সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্থির করা: দূরদর্শিতার অনুশীলন যে যা ভাবে সে রূপে সে হয়’’ কখন ব্যবহার করতে হয়? প্রশ্ন জাগেনা তো স্বপ্নও জাগে...
সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্থির করা: দূরদর্শিতার অনুশীলন
যে যা ভাবে সে রূপে সে হয়’’
কখন ব্যবহার করতে হয়?
প্রশ্ন জাগেনা তো স্বপ্নও জাগে না, স্বপ্ন নাই তো আপনি একটি নাবিকহীন বৈঠা হীন নৌকা, আপনার লক্ষ্য নাই তো আপনার গন্তব্য নাই। ফলে সংগঠন গড়ে তোলার মূলেই রয়েছে সবার অংশীদারিত্বের ভিশন ও মিশন স্থির করা।
কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নের মোটর গাড়ি চালক সংগঠনের সদস্যদের জন্য দূরদর্শিতার অনুশীলন একটি শক্তিশালী পদ্ধতি। একটি নতুন সংগঠন গড়ে তোলার সময় অথবা যখন একটি সংগঠন বড় মাপের পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করে তখন এ অনুসরণটি খুবই উপযোগী। সংগঠনের সমৃদ্ধির জন্য যেকোনো ধরনের পরিবর্তন আনতে হলে নেতৃত্বকে দূরদর্শী হতে হয়। সে নেতাই দূরদর্শী যিনি ভবিষ্যৎকে দেখতে পান। বিশ্লেষণ করতে পারেন এবং ফলাফল অর্জনের লক্ষ্য স্থির করতে পারেন।
এ অনুসরণটি চর্চা করার পূর্বে সংগঠনের লক্ষ্য (ভিশণ) এবং উদ্দেশ্য (মিশন)সম্পর্কে একটা ইস্পষ্ট ধারণা থাকা চাই। লক্ষ্য বা ভিশন হচ্ছে একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বক্তব্য যা একটি সংগঠন মধ্যবর্তী বা দীর্ঘ মেয়াদে অর্জন করতে চায়।আর উদ্দেশ্য বা মিশন হচ্ছে লক্ষ্য পূরণের সংগঠনটি মধ্যবর্তী মেরে বা দীর্ঘ মেয়াদে কি কি কাজ সম্পাদন করবে। সহজ কথায় ভীষণ হচ্ছে স্বপ্ন দেখা আর মিশন হচ্ছে স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ়তার সঙ্গে কিছু কাজ সম্পাদন করা। এ স্বপ্নটা কিন্তু কোন ব্যক্তির বা বহি প্রেরণাকারীর স্বপ্ন নয়। এ স্বপ্ন দেখতে হবে সংগঠনের সব মিলে ফলে তার বাস্তবায়ন ও হবে সবার অংশীদারীতে।
কাজেই একটি সংগঠনের ভীষণ ও মিশন ঠিক করতে সব সদস্যর অংশগ্রহণ জরুরি। বাংলাদেশ মোটর গাড়ি চালক সংগঠন বা যেকোনো গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানে গঠনতন্ত্র বা উপধারা পর্যালোচনা করে দেখা যাবে সব ভিশন ও মিশন মোটামুটি একই। কেন এমন হলো? এটা বহি প্রেরণাকারী হিসেবে যে মাঠ সম্প্রসারণ কর্মী কাজ করে প্রায় খেতে দেখা যায় তিনি অন্য কোন সংগঠনের ভিশন ও মিশন দেখে হুবহু বসিয়ে দেন। হলে সংগঠন কি লক্ষ্য করল, লক্ষ পূরণে কি কি কাজ করব, কোন পদ্ধতিতে করব, কখন করব, কাকে কি কাজ দেব, ইত্যাদি প্রশ্ন মনে করে জাগে না।
প্রশ্ন জাগেনা তো স্বপ্নও জাগে না, স্বপ্ন নাই তো আপনি একটি নাবিকহীন বৈঠা হীন নৌকা, আপনার লক্ষ্য নাই তো আপনার গন্তব্য নাই। ফলে সংগঠন গড়ে তোলার মূলেই রয়েছে সবার অংশীদারিত্বের ভিশন ও মিশন স্থির করা। ভীষণ ও মিশন ঠিক করতে গিয়েই একটি সংগঠন সর্বপ্রথম তার সদস্যদের মাঝে সংগঠনের প্রতি মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে। যখন সংগঠনের ভিশন ও মিশন তৈরি করা হয় তখন সেটি পূরণে সব একযোগে কাজ করে যেহেতু সবাই স্বপ্ন পূরণের প্রতিশ্রুতি বদ্ধ থাকে।
১। সংগঠনের কার্যাবলিতে স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা এনে শক্তিশালী করবে
২। শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলার মাধ্যমে সদস্যদের জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে
৩। মধ্যম মেয়াদী সময়ে অর্থাৎ আগামী ২ বছরে তারা এটা অর্জন করতে চায়
৪। সচেতন, সংবেদনশীল ও সংগঠনমনা মোটর গাড়ি চালক নিয়ে সংগঠন গড়ে তোলা।
৫। সবার অংশীদারীতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা
৬। গঠনতন্ত্রের আলোকে সংগঠন পরিচালনার কৌশল নির্ধারণ করা
৭। অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে সব সদস্যর জীবন বৃত্তান্ত ফরম পূরণ করে তাদের পারিবারিক যে কোন সমস্যা দূরীকরণ করা।
৮। সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করে সকল দফতরে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা।
৯। সদস্যদের সংগঠনের আর্থিক ভিত্তি মজবুত করতে নিয়মিত সদস্য চাঁদা আদায়
অবশ্যই
দূরদর্শিতার অনুশীলন
স্বপ্ন তাই যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না
একটি মোটর গাড়ি চালক সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্থির করতে সব সদস্যদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। সংগঠনের সদস্যদের অংশীদারীতে কিভাবে ভিশন ও মিশন ঠিক করা যায় তার একটি অনুশীলন নিচে দেওয়া হল যা কোন দল গড়তে সংগঠনের সব সদস্যের অংশগ্রহণে একটি সাধারণ লক্ষ্য ও লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্য গুলো স্থির করার জন্য দূরদর্শিতার অনুশীলনটি চারটি মূল ধাপের সম্পূর্ণ করা যায়।
সংগঠনের সদস্যদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য সম্পর্কে আলোচনা
এভাবে সহায়ক সংগঠনের সব সদস্যদের বলবেন যে, চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন আপনি এখন থেকে পাঁচ বছর পর দাঁড়িয়ে আছেন এবং আপনার সংগঠনটি সবার সেরা, সংগঠনের সবচেয়ে সফল মডেল স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সব সংগঠনের জন্য অনুসরণীয়। এ সংগঠনে একজন নেতা বা সদস্য হতে পেরে আপনি নিজেও গর্বিত যেহেতু এ পর্যায়ে আসতে পারা আপনার শ্রম ঘাম এর সঙ্গে আঙ্গিকভাবে জড়িত। সংগঠনে আপনার একটা তীব্র অনুভূতি জড়িয়ে আছে যা স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন দ্রষ্টা হই।
চোখ খুলে প্রথমত অংশগ্রহণ কারিগর একে একে সংগঠনের লক্ষ্য সম্পর্কে তাদের নিজেদেরকে অভিব্যক্ত সবার সামনে উপস্থাপন করবেন। সংগঠনের লক্ষ্য সম্পর্কে সবার ধারণাগুলো লিখে রাখতে হবে। এভাবে অংশগ্রহণকারী গণ পরস্পরের সঙ্গে কোন আলোচনা করতে পারবে না। প্রয়োজনে কিছু না বুঝলে প্রশ্ন শুধু করতে পারবেন। সব ধারণাকেই স্বাগত জানাতে হবে, মনে রাখতে হবে সব ধারণাই ভালো ধারণা এবং ভবিষ্যতে সংগঠন গড়তে সম্ভাব্য আকর্ষণীয় হতেও পারে। দ্বিতীয়ত অংশগ্রহণকারীদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে অন্যদের ধারণা গুলোকে সমৃদ্ধ করার জন্য যাতে ভবিষ্যতের জন্য আদর্শ চিত্র পাওয়া যায়।
একটি সমষ্টিগত সৃজনশীল লক্ষ্য করা
অংশগ্রহণ ছোট দ প্রথম ধারণ সং সঙ্গতি রেখে তার উদ মডেল। হিসেবে নিয়ে তৈরি করতে পারেন। হতে পারে একটি গাছ, হতে পারে প্রাণী বা যেকোনো নিকটের বস্তু।
অংশগ্রহণকারীদের এই মডেলের মূল বৈশিষ্ট্য গুলি একটি তালিকা প্রণয়ন করুন করতে বলুন যা যারা তাদের সংগঠনের মডেলটিকে আগামী দু বছরের জন্য অন্যদের চেয়ে আলাদাভাবে বৈশিষ্ট্য মন্দিত করা যায়। এমন ভাবে যাতে সবাই এটা দেখতে পায় এবং বুঝতে পারে।
সংগঠনের সম্মিলিত লক্ষ্যের মধ্যে সদস্যদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য গুলো ঐক্যতান
এ ধাপে সব অংশগ্রহণকারী সম্মিলিতভাবে সংগঠনের জন্য একটি সাধারণ লক্ষ্য বা ভীষণ স্থির করবেন। প্রতিটি সদস্যকে তাদের গড়া ছবি বা মডেলটি সবার সামনে উপস্থাপন করতে অনুরোধ করতে হবে। তার প্রতিটি সদস্য তাদের পৃথক পৃথক ভীষণগুলো একত্রিত করে সংগঠনের জন্য একটি সাধারণ ভিসনে সংক্ষিপ্ত করতে অনুরোধ করবেন। আগামী দুই বছরের জন্য আমরা একটি টেকসই ।
দূরদর্শিতার অনুশীলনের সময় অংশগ্রহণকারীদের ত্রাণ বস্তু রাখতে সহায়ক যথেষ্ট উৎসাহ দেবেন যাতে তারা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
COMMENTS