ময়মনসিংহ বিভাগে বিস্তারিত ইতিহাস ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ০৪টি জেলা রয়েছে জেলাগুলোর নাম ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ০৪টি জেলা রয়েছে জেলাগুলোর নাম...
ময়মনসিংহ বিভাগে বিস্তারিত ইতিহাস
ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ০৪টি জেলা রয়েছে জেলাগুলোর নাম
ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ০৪টি জেলা রয়েছে জেলাগুলোর নাম : ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর নাম: ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা ।
ময়মনসিংহ জেলার প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:ময়মনসিংহ বাংলাদেশের অষ্টম প্রশাসনিক বিভাগ হল ময়মনসিংহ। জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠিত হয়।১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ প্রতিষ্ঠার সময় থেকে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই বৃহৎ ময়মনসিংহ অঞ্চল ঢাকা বিভাগের অংশ ছিল। ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা এই ০৪ চার জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ সৃষ্টি করে। ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৭ জনসংখ্যা এবং এই বিভাগের আয়তন ১০ হাজার ৫৮৪ বর্গ কিলোমিটার। নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগের ০৪ চারটি জেলার মধ্যে রয়েছে ২৪ টি সংসদীয় আসন, উপজেলা ৩৫ টি থানা ৩৭ টি পৌরসভা ২৬ টি ইউনিয়ন ৩৫২ টি এবং গ্রাম ০৭ হাজার ৩০ ত্রিশটি জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০১০ জন বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের সবচেয়ে বড় জেলা ময়মনসিংহ ৪,৩৯৪.৫৭বর্গ কিলোমিটার। এবং আয়তন সবচেয়ে ছোট জেলা শেরপুর ১,৩৭৬.৬৭ কিলোমিটার।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের আয়তন ৯১.৩১৫ বর্গ কিলোমিটার। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি সাধারণ ও ১১টি সংরক্ষতি ওয়ার্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নবগঠিত ওয়ার্ল্ড সমূহের গেজেট
নামকরণ :ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তার পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নছরত সাহার জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন, সেই থেকেই নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামে সৃষ্টি। নাসিরাবাদ নাম পরিবর্তন হয়ে ময়মনসিংহ হয় একটি ভুলের কারণে।
মোঘল আমলে মোমেন সহ নামে একজন সাধক ছিলেন, তার নামেরই মধ্যযুগে অঞ্চলটির নাম হয় মোমেনশাহী।ষোড়শ শতাব্দীতেবাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন তার পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নুসরত শাহর জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন, সেই থেকেই নুসরত শাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। হয় একটি ভুলের কারণে বুক করা হয়েছিল বর্জনাল এন্ড কোম্পানির পক্ষ থেকে নাসিরাবাদ রেলস্টেশনে। চলে যায় রাজ পুতনার নাসিরাবাদ রেলস্টেশনে।এ অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরবর্তীতে আরো কিছু বিভ্রান্তির ঘটনায় রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করে ময়মনসিংহ রাখা হয়। সেই থেকে নাসিরাবাদের পরিবর্তে ময়মনসিংহ ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলী ও প্রশাসনিক বিবর্তন
১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে ১লা মে ময়মনসিংহ জেলা সৃষ্টি হয়। এই জেলার আকার সময় পরিবর্তিত হয়েছে।১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা থেকে টাঙ্গাইল মহকুমা এবং ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে জামালপুর মহকুমাকে পৃথক করে জেলায় উন্নতি করা হয়।১৯৮৪ ময়মনসিংহ জেলা থেকে শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ মহকুমাকে পৃথক পৃথক জেলায় উন্নতি করা হয়।
আয়তন ৪৩৬৩.৪৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি ১৩টি উপজেলা,১টি সিটি কর্পোরেশন,১৪টি থানা,১০টি পৌরসভা ৮টি ক শ্রেণীর,১টি খ শ্রেণীর, ১টি গ শ্রেণীর, ১৪৫ টি ইউনিয়ন,২২০১ টিমৌজা,২৭০৯টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।
জনসংখ্যা
আদমশুমারি ও গৃহ গণনা ২০২২ অনুযায়ী
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এর জনসংখ্যা ৫,৭৬,৭২২
মোট জনসংখ্যা ৫৮,৯৯,০৫২ জন
পুরুষ ২৮,৯৭,৮৮০ জন
নারী ২৯,৯৭,৯৩১ জন
হিজড়া ৪৭১ জন
লিঙ্গানুপাত ৯৬.৬৬%
জনসংখ্যা পল্লী ও শহর ভিত্তিক
পল্লী ৪৫,৪৫,৬৪২ জন
শহর ১৩,৫০,৬০ জন
জনসংখ্যার ধর্ম ভিত্তিক
মুসলমান ৯৬.০১%
হিন্দু ৩.৪২%
বৌদ্ধ ০.০১%
খ্রিস্টান ০.৫০%
অন্যান্য ০.০৬%
সাক্ষরতা
সাক্ষরতার হার ৭০.৭৪%
পুরুষ ৭২.১৪%
নারী ৬৯.৪১%
হিজড়া ৪৯.১২%
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১,৩৪২ জন
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ২৭,৬৫২
প্রাকৃতিক সম্পদ
নদ-নদীর সংখ্যা ২২টি , আয়তন ১১৪৪৫.২০ হেক্টর, নদীর নাম ব্রহ্মপুত্র, সুতিয়া, ক্ষিরু, সাচালিয়া,্পাগারিয়া, নাগেশ্বর, কাঁচা মাটিয়া, আইমন, বানার, নরসুন্দা, ঘোড়াঘাট, দর্শনা, রামখালী, বইলারি, নিতাই, কংস, ঘুঘুটিয়া, ছাতারখালী, আকালিয়া,জল বুরুঙ্গা, চৌকা মরা নদী, রাংসা নদী ইত্যাদি বিল ও প্রধান প্লাবন ভূমির সংখ্যা ১১৪০টি,
ময়মনসিংহ জেলায় ১৩টি উপজেলার নাম:ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও, গৌরীপুর, ত্রিশাল, ধুবাউড়া, নান্দাইল, ফুলপুর, তারাকান্দা, ফুলবাড়িয়া, ভালুকা, ময়মনসিংহ সদর, মুক্তাগাছা, হালুয়াঘাট
ময়মনসিংহ শহর এলাকায় ১৪টি থানা রয়েছে ,ময়মনসিং জেলার থানা গুলোর নাম:ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও, গৌরীপুর, ত্রিশাল, ধুবাউড়া, নান্দাইল, ফুলপুর, তারাকান্দা, ফুলবাড়িয়া, ভালুকা, ময়মনসিংহ সদর, মুক্তাগাছা, হালুয়াঘাট
ময়মনসিংহ জেলায় ০৪টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও, গৌরীপুর, ত্রিশাল, ধুবাউড়া, নান্দাইল, ফুলপুর, তারাকান্দা, ফুলবাড়িয়া, ভালুকা, ময়মনসিংহ সদর, মুক্তাগাছা, হালুয়াঘাট
উপজেলা ও ইউনিয়নের তালিকা
ময়মনসিংহ জেলার ম্যাপ
জেলার পূর্বনাম ছিল - ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তার পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নফরত শাহ এর জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন। সেই থেকেই নুসরত শাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। নাসিরাবাদ নাম পরিবর্তন হয়ে ময়মনসিংহ হয় একটি ভুলের কারণে।
ময়মনসিংহ জেলার প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৭৮৬ সালে।
জামালপুর জেলার প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:জামালপুর জামালপুর জেলার প্রশাসনিক এলাকা সমূহ জামালপুর জেলা ৭টি উপজেলা,৭টি থানা,৮টি পৌরসভা,৬৮টি ইউনিয়ন,৮৪৪টি মৌজা,১৩৪৬টি গ্রাম ও ৫টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। জামালপুর জেলার আয়তন ২০৩১.৯৮ বর্গ কিলোমিটার। সীমানা, জামালপুর জেলার পূর্বের ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলা, পশ্চিমে যমুনা নদী ও বগুড়া জেলা, উত্তরে শেরপুর ও কুড়িগ্রাম এবং দক্ষিণ টাঙ্গাইল জেলা অবস্থিত।
উপজেলাগুলোর নাম - জামালপুর সদর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, ইসলামপুর, সরিষাবাড়ী নিয়ে জামালপুর জেলা।
জনসংখ্যা
আদমশুমারি ও গৃহ গণনা ২০২২ অনুযায়ী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৮৮টি
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৪৭টি
সরকারি মহাবিদ্যালয় ০৫টি
বেসরকারি মহাবিদ্যালয় ৩১টি
মাদ্রাসার সংখ্যা ১৭৭টি। কামিল - ৫টি, ফাজিল - ১২টি, আলিম - ২১টি, দাখিল - ১৩৯টি ।
বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ০৭টি
ভি.টি.আই ২টি
আইন কলেজ ০১টি
পিটিআই ০১টি
ভোকেশনাল স্কুল ১৬টি
হোমিওপ্যাথিক কলেজ ২টি
ফিশারিজ কলেজ ০১টি
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত
জেলা হাসপাতাল ০১টি
উপজেলা হাসপাতাল ০৬টি
রেলওয়ে হাসপাতাল ০২টি
ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৬৮টি
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৩২টি
কমিউনিটি ক্লিনিক ২৭০টি
কুষ্ঠ ক্লিনিক ০৭টি
এম্বুলেন্স ১৫টি
জেলা কারাগার সম্পর্কিত তথ্যাবলী
জেলা কারাগার নির্মাণ ১৯৮৮সাল
বন্দি ধারণক্ষমতা ৩০৭ জন। পুরুষ ২৯১ জন, মহিলা ১৬ জন।
নামকরণ :ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, দিল্লির সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে ১৫৫৬ - ১৬০৫ হযরত শাজামাল রহমতউল্লাহ নামে একজন ধর্ম প্রচারক ইয়েমেনে থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্য ২০০ অনুসারী নিয়ে এ অঞ্চলে এসেছিলেন। পরবর্তীতে ধর্মীয় নেতা হিসেবে দ্রুততার প্রাধান্য বিস্তার লাভ করে। ধারণা করা হয়, জামাল রহমাতুল্লাহ এর নাম অনুসারে এই শহরের নামকরণ হয় জামালপুর।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলী ও প্রশাসনিক বিবর্তন জামালপুরের নারীদের তৈরি নকশী কাঁথা সম্ভাবনার নতুন দার উন্মোচন করেছে। বর্তমানে নকশি কাঁথা তৈরি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে পরিণত হয়েছে। এখানে তৈরি নকশি কাঁথা এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। নকশী কাঁথা তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এখানকার নারীরা। জানা যায়, আশির দশকে জামালপুরের ক্ষুদ্র আকারে কারু শিল্পের যাত্রা। অভিভাব ঘটেছে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এ নকশী কাঁথা তৈরি করে নারীরা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বিনহচ্ছেন । জামালপুরের ও হস্তশিল্প ছাড়াও ইউরোপ আমেরিকা সহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো রপ্তানি হচ্ছে।
জামালপুর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় দরিদ্র, মধ্যবিত্ত এমনকি শিক্ষিত নারীরাও এ পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে কারও শিল্পের কাজ। এর মাধ্যমে জামালপুর জেলায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী উদ্যোক্তা। তাদের মাধ্যমে শতশত নারী কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। জামালপুর শহরে আমলা পাড়া, বসাকপাড়া, কলেজ রোড, বকুলতলা, জিগাতলা, মুন্সিপাড়া, মিয়াপাড়া, দক্ষিণপাড়া, বেলটিয়া, পাথালিয়া, পাঁচ রাস্তা মোড় সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে হস্তশিল্পের আকর্ষণীয় শোরুম গড়ে উঠেছে। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা জামালপুরের কারুশিল্পে তৈরি বিভিন্ন ধরনের নকশী কাঁথা, বিছানার চাদর, সোফার কুশন, পাপোশ, ওয়ালমেট, ফতুয়া, নকশি করার রকমারি পাঞ্জাবি মহিলাদের হ্যান্ডব্যাগসহ বিভিন্ন পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কার শিল্পের জন্য ঋণ সুবিধা অব্যাহত থাকলেও মোটা অংকের পুঁজি বিনিয়োগ । জামালপুরের ঘরে বসে পরিচালনা করার সুযোগ সৃষ্টি হয় জেলার অনেক কর্ম মুখী নারী তাদের ব্যবসা প্রচার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
জামালপুর জেলার ম্যাপ
জেলার পূর্বনাম ছিল - জামালপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যমাংশের অঞ্চল। ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ক্রমান্বয়ে হিন্দু জমিদারদের উদ্ভব হলে সন্ন্যাসী গঞ্জ কে মৌজা তৈরি করে এর নাম রাখেন ‘‘সিংহজানি‘‘। এই সিংহ জানি মৌজা থেকেই আজকের জামালপুর জেলা। শহরের দুটি বিদ্যালয় এর নামের সাথে সিংহজানি নামটা আজও সমুন্নত।
জামালপুর জেলার প্রতিষ্ঠিত হয় -ধারণা করা হয়, শাহজামাল এর নাম অনুসারে এই শহরের নামকরণ করা হয় জামালপুর।১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর জামালপুর হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়।১৯৭৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ থেকে পৃথক করে জামালপুর কে বাংলাদেশের ২০ তম জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
শেরপুর
শেরপুর জেলার প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:শেরপুর জেলার আন্তর্জাতিক সীমানা ৩০ কিলোমিটার । সীমানা,উত্তরে মেঘালয়, দক্ষিণ ও পশ্চিমে জামালপুর জেলা ও পূর্বদিকে ময়মনসিংহ জেলা। জনসংখ্যা ১৫,৪২,৬১০জন । পুরুষ -৭,৯০,৩৯৮ জন , মহিলা -৭,৫২,২১২ জন ।জেলা ৫টি উপজেলা,৪টি পৌরসভা,৫২টি ইউনিয়ন,৪৫৮টি মৌজা,৬৭৮টি গ্রামও ৩টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
নামকরণ :
বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে মেঘালয়ের তুষার শুভ্র মেঘপুঞ্জ ও নীল গাড়ো পাহাড়ের স্বপ্নপটে, মানুষ সরোবর থেকে হিমালয় ছুয়ে নেমে আসা ব্রহ্মপুত্র এবং ভোগাই,নিতাই, কংস, সোমেশ্বরী, ও মালিঝির মতো অসংখ্য জলস্রোতের হরিণ উপত্যকায় গড়ে ওঠা প্রাচীন জনপদ শেরপুর। থেকে জামালপুর পর্যন্ত ১০ মাইল প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র পারাপারের জন্য করিনি নির্ধারিত ছিল দশ কাহন। এ থেকে ব্রহ্মপুত্র উত্তর পূর্ববতি পরগনার নাম হয় দশ কাহনিয়া বাজু। অনুমতি হয় খ্রিস্টীয় অষ্টদশ শতকের এই বাজু জাগই দিয়েদ্বার হয়ে গাজী বংশের শের আলী গাজী বর্তমান গাজীপুর খামার বা গজারিয়া হতে ২১ বৎসকাল তার শাসনকার্য পরিচালনা করেন। আর এই কিংবদন্তি শাসকের নামে এ এলাকার নামকরণ করা হয় শেরপুর। জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ২২/০২/১৯৮৪খ্রিস্টাব্দে।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলী ও প্রশাসনিক বিবর্তন শেরপুর জেলার ঐতিহাসিক পটভূমি
শেরপুরের পূর্বেও কথার কিছু উল্লেখ না করলে অনেক জানার বিষয় অজানা থেকে যাবে, কাজেই অতি সংক্ষেপে তার বর্ণনা দেওয়া হলো, প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানা অঞ্চলের আদি নাম পাওয়া যায় না। তবে এ অঞ্চলে হিন্দু শাসক রাজ্য রাজধানী গড় জরিপাড় উল্লেখ আছে। সম্রাট আকবরের সময় এ অঞ্চলের নাম দশ কাহোনিয়া বাজু বলে ইতিহাস পাওয়া যায়। শেরপুর পৌরসভার দক্ষিণ সীমান্তে মিগি নদী হতে জামালপুর ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮/৯ মাইল প্রশস্তব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বের নাম ছিল লোহিত সাগর। নদের উভয়পারে নিকটবর্তী লোকদের প্রায়ই সবাই নৌকায় যাতায়াত করতে হতো। তারা খেয়া ঘাটের ইজারার দ্বারের সহিত যাতায়াত মাসুল হিসেবে বাৎসরিক চুক্তি অনুযায়ী 10 কাহন করি প্রদান করত। সেই হিসেবেই এই অঞ্চলের নাম হয় দশ কাহনিয়া।
তৎকালে ঘড়ির মাধ্যমে বেচাকিনা বা আর্থিক লেনদেন করা হতো। বাংলার নবাবী আমলে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী দশ কাহিনী অঞ্চল দখল করে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেন। এই শের আলী গাজীর নামে দশ কাহোনিয়ার নাম হয় শেরপুর। তখনও শেরপুর রাজ্যর রাজধানী ছিল গড়জরিপা । বর্তমান গাজীর খামার ইউনিয়নের গিভ দা পাড়ায় ফকির বাড়িতে সের আলী গাজীর মাজার এবং নকলা উপজেলার রুনিগায়ে গাজীর দরগায় অবস্থিত। ব্রিটিশ আমল এবং পাকিস্তান আমলের নাম হয় শেরপুর সার্কেল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেরপুর কে ৬১ তম জেলা ঘোষণা করেন।
জনসংখ্যা
আদমশুমারি ও গৃহ গণনা ২০২২ অনুযায়ী
জনসংখ্যা ১৫,৪২,৬১০জন । পুরুষ -৭,৯০,৩৯৮ জন , মহিলা -৭,৫২,২১২ জন ।
স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত
উপজেলা ৫টি সদর, নকলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী।
পৌরসভা ৪টি শেরপুর, নকলা, নালিতাবাড়,শ্রীবরদী।
শেরপুর জেলার ম্যাপ
জেলার পূর্বনাম ছিল - শেরপুর অঞ্চল প্রাচীনকালে কামরুপা রাজ্যের অংশ ছিল। মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে এই এলাকার ‘‘ দশকাহনিয়া বাজু‘‘ নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে শেরপুরে যেতে ব্রহ্মপুত্র নদ খেয়া পাড়ি দিতে হতো। খেয়া পারাপারের জন্য দশ কাহন কড়ি নির্ধারিত ছিলবলে এ এলাকা ১০ কাহনিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে।
শেরপুর জেলার প্রতিষ্ঠিত হয় - ২২/০২/১৯৮৪খ্রিস্টাব্দে।
নেত্রকোনা
নেত্রকোনা জেলার প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:নেত্রকোনা
নেত্রকোনা সিটি কর্পোরেশনের মোট ওয়ার্ড সংখ্যা
COMMENTS