে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন যেমন - স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে সে বাড়ির দলিল এর কবি বা বিদ্যুৎ বিল/ টেলিফোন বিল/ ইত্যাদি কপি। এছাড়াও প্রার্থীর ভিড়লে ট্রাফিক তথ্য সম্বলিত ফর্ম সেগুলো যাচাই বা প্রমাণের জন্য সেগুলো সমর্থনে প্রমানিক দলিলাদি।
ভেরিফিকেশন শেষ হতে সর্বোচ্চ কতদিন সময় লাগে?
নির্ভর করে সাধারণত কত জায়গায় ভেরিফিকেশন করতে হয় তার উপর। যদি একটি মাত্র পুলিশ ভেরিফিকেশন এর মধ্যে ভেরিফিকেশন করতে হয়, তাহলে সাধারন তো ৩ দিন এর মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে হয়। স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন ভিন্ন জেলায় হয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রতিষ্ঠান ও ভিন্ন ভিন্ন জেলায় ১৫ দিন বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।
যদি কোন প্রকার হয়রানির শিকার হন সেক্ষেত্রে প্রার্থী কোথায় অভিযোগ করতে পারবেন?
ভেরিফিকেশন চলাকালে প্রার্থী যদি তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক কোন প্রকার হয়রানির শিকার হন তাহলে কর্মকর্তার সরাসরি নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার নিকট অথবা বিশেষ পুলিশ সুপার (ভিআর) বাংলাদেশ পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ, রাজার বাগ, ঢাকা বরাবর লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ জানাতে পারবেন।
পুলিশ ভেরিফিকেশন ফর্ম
COMMENTS