ঢাকা চট্টগ্রাম খুলনা রাজশাহী রংপুর বরিশাল সিলেট ময়মনসিংহ বিভাগ ও জেলা / উপজেলার ইতিহাস ঢাকা চট্টগ্রাম খুলনা রাজশাহী রংপুর বরিশাল সিলেট ম...
ঢাকা চট্টগ্রাম খুলনা রাজশাহী রংপুর বরিশাল সিলেট ময়মনসিংহ বিভাগ জেলা / উপজেলা ভিত্তিক নাম জানতে চান / দেখতে চান তাহলে আপনার জেলা / উপজেলায় আমাদের এখানে ক্লিক করলেই আপনি দেখতে পারবেন।
ঢাকা বিভাগে মোট ১২টি জেলা রয়েছে জেলাগুলোর নাম
ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর নাম : ঢাকা, ফরিদপুর, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, এবং টাঙ্গাইল।
ঢাকা জেলার প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:ঢাকা বিভাগে অবস্থিত জেলা ঢাকা জেলার মোট আয়তন ১৪৬৩.৬০ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১খ্রিস্টাব্দে ১৯২১ জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার সিটি কর্পোরেশন সংশোধনী বিল ২০১১ পাসের মাধ্যমে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বিলুপ্ত করা হয়, এর ফলে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নামে স্বতন্ত্র দুটি কর্পোরেশন গঠন করা হয় এবং নারায়ণগঞ্জ ২০১১ সালের ০৫ মে নারায়ণগঞ্জ, ও কদম রসুল পৌরসভার সমন্বয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের গঠিত হয়।২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর প্রথম মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী নির্বাচিত হন। তিনি একই সাথে বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নারী মেয়র। ও গাজীপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়।০৭ জানুয়ারি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি ( নিকার) টঙ্গী গাজীপুর পুরো এলাকা নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশন গেজেট প্রকাশিত হয়। একটি করে সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। ঢাকা বিভাগে মোট ৪টি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৯২টি,তার মধ্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৬টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৬টি ওয়ার্ল্ড এর সমন্বয়ে গঠিত হয়।
নামকরণ :বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মোঘল পূর্বযুগে কিছু গুরুত্ব ধারণ করলেও শহরটি ইতিহাসের প্রসিদ্ধি লাভ করে মুঘল যুগে। ঢাকা নামের উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট করে তেমন কিছু জানা যায় না। এ সম্পর্কে প্রচলিত মদ গুলোর মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ: একসময় এ অঞ্চলে প্রচুর ঢাক গাছ ছিল ।রাজধানী উদ্বোধনের দিনে ইসলাম খানের নির্দেশে এইখানে ডাক অর্থাৎ ড্রাম বাজানো হয়েছিল। ঢাকা ভাষা নামের একটি প্রকৃত ভাষা এখানে প্রচলিত ছিল, রাজ তরঙ্গিনী ঢাকা শব্দটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে অথবা এলাহাবাদ শিলালিপিতে উল্লেখিত সমুদ্রগুপ্তের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য হল ঢাকা। মোগল পূর্ব যুগে পুরাতন হিসেবে ঢাকা শহরে দুটি এবং মিরপুরে একটি মসজিদ রয়েছে। এরমধ্যে প্রাচীর নির্মাণ তারিখ ১৪৫৬ খ্রিস্টাব্দ জুয়া উদা বেরোস ঢাকাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে দেখতে পায় এবং ১৫৫০ খ্রিস্টাব্দে তার অঙ্কিত মানচিত্রে এর অবস্থান নির্দেশ করেন। আকবর নামা গ্রন্থের ঢাকা একটি থানা সামরিক ফাঁড়ি হিসেবে এবং আইন-ই-আকবরী গ্রন্থের সরকার বাজার একটি পরগনা হিসেবে ঢাকা বাজু উল্লেখিত হয়েছে।১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ইসলাম খান চিশতী সুবা বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের নাম অনুসারে নামকরণ করে জাহাঙ্গীরনগর। প্রশাসনিকভাবে জাহাঙ্গীরনগর নামকরণ হলেও সাধারণ মানুষের মুখে ঢাকা নামটি থেকে যায়। বিদেশি পর্যটক এবং বিদেশি কোম্পানির কর্মকর্তারা ও তাদের বিবরণ এবং চিঠিপত্রের ঢাকা নামটি ব্যবহার করেন।
ঐতিহাসিক ঘটনাবলী ও প্রশাসনিক বিবর্তন
মুসলিম পূর্বযুগে বর্তমান ঢাকা জেলা অঞ্চল বঙ্গ নামে পরিচিত প্রশাসনিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর কিং জয় কখনো কখনো সমতট এবং কখনো কখনো হরিকল নামে পরিচিত ছিল। U10 শতাব্দী প্রান্তে একটি আর উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজীর বঙ্গ দেশের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে মুসলিম রাষ্ট্রের সূচনা করেন। মোগল যুগের পূর্বে বাংলা হিন্দু ও মুসলিম শাসকেরা ঢাকার চারিদিকে বিভিন্ন অবস্থান তাদের রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এসব রাজধানী নগরিক কয়েকটি নির্দেশন এখনো বিক্রমপুর, ভাওয়াল ও সোনারগাঁয়ে দেখা যায়।১৫৭৫ মোঘলরা পাঠান সন্তানের কাছ থেকে বাংলার শাসনভার ছিনিয়ে নিল তাদেরকে বাংলা ভূস্বামী ভূঁইয়াদের থেকে নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
১৬১০ খ্রিস্টাব্দে প্রদেশ রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর প্রায় একশত বছর ঢাকা মর্যাদা অক্ষুন্ন ছিল। এ শহরে ছিল প্রশাসনিক সদর দপ্তর ও অন্যান্য কর্মচারীদের বাসস্থান। ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণে শাহজাদা সুজা ১৬৩৯-৫৯ রাজধানী স্থানান্তর। সুবাহ ও দাড়ি স্থানান্তরিত হলে ঢাকা রাজধানীর গুরুত্ব হারিয়ে একটি স্থানীয় প্রশাসনিক কেন্দ্রে পরিণত হয়।
পরবর্তী সুবাদার সারা দিনমান কর্মকাণ্ড শুরু করেন। শাহ সুজার আবুল কাশেম ১৬৪৫ খ্রিস্টাব্দ নামে একটি সুস্থ ইমারত নির্মাণ করেছিলেন। ইমারতের অবস্থান বুড়িগঙ্গার তীরে এবং বর্তমান বাজারের দক্ষিণ।
ঢাকার ইতিহাসে বেশ কয়েকটি নির্মাণ কাজের সঙ্গে জুমলা নাম জড়িয়ে আছে, প্রথমে মীর জুমলার গেট পরবর্তী সময়ে যা রমনা গেট নামে পরিচিত হয়। কার্জন হল এর কাছাকাছি ও পুরাতন হাইকোর্ট ভবন এর পশ্চিমে ময়মনসিংহ রোডে অবস্থিত।
পরবর্তী সুবাদার শায়েস্তা খান ছিলেন একজন খ্যাতিমান নির্মাতা। অবশ্য তিনি একটি কাটরা ও নির্মাণ করেন। এটি ছোট কাটরা নামে পরিচিত শাহ সুজা থেকে পৃথক করার জন্য এ নামকরণ। তিনি বেশ কয়েকটি মসজিদ ও সমাধি সৌধ নির্মাণ করেন। মসজিদ গুলির মধ্য বাজার মসজিদ, বাবু বাজার মসজিদ ও সাত গম্বুজ মসজিদ বিখ্যাত। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিপরীত সমাধি। পথের পাশে অবস্থানের কারণে ঢাকা প্রাক্তন স্থানীয় বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। কেননা ঢাকা ছিল একটি উৎপাদন কেন্দ্র।
উন্নয়নের নতুন ধারা এবং সমৃদ্ধ নতুন যুগের সূত্রপাত এর মাধ্যমে ১৮৪০ এর দশক নগর ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। নগর উন্নয়নে এযাত্রা তখন থেকেই অব্যাহত ভাবে চলতে থাকে। প্রশাসনিক ক্রমবৃদ্ধি ইতিপূর্বে ঢাকা জেলা প্রশাসনের কেন্দ্রে ছিল। এটি ১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ নামে একটি বৃহৎ বিভাগের সদর দপ্তরে পরিণত হয়। এরপর ঢাকার প্রশাসনিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ১৮৮৫ সালের মধ্যপ্রদেশে কলকাতার পরে ঢাকা নগরী কে সর্ববৃহৎ বেসামরিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
১৯০৫-১১ ঢাকার প্রশাসনিক গুরুত্ব নাটকীয় ভাবে আরো বৃদ্ধি পায় যখন এটিকে পূর্ববাংলা ও আসাম নামে নতুন প্রদেশের রাজধানী করা হয়। এটি হাইকোর্ট এবং একটি সচিবালয়সহ একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিযুক্ত করা হয়।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের অবসান এবং স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা পূর্ববাংলা নামের নতুন প্রদেশের রাজধানী হওয়ায় ঢাকা ওখানের অধিকতর অস্থায়ী উন্নয়ন সাধিত হয়। এ সময় হতে ঢাকা শুধুই নতুন প্রদেশের প্রশাসনিক সদর দপ্তরে ছিল না বরং এখানে আইন পরিষদ এবং জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসছে।
অনেক সংগ্রাম, ত্যাগ এবং রক্তের বিনিময়ে নয় মাস সশস্ত্র যুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঢাকা রাজনৈতিক, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সাংষ্কৃতি কার্যক্রমে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে মর্যাদা লাভ করে।
ঢাকা জেলায় ১৩টি উপজেলার নাম: ঢাকা জেলায় মোট ১৩টি উপজেলা সাভার উপজেলা, নবাবগঞ্জ উপজেলা, দোহার উপজেলা, কেরানীগঞ্জ উপজেলা, তেজগাঁও উন্নয়ন সার্কেল, ধামরাই উপজেলা।
ঢাকা শহর এলাকায় ৫০টি থানা রয়েছে ,ঢাকা জেলার থানা গুলোর নাম:ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকা নিয়ে পুরো ঢাকা শহর জুড়ে মোট ৫০টি থানা রয়েছে। ঢাকা জেলার থানা গুলোর নাম ।
ঢাকা জেলায় ০৪টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :ঢাকা বিভাগে পৌরসভা রয়েছে মোট ৬৩টি কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদ,, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ মুন্সিগঞ্জ, রাজু, শরীয়তপুর ।
ঢাকা জেলার ম্যাপ
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:ঢাকা বিভাগে অবস্থিত জেলা ফরিদপুরফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের একটি জেলা ও প্রশাসনিক অঞ্চল। ফরিদপুর বাংলাদেশের ৪র্থ বৃহত্তম দেশ ও ১৫ তম বৃহত্তম শহর। ফরিদপুর উপজেলার সংখ্যা অনুসারে ফরিদপুর বাংলাদেশের একটি ‘‘এ‘‘ শ্রেণীভূক্ত জেলা।ফরিদপুর জেলা নির্বাচনী এলাকা সমূহ, ফরিদপুর ১ বোয়ালমারী, মধুখালী আলফাডাঙ্গা। ফরিদপুর ২ নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন। ফরিদপুর ৩ ফরিদপুর সদর। ফরিদপুর ৪ ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা ( কৃষ্ণ পুর ইউনিয়ন ব্যতীত) ।
জেলা প্রশাসনের পটভূমি অনুসারে
প্রাচীনকাল থেকেই ফরিদপুরে রয়েছে অনেক কীর্তিময় গৌরবগাথা। ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠিত ১৭৮৬ সালে। মতান্তরে এ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৫ সালে। ফরিদপুর জেলার আয়তন ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরের রাজবাড়ী এবং মানিকগঞ্জ জেলা, পশ্চিমের নড়াইল ও মাগুরা, দক্ষিনে গোপালগঞ্জ জেলা পূর্বে ঢাকা মুন্সীগঞ্জ এবং মাদারীপুর জেলা। ফরিদপুর জেলার মোট পৌরসভা ৫টি , মহল্লা ৯২টি , ইউনিয়ন ৮১টি , গ্রাম ১,৮৫৯টি । মোট উপজেলা ৯টি।
ফরিদপুর জেলার উপজেলা গুলোর নাম: ফরিদপুর সদর, মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, সালথা, নগরকান্দা, ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রসন উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর জেলা গঠিত।
জেলার পূর্বনাম ছিল - ফতেহাবাদ।
জেলার নামকরণ করা হয় - দরবেশ খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ:) এর শীর্ষ শাহ ফরিদ (রহ:)।
ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠিত হয় - ১৭৮৬ সালে।
ফরিদপুর জেলার পূর্ব নাম ছিল - জালালপুর।
ফরিদপুর জেলার নীলকুঠি এর অর্মত্নভূক্ত ছিল - ৫২টি ।
প্রধান ম্যানেজার এর নাম - ডানলফ।
ঢাকা জালালপুর হতে বিভক্ত হয় - ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে।
ফরিদপুর পৌরসভার সৃষ্টি হয় - ১৮৬৯ সালে।
ব্রিটিশ শাসনামলে সৃষ্টি একটি অন্যতম প্রাচীন জেলার নাম ফরিদপুর। আউলিয়া দরবেশ, রাজনীতি, পূর্ণ আত্মার আবাসভূমি হিসেবে অঞ্চল অত্যন্ত সুপরিচিত। এ জেলার পূর্বনাম ছিল ফতেহাবাদ। প্রখ্যাত সাধক এবং দরবেশ খাজা মইনুদ্দিন চিশতী রহমতুলা এর শীর্ষ শাহ ফরিদ রহমতউল্লাহ এর নাম অনুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয় ফরিদপুর।ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৮৬ সালে। ফরিদপুর জেলার পূর্ব নাম ছিল জালালপুর এবং প্রধান কার্যালয় ঢাকা।১৮০৭ খ্রিস্টাব্দের ঢাকা জালালপুর হতে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলার নামে অভিহিত হয় এবং হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হয় ফরিদপুর শহরে। গোয়ালন্দ, ফরিদপুর সদর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ এই চারটি ফরিদপুর জেলা পূর্ণতা পায়। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা পাঁচটি জেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর।
নামকরণ : এ জেলার পূর্বনাম ছিল ফতেহাবাদ। প্রখ্যাত সাধক এবং দরবেশ খাজা মইনুদ্দিন চিশতী রহমতুলা এর শীর্ষ শাহ ফরিদ রহমতউল্লাহ এর নাম অনুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয় ফরিদপুর।
ফরিদপুর জেলায় ০৯টি উপজেলার নাম: ফরিদপুর সদর, মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, সালথা, নগরকান্দা, ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রসন উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর।
ফরিদপুর জেলার ০৯টি থানা রয়েছে ,ঢাকা জেলার থানা গুলোর নাম: ফরিদপুর সদর থানা, মধুখালী থানা, বোয়ালমারী থানা, আলফাডাঙ্গা থানা, সালথা থানা, নগরকান্দা থানা, ভাঙ্গা থানা, সদরপুর ও চরভদ্রসন থানা নিয়ে ফরিদপুর।
ফরিদপুর জেলায় ০১টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :১৮৫০ সালে লর্ড ডালহৌসী ঢাকা জেলাকে ভেঙ্গে ফরিদপুর জেলার সৃষ্টি করেন। কিছুকাল পর ১৮৬৯ সালে ফরিদপুর শহরকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হয়।২২.৩৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ল্ড রয়েছে। ফরিদপুর পৌরসভা ১৯৮৩ সালে ‘গ‘ থেকে ‘খ‘ শ্রেণীতে এবং ১৯৮৬ সালে ‘খ‘ থেকে ‘ক‘ শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়।২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত শহরটির আয়তন ৬৬.২৪ বর্গ কিলোমিটার।
প্রশাসনিক পুনঃবিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) ২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে ফরিদপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত শর্তসাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। ফরিদপুর বিভাগ কার্যকর হলেই এর মর্যাদা পাবে ফরিদপুর।
ফরিদপুর জেলার ম্যাপ
গাজীপুর জেলা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:ঢাকা বিভাগে অবস্থিত জেলা গাজীপুর , গাজীপুর জেলা ৫টি উপজেলা ।আয়তন ১৭৭০.৫৪ বর্গ কিলোমিটার, উত্তরে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ জেলা, পূর্বে কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা, দক্ষিণের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এবং পশ্চিমে ঢাকা টাঙ্গাইল জেলা।গাজীপুর জেলায় ১টি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে। এবং ৩টি পৌরসভা রয়েছে। পৌরসভা গুলো হল কালিগঞ্জ, শ্রীপুর ও কালিয়াকোর।গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৭টি থানা নিয়ে গঠিত হয়েছে।উপজেলা ভূমি অফিস ৬টি, ইউনিয়ন ৪৪টি, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ৩২টি, পৌর ভূমি অফিস ৩টি, মৌজা ৮১৪টি, গ্রামের সংখ্যা ১,১৪৬টি গাজীপুর সদর, শ্রীপুর, কালিয়াকোর, কালিগঞ্জ ও কাপাসিয়া এই পাঁচটি উপজেলা নিয়ে ঢাকা জেলা থেকে বিভক্ত হয়ে ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ গাজীপুর জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
নামকরণ : ঐতিহাসিকরা মনে করেন যে মুহাম্মাদ বিন তুঘলকের শাসনকালে গাজী নামে এক কুস্তিগীর এখানে থাকতো আর তার নাম থেকেই সম্ভবত এই অঞ্চলের নাম হয়েছে গাজীপুর।
গাজীপুর জেলায় ০৫টি উপজেলার নাম:গাজীপুর সদর, শ্রীপুর, কালিয়াকোর, কালিগঞ্জ ও কাপাসিয়া এই পাঁচটি উপজেলা নিয়ে ঢাকা জেলা থেকে বিভক্ত হয়ে ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ গাজীপুর জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
গাজীপুর এলাকায় ০৭টি থানা রয়েছে ,গাজীপুর জেলার থানা গুলোর নাম:জয়দেবপুর, টঙ্গী, কাপাসিয়া, কালিয়াকুর, শ্রীপুর, কালিগঞ্জ, হাইওয়ে থানা সালনা। এছাড়া চৌরাস্তা, কোনাবাড়ী, মিরের বাজার, বোর্ড বাজার, মৌচাক, কাশেমপুর, টঙ্গী পূর্ব-পশ্চিম পুলিশ ফাঁড়ি আছে।
ঢাকা জেলায় ০৩টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম : কালিগঞ্জ, শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর।
গাজীপুর জেলার ম্যাপ
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:গোপালগঞ্জ বিভাগে অবস্থিত জেলা গোপালগঞ্জ গোপালগঞ্জ জেলার আয়তন ১৪৮৯.৯২ বর্গ কিলোমিটার। ০৫টি উপজেলা,০৫টি থানা,০৪টি পৌরসভা,৬৮টি ইউনিয়ন এবং ৬৫৩টি মৌজা নিয়ে গঠিত। এ জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণ-পূর্ব বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর ও বরিশাল জেলা এবং পশ্চিমে নড়াইল জেলা অবস্থিত।
গোপালগঞ্জ জেলা সৃষ্টির ইতিহাস
মধুমতির ঘেঁষে গড়ে উঠেছে আজকের গোপালগঞ্জ শহর। প্রাচীনকালে এলাকাটি অঞ্চলের অন্তর্গত ছিল। সুলতানি ও মোগল যুগে অঞ্চল হিন্দু রাজার শাসন করতেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ১৭৯৩ গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার যশোর জেলার অন্তর্গত আর বাকি অংশ ছিল ঢাকা জালালপুর জেলার অন্তর্গত।১৮০৭ থানা যশোর থেকে ফরিদপুর জেলার সাথে যুক্ত হয়। ফরিদপুর জেলার একটি পরগনার নাম ছিল জালালপুর। গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া জালালপুর পরগনা ভুক্ত ছিল।১৮১২ চান্দনা মধুমতি নদী যশোর জেলার বিভক্ত হিসেবে নির্ধারিত হয়। গোপালগঞ্জ মাদারীপুরে লেখা ছিল বিশাল জলাভূমি। এখানে ডাকাতি ছিল বেশি। এজন্য বাকেরগঞ্জ থেকে বিভাজিত হয়ে ১৮৫৪ সালে মাদারীপুর মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৭২ সালে মাদারীপুর মহকুমা গোপালগঞ্জ নামক একটি থানা গঠিত হয়।১৮৭৩ মাদারীপুর মহকুমা বাকেরগঞ্জ জেলা থেকে ফরিদপুর জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়।১৯০৯ সালে মাদারীপুর মহকুমা কি ভেঙ্গে গোপালগঞ্জ মহুকুমা গঠন করা হয়। গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া থানা ফরিদপুর মহুকুমার মুকসুদপুর থানার নবগঠিত গোপালগঞ্জ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গোপালগঞ্জের প্রশাসনিক ছিলেন জনাব সুরেশ চন্দ্র সেন।১৯১০ মহকুমা প্রশাসক এর বেঞ্চ কোট উন্নতি হয়।১৯২১ সালে গোপালগঞ্জ শহরের নামে উন্নত হয়। আদমশুমারি অনুযায়ী তখন গোপালগঞ্জ শহরের লোক সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪ শত ৭৮ জন।১৯২৫ গোপালগঞ্জে সিভিল কোর্ট চালু হয়।
১৯৩৬ সালে মোকসেদ পুর থানা বিভক্ত হয়ে কাশিয়ানী থানা গঠিত হয়।১৯৭৪ গোপালগঞ্জ সদর থানা টুংগীপাড়া নামক একটি থানা গঠন করা হয়।১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলায় উন্নতি করা হয়। গোপালগঞ্জ জেলার প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন জনাব এ এফ এম জিয়া চৌধুরী। বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব কাজী মাহবুবুল আলম ২০ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নামকরণ :গোপালগঞ্জ জেলার নামকরণ এর ইতিহাস
কলকাতার গিয়ান বাজার নিবাসী পিতি রামদাস ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে অনুর্বর অসমতল মকিমপুর পরগনা বর্তমান বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার আওতায় জমিদারি তৎসময়ে 19000 টাকা দিয়ে ক্রয় করেন।তার দ্বিতীয় পুত্র রাজ চন্দ্র দাস ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে ২১ এপ্রিল মাহিষ্য বংশীয় মেয়ে রাসমণি কে বিয়ে করেন। জমিদার ও তাঁর স্ত্রী রানী রাসমণি ও তার বিবাহিত তিন মেয়েকে রেখে ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ জুন মাত্র ৪৯ বৎসর বয়সে মারা যান। জমিদার ও রাসমনির কোন পুত্র সন্তান ছিল না। চার কন্যার মধ্যে প্রথম কোন নারীর বিয়ে হয় রামচন্দ্রের সাথে। তাদের মহেন্দ্রনাথ গনেশ চন্দ্র সৌদামিনী, সুব্রদা,বলরাম, কালি এবং সতীনাথ নামের সাথে সন্তানের জন্ম হয়। প্রথম পুত্র মহেন্দ্রনাথ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। ফলে জীবিত পুত্র গণেশ জমিদার। খাটের প্রাণীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে খাটের রাজগঞ্জ বাজারে নাম বদল করে রানীর নাতির তথা গণেশের একমাত্র পুত্র নবগোপাল এর নাম অনুসারে রাখতে চান। নবগ্রামের ‘‘গোপাল‘‘ ও রাজগঞ্জের ‘‘গঞ্জ‘‘ এই মিলিয়ে গোপালগঞ্জ নামকরা করা হয়।
ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ জেলার দূরত্ব - ১৩০কি:মি
গোপালগঞ্জ জেলায় ০৫টি উপজেলার নাম:গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায় রয়েছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, মোকসেদপুর উপজেলা, কাশিয়ানী উপজেলা, কোটালীপাড়া উপজেলা, টুংগীপাড়া উপজেলা।
গোপালগঞ্জ শহর এলাকায় ০৫টি থানা রয়েছে ,গোপালগঞ্জ জেলার থানা গুলোর নাম:গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায় রয়েছে গোপালগঞ্জ সদর থানা, মোকসেদপুর থানা, কাশিয়ানী থানা, কোটালীপাড়া থানা, টুংগীপাড়া থানা।
গোপালগঞ্জ জেলায় ০৪টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া, টুংগীপাড়া, মোকসেদপুর নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ০৪টি
ইউনিয়ন পরিষদ ৬৭টি
আবাসন/ আশ্রয় প্রকল্প ২২টি, গুচ্ছগ্রাম ২৩টি
আদর্শ গ্রাম ১৮টি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮৬২
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২০৩টি
কলেজের সংখ্যা ২৮টি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ০১টি
মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ০১টি
জেনারেল হাসপাতালের সংখ্যা ০১টি
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি - গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায়, জয় বাংলা পুকুর ৭১ এর বধ্যভূমি। ভাটিয়াপাড়া সম্মুখ সম স্মৃতিসৌধ। ০৭ মার্স চত্বর।
গোপালগঞ্জ জেলার ম্যাপ
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:কিশোরগঞ্জ বিভাগে অবস্থিত জেলা কিশোরগঞ্জ কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যে অঞ্চল ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল এবং ঢাকা বিভাগের সর্বশেষ জেলা। উপজেলার সংখ্যা অনুসারে কিশোরগঞ্জ বাংলাদেশের একটি এ শ্রেণীভূক্ত জেলা। কিশোরগঞ্জ জেলার নাম হল উজান-ভাটি মিলিত ধারা, নদীর মাছ ধরা কিশোরগঞ্জ ঢাকা বিভাগের বৃহত্তম জেলা হাওর অঞ্চলের জন্য কিশোরগঞ্জ বিখ্যাত। কিশোরগঞ্জ জেলার আয়তন ২,৬৮৯ বর্গ কিলোমিটার। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে।১৮৬০ সালে কিশোরগঞ্জ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার একটি মওকুফ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৩টি উপজেলা,০৮টি পৌরসভা এবং ১০৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।
কিশোরগঞ্জের ইতিহাস প্রাচীন। প্রাচীনকালে কিশোরগঞ্জ এলাকায় কামরূপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে পারাও, বর্মন ও সেন রাজারা এই অঞ্চল এর কিছু অংশ শাসন করেছিলেন। এরপর কোচ,হাজং, এবং রাজবন্দীদের অধীনে ক্ষুদ্র রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হয়। ষষ্ঠ শতকের এর বাসিন্দা শ্রী কৃষ্ণ দাস মানিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গন্জ প্রতিষ্ঠা করেন। এ থেকেই কালক্রমে কিশোরগঞ্জ নামের উৎপত্তি হয় কিশোরগঞ্জ। কিশোরগঞ্জের মাছ দিয়ে বয়ে গেছে নরসুন্দর নদী। ঢাকা থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এটি একটি প্রাচীন শহর ও জেলা সদর।
এই জেলায় রয়েছে ৮টি ইউনিয়ন এবং ১,৭৪৫ টি গ্রাম। কিশোরগঞ্জে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এশিয়ার বৃহত্তম ঈদগাহ মাঠ শোলাকিয়ার অবস্থান কিশোরগঞ্জে। ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ ও পাগলা মসজিদের অবস্থান এই শহরে। দুরন্ত হতে হাজার হাজার মানুষের নামাজ আদায় করে এই দুটি মসজিদে। এছাড়াও রয়েছে বৃহত্তম কালীবাড়ি পূজা মন্ডপ অনেক ধর্মীয় উপাসনালয়। সুপরিচিত সরকারি গুরুদয়াল কলেজ, ওয়ালিনেওয়াজ খান কলেজ ও ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কিশোরগঞ্জ অবস্থিত। এছাড়াও রয়েছে করিমগঞ্জে জঙ্গলবাড়ি ঈশা খাঁর দুর্গ, পাকুন্দিয়া এগারসিন্দুরের এবং কিশোরগঞ্জ সদরের অবস্থিত নদীর ধারে চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর জন্মস্থান কিশোরগঞ্জে। শিশু সাহিত্য ও কিশোর রায় চৌধুরী ও সুকুমার রায়ের পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জে। বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জের সুযোগ্য সন্তান।
নদ-নদী পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, মেঘনা, কালনী, সুতি,, ঘোড়া, ধনু,, আরিয়ালখা প্রভৃতি
অর্থনীতি: কিশোরগঞ্জের অর্থনীতির চালিকাশক্তি অনেকটা হাওরের উপর নির্ভরশীল। হাওড়া প্রচুর মাছ পাওয়া যায় যা দেশের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করতে সক্ষম। তাছাড়া কিশোরগঞ্জে পাঠ, ধান এবং অন্যান্য অনেক শক্তি উৎপাদন হয়ে থাকে যা দেশের চাহিদা পূরণ করে বাইরে ও রপ্তানি করা হয়। জলবায়ু: কিশোরগঞ্জের জলবায়ু। কিশোরগঞ্জের তাপমাত্রা ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস শীতকালে বৃষ্টিপাত বেশি হয়।
নামকরণ : ষষ্ঠ শতকের এর বাসিন্দা শ্রী কৃষ্ণ দাস মানিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গন্জ প্রতিষ্ঠা করেন। এ থেকেই কালক্রমে কিশোরগঞ্জ নামের উৎপত্তি হয় কিশোরগঞ্জ।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৩টি উপজেলার নাম: কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, হোসেনপুর উপজেলা, পাকুন্দিয়া উপজেলা, কটিয়াদী উপজেলা, করিমগঞ্জ উপজেলা, তাড়াইল উপজেলা, ইটনা উপজেলা, মিঠামইন উপজেলা, অষ্টগ্রাম উপজেলা, নিকলী উপজেলা, বাজিতপুর উপজেলা, কুলিয়ারচর উপজেলা ও ভৈরব উপজেলা।
কিশোরগঞ্জ শহর এলাকায় ১৩টি থানা রয়েছে ,ঢাকা জেলার থানা গুলোর নাম: কিশোরগঞ্জ সদর থানা, হোসেনপুর থানা, পাকুন্দিয়া থানা, কটিয়াদী থানা, করিমগঞ্জ থানা, তাড়াইল থানা, ইটনা থানা, মিঠামইন থানা, অষ্টগ্রাম থানা, নিকলী থানা, বাজিতপুর থানা, কুলিয়ারচর থানা, ভৈরব থানা।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ০৮টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :কিশোরগঞ্জ পৌরসভা, বাজিতপুর পৌরসভা, ভৈরব পৌরসভা, কুলিয়ারচর পৌরসভা, পাকুন্দিয়া পৌরসভা, কটিয়াদী পৌরসভা, করিমগঞ্জ পৌরসভা, হোসেনপুর পৌরসভা ।
কিশোরগঞ্জ জেলার ম্যাপ
মাদারীপুর জেলা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:মাদারীপুর বিভাগে অবস্থিত জেলা মাদারীপুর জেলায় ৩টি সংসদীয় আসন, ৫টি উপজেলা,৫টি থানা,৪টি পৌরসভা,৫৯টি ইউনিয়ন,১০৬২টি গ্রাম,৪৭৯টি মৌজা রয়েছে। মাদারীপুর জেলার আয়তন ১১৪৪.৯৬কি: মি:মাদারীপুর জেলার সৃষ্টি ১লা মার্চ ১৯৮৪ সালে কলেজের সংখ্যা ২১টি মাদ্রাসার সংখ্যা ৬৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২৮টি, জুনিয়র হাই স্কুল ২৭টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৭৭টি, পাবলিক লাইব্রেরী ৫টি, সার্কিট হাউস ১টি, ডাকবাংলো জেলা পরিষদ ৬টি। সীমানা উত্তরে ফরিদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলা, পূর্বে শরীয়তপুর জেলা, পশ্চিমে ফরিদপুর গোপালগঞ্জ জেলা, দক্ষিনে গোপালগঞ্জ ও বরিশাল জেলার পাশ ঘেঁষে মাদারীপুর জেলা গঠিত।
নামকরণ :নামকরণ ও প্রতিষ্ঠান
পঞ্চদশ শতাব্দীর সুফি সাধক ই জাহান হরযত বদিউদ্দিন আহমেদ জিন্দা শাহ মাদার (র:)নাম অনুসারে মাদারীপুর জেলার নামকরণ করা হয়।
মাদারীপুর জেলায় ০৫টি উপজেলার নাম:
১। মাদারীপুর সদর উপজেলা
২। কালকিনি উপজেলা
৩। রাজের উপজেলা
৪। শিবচর উপজেলা ও
৫। ডাসার উপজেলা
মাদারীপুর শহর এলাকায় ১২টি থানা রয়েছে ,ঢাকা জেলার থানা গুলোর নাম:আমগ্রাম, বদরপাশা, বাজিতপুর, হরিদাসপুর, মহেন্দ্রদী, হোসেনপুর, ইশিবপুর, কবিরাজপুর, কদমবাড়ি, খালিয়া, পাইকপাড়া, রাজৈর।
মাদারীপুর জেলায় ০৪টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :মাদারীপুর সদর পৌরসভা,কালকিনি পৌরসভা,রাজের পৌরসভা পৌরসভা,শিবচর পৌরসভা পৌরসভা,ডাসার পৌরসভা
মাদারীপুর জেলার ম্যাপ
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:মানিকগঞ্জ বিভাগে অবস্থিত জেলা মানিকগঞ্জ জেলা সৃষ্টির ইতিহাস
লোকসংগীত ও হাজারী গুড়ের দেশ এবং খাদ্য উদ্বৃত্ত মানিকগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যে অঞ্চল ঢাকা বিভাগে অবস্থিত।১৮৪৫ সালের মে মাসে এটি মানিকগঞ্জ মহুকুমা নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এই মুহূর্তে ফরিদপুর জেলার অধীনে ছিল। পরবর্তীতে ১৮৫৬ মানিকগঞ্জ ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ১৯৮৪ সালের ১লা মানিকগঞ্জ জেলায় উন্নতি করা হয়।
মানিকগঞ্জ জেলার আয়তন ১৩৭৮,৯৯ বর্গ কিলোমিটার সংসদীয় আসন ৩টি , উপজেলা ৭টি মানিকগঞ্জ সদর, ঘিওর, সাটুরিয়া, সিঙ্গাইর, শিবালয়, হরিরামপুর, দৌলতপুর । উপজেলা কমপ্লেক্স ৬টি, থানা ৭টি, পৌরসভা ২টি, ইউনিয়ন পরিষদ ৬৫টি, ওয়ার্ড ৬০৩টি, মৌজা ১৩৫টি, গ্রাম ১৬৮টি, সিটি কর্পোরেশন নাই, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫১টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬৩টি, মাদ্রাসা ২৮, কলেজের সংখ্যা ২৭টি, আদর্শ গ্রাম ২২টি, সরকারি হাসপাতাল,০৯টি, বেসরকারী হাসপাতাল ৬৭টি, ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১৯২১জন,
নামকরণ :নামকরণ
সংস্কৃত শব্দ থেকে মানিক শব্দটি এসেছে। মানিক হচ্ছে চুনি পোদ্দার।গন্জ শব্দটি ফরাসি।মানিকগঞ্জ নামের উৎপত্তি সম্পর্কিত ইতিহাস আজও রহস্যাবৃত। মানিকগঞ্জ নামে কোন গ্রাম মৌজার অবস্থিত নেই।১৮৪৫ সৃষ্টির আগে কোন ঐতিহাসিক বিবরণ সরকারি নথিপত্রে মানিকগঞ্জ এর নাম পাওয়া যায়নি। জনশ্রুতি রয়েছে যে অষ্টদশ শতকের প্রথমার্ধে মানিক সূফী-দরবেশ সিংগাইর উপজেলার মানিক নগর গ্রামের আগমন করেন এবং খানকা প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। পরবর্তীকালে তিনি এ খানকা ছেড়ে হরিরামপুর উপজেলার দরবেশ হায়দার সেখ এর মাজার গমন করেন এবং ইছামতি 30 ভূমি বর্তমান মানিকনগরে এসে খানকা প্রতিষ্ঠা করেন। এখান থেকে কেন্দ্র করে সেখানে জনবসতি গড়ে ওঠে। উক্ত জনবসতি পুণ্য স্মৃতি ধারণ করে হয়েছে মানিকনগর। মানুষের জীবনধারা অবস্থিত আধ্যাত্মিক গুরু শরিফের ফিরে যাবার মানুষের দ্বিতীয় খানকা ছেড়ে ধলেশ্বরী তীরে পৌছেন।
সেখানে স্থাপন করেন। প্রথম ও দ্বিতীয় খান কার ভক্ত ও এখানে এসে ধিক্কা নিতো। মানিক সাহার আলোকিক গুণাবলীর জন্য জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই তাকে শ্রদ্ধা করতেন। এখানে বিশ্রাম নিতে এবং রাত্রি যাপন করতেন। এভাবেই ধলেশ্বরীর মানিক সাহা খান কাকে কেন্দ্র করে জনবসতিও মুকাম প্রতিষ্ঠিত হয়। কেউ বলেন পাঠান সরদার মানিক নাম অনুসারে মানিকগঞ্জের নামের উৎপত্তি হয়। আবার কেউ কেউ বলেন নবাব সিরাজ উদ দৌলার বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি ইংরেজদের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তার নাম অনুসারে ১৮৪৫ সালে মে মাসে মানিকগঞ্জ মহুকুমা নামকরণ হয়। মানিকগঞ্জ মৌ কুমার নামকরণ সম্পর্কীয় উল্লেখিত তিনটি পৃথক পটভূমি স্থানীয় অনুমান ভিত্তিক। এ ব্যাপারে সরাসরি কোনো দলিল দস্তাবেজ অথবা ঐতিহাসিক প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ পাওয়া যায়নি, তবে মানুষের নাম অনুসারে মানিকগঞ্জের নামকরণ সম্পর্কে জনশ্রুতি এবং ঘটনার প্রবাহচিত্র ধারণা পাওয়া যায় তাই যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়।
মানিকগঞ্জ জেলায় ০৭টি উপজেলার নাম:মানিকগঞ্জ সদর, শিবালয়, ঘিওর, দৌলতপুর, সাটুরিয়া, সিংগাইর, হরিরামপুর
মানিকগঞ্জ শহর এলাকায় ০৭টি থানা রয়েছে ,ঢাকা জেলার থানা গুলোর নাম:সাটুরিয়া থানা, দৌলতপুর থানা, ঘিওর থানা, শিবালয় থানা, হরিরামপুর থানা, সিংগাইর থানা, মানিকগঞ্জ থানা
মানিকগঞ্জ জেলায় ০৪টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :মানিকগঞ্জ পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ল্ডে বিভক্ত। আয়তন ৪২.২৮ বর্গ কিলোমিটার। কালিয়ানি, বের গজারিয়া, পশ্চিম স্বাগতা, উত্তর সাওতা, শহীদ গোলাম কিবরিয়া তোজু সড়ক, শহীদ গোলাম দস্তগীর সড়ক, শহীদ স্বরনী সড়ক, হাইওয়ে, মানোরা, জয়রা, ব্লগ এ ব্লগ বি রমজান আলী কলেজ রোড ভুলজয়রা। নিয়ে মানিকগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয়ে মানিকগঞ্জ জেলা।
মানিকগঞ্জ জেলার ম্যাপ
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:ঢাকা বিভাগে অবস্থিত জেলানারায়ণগঞ্জ ২৯২ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয় যা ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত।১৮৮২ সালে নারায়ণগঞ্জ মহুকুমা ঘোষিত হয়, যা ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নতি হয়।২০১১ সালের ৫মে নারায়ণগঞ্জ সদর পৌরসভা, বন্দর থানা কদম্রসুল ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা সমন্বয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলার আয়তন ৬৮৪.৩৫ কিলোমিটার। উপজেলা ৫টি, থানা ৭টি, ইউনিয়ন ৩৯টি, পৌরসভা ৫টি, মৌজা ৭৫৭টি, গ্রাম ১,৩৭৪,
নামকরণ :লক্ষ্মী নারায়ণ ঠাকুরের নামে উৎসর্গকৃত বলে এই অঞ্চলের নাম খিজিরপুর বদলিয়ে অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয় নারায়ণগঞ্জ।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ০৯টি উপজেলার নাম:নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁও।
নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকায় ০৯টি থানা রয়েছে ,ঢাকা জেলার থানা গুলোর নাম:নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁ।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ০৪টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :আড়াইহাজার, গোপালদী, তারাবো, কাঞ্চন, সোনারগাঁ
নারায়ণগঞ্জ জেলার ম্যাপ
নামকরণ : পূর্বে এই অঞ্চলটি নরসিংহ নামক রাজার শাসনাধীন ছিল। ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রাচীন ভ্রম্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে রাজা নরসিংহ নরসিংহপুর নামে একটি ছোট নগর স্থাপন করেছিলেন। নরসিংদী নামটি রাজা নরসিংহের নাম অনুসারে উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করেন ইতিহাস
নরসিংদী জেলায় ০৬টি উপজেলার নাম: ১৯৮৪ সালে নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাবো এবং রায়পুরা এ ৬টি উপজেলা এবং নরসিংদী পুরসভা নিয়ে নরসিংদীকে জেলা ঘোষণা করেছে সরকার।
নরসিংদী শহর এলাকায় ০৯টি থানা রয়েছে ,ঢাকা জেলার থানা গুলোর নাম:৭টি থানা রয়েছে থানাগুলোর নাম নরসিংদী মডেল থানা, পলাশ থানা, মাধবদী থানা, শিবপুর মডেল থানা, মনোহরদী থানা, রায়পুরা থানা, বেলাবো থানা।
নরসিংদী জেলায় ০৪টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :নরসিংদী পৌরসভা বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত একটি পৌরসভা ১।নরসিংদী পৌরসভা ২। মাধবদী পৌরসভা ৩। ঘোড়াশাল পৌরসভা ৪। রায়পুরা পৌরসভা ৫। মনোহরদী পৌরসভা ৬। শিবপুর পৌরসভা নিয়ে নরসিংদী জেলা ।
নরসিংদী জেলার ম্যাপ
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:ঢাকা বিভাগে অবস্থিত জেলা রাজবাড়ী রাজবাড়ী জেলা বাংলাদেশের মধ্য অঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল রাজবাড়ী সদর উপজেলা, গোয়ালন্দ উপজেলা, পাংশা উপজেলা, বালিয়াকান্দি উপজেলা নিয়ে রাজবাড়ী জেলা। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ রাজবাড়ী জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। রাজবাড়ী জেলার আয়তন ১,০৯২.২৮ বর্গ কিলোমিটার।
জেলা সৃষ্টির ইতিহাস
বর্তমান রাজবাড়ী জেলা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।১৭৬৫ সালের ইংরেজরা বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের পর উত্তর-পশ্চিম ফরিদপুর বর্তমান রাজবাড়ী জেলার কিয়দংশ অঞ্চল রাজশাহীর জমিদারির অন্তর্ভুক্ত ছিল। নাটোর রাজার জমিদারের ছিন্ন হিসেবে রাজবাড়ী জেলার বেলগাছিতে রয়েছে চীনা মঞ্চ। দোল মঞ্চ। পরবর্তী এ জেলা যশোর জেলার অংশ ছিল।১৮১১ সালে ফরিদপুর জেলার সৃষ্টি হলে রাজবাড়ীকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৮৩ সালে সরকার প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে প্রতিটি থানা কে মান উন্নয়ন্থী থানার রূপান্তরিত করলে রাজবাড়ীকে মান উন্নতির থানা ঘোষণা করা হয়।১৯৮৩ সালের ১৮ই জুলাই থেকে সরকার অধ্যাদেশ জারি করে সকল মান উন্নতি থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করার ফলে রাজবাড়ী উপজেলা হয়। প্রশাসনিক দপ্তর রাজবাড়িতে থাকায় অবশেষে ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ সকল মহকুমাকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সে থেকে রাজবাড়ী জেলায় রূপান্তরিত হয়।
নামকরণ :রাজবাড়ী যে কোন রাজার বাড়ির নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। রাজার নামে রাজবাড়ী। নাওয়ারা চৌধুরী গনের বাড়ির স্বদেশী গনের নিকট রাজবাড়ী নামে অভিহিত ছিল। মতান্তরে রাজা সূর্য কুমারের নাম অনুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ করা হয়।
ভৌগোলিক অবস্থান
পূর্বে মানিকগঞ্জ, পশ্চিমে কুষ্টিয়া, উত্তরে পাবনা, দক্ষিণে ফরিদপুর ও মাগুরা জেলা।
রাজবাড়ী জেলায় ০৫টি উপজেলার নাম:রাজবাড়ী সদর, গোয়ালন্দ, পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী উপজেলার নিয়ে রাজবাড়ী জেলা।
রাজবাড়ী শহর এলাকায় ০৫টি থানা রয়েছে ,ঢাকা জেলার থানা গুলোর নাম:রাজবাড়ী সদর থানা, গোয়ালন্দ থানা, পাংশা থানা, বালিয়াকান্দি থানা, কালুখালী থানা রয়েছে
রাজবাড়ী জেলায় ০৩টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :রাজবাড়ী পৌরসভা, পাংসা পৌরসভা, গোয়ালন্দ পৌরসভা রয়েছে।
রাজবাড়ী জেলার ম্যাপ
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:ঢাকা বিভাগে অবস্থিত জেলা শরীয়তপুর জেলায় ৬টি উপজেলা ৭টি থানা,৫টি মিউনিসিপ্যলিসিটি,৬৪টি ইউনিয়ন পরিষদ,৪৫টি ওয়ার্ড,৯৩টি মহল্লা ,১২৩০টি গ্রাম, এবং ৬০৭টি মৌজা নিয়ে গঠিত ।ইতিহাস সমৃদ্ধ বিক্রমপুরের দক্ষিণাঞ্চল এবং প্রাচীন বরিশালের ঈদুল পুর বরগুনার কিছু অংশ নিয়ে বর্তমান শরীয়তপুর জেলা গঠিত। বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামের শরীয়তপুরবাসীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে জেলাটি ফরিদপুরের মাদারীপুর মহকুমার অন্তর্ভুক্ত ছিল।১৯৭৭ সালের ৩ নভেম্বর বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহ নাম অনুসারে শরীয়তপুর নামকরণ করা হয়।১৯৮৪সালে শরীয়তপুর জেলায় উন্নত করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শরীয়তপুর এর ওয়েব পোর্টে সকলকে স্বাগতম। এদেশে কম্পিউটারের যা তথ্যপ্রযুক্তির প্রচলন খুব একটা বেশি দিনের নয়। তবে বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশিরা তথ্যপ্রযুক্তির সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে আন্তরিকভাবে। স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে তথ্যপ্রযুক্তির নির্ভর বাংলাদেশ গড়ার। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জনগণের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দানের লক্ষ্যে ২০২১ সালের জন্য ভীষণ নির্ধারণ করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ। শরীয়তপুর জেলার আয়তন ১১৮১ বর্গ কিলোমিটার
নামকরণ :১৯৭৭ সালের ৩ নভেম্বর বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহ নাম অনুসারে শরীয়তপুর নামকরণ করা হয়।
শরীয়তপুর জেলায় ০৬টি উপজেলার নাম:শরীয়তপুর সদর, জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, ডামুড্ডা, গোসাইরহাট,উপজেলা নিয়ে শরীয়তপুর জেলা গঠিত।
শরীয়তপুর শহর এলাকায় ০৬টি থানা রয়েছে ,ঢাকা জেলার থানা গুলোর নাম:শরীয়তপুর সদর, জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, ডামুড্ডা, গোসাইরহাট,থানা নিয়ে শরীয়তপুর জেলা গঠিত।
শরীয়তপুর জেলায় ০৪টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :
শরীয়তপুর জেলার ম্যাপ
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনিক এলাকাসমূহ:ঢাকা বিভাগে অবস্থিত জেলা টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল জেলায় মোট উপজেলার সংখ্যা ১২ টি এবং মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১১৮টি। টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১২ টি।করটিয়া, ঘারিন্দা, গালা, পোড়াবাড়ি, সিলিমপুর, কাকুয়া, কাতুলী, মগড়া, মাহমুদনগর, হুগরা,ভাগিল এবং দাইন্যা। কালিযহাতি উপজেলায় মোট ইউনিয়নের সংখ্যা ১৩ টি । টাঙ্গাইল জেলার আয়তন : ৩৪৩১.৬১ বর্গ কিলোমিটার।
নামকরণ :টাঙ্গাইলের ইতিহাস প্রণেতা খন্দকার আব্দুল রহিম সাহেবের মতে, ইংরেজ আমলে এদেশের লোকেরা উঁচু শব্দের পরিবর্তে টান শব্দই ব্যবহার করতে অব্যাহত ছিল বেশি। এখনো টাঙ্গাইল অঞ্চলে টান শব্দের প্রচলন আছে। শব্দটি যুক্ত হয়েছিল টান আইল। আর সেই টান আইলটি রূপান্তরিত হয়েছে টাঙ্গাইলে।
টাঙ্গাইল জেলায় ০৯টি উপজেলার নাম:
টাঙ্গাইল শহর এলাকায় ১৩টি থানা রয়েছে ,ঢাকা জেলার থানা গুলোর নাম:টাঙ্গাইল মডেল থানা, নাগরপুর থানা, দেলদুয়ার থানা, মির্জাপুর থানা, বাসাইল থানা, সখিপুর থানা, কালিহাতী থানা, ঘাটাইল থানা, ভুয়াপুর থানা, ধনবাড়ী থানা, মধুপুর থানা, গোপালপুর থানা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা
টাঙ্গাইল জেলায় ০৪টি পৌরসভা রয়েছে পৌরসভা গুলোর নাম :
টাঙ্গাইল জেলার ম্যাপ
COMMENTS