প্রেজেন্টেশন কি? কিভাবে দিতে হয়? প্রেজেন্টেশন দিতে হবে তোমাকেই। তুমি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ো না কেন। তুমি যে প্রতিষ্ঠানে চাকুরী কর না...
প্রেজেন্টেশন কি? কিভাবে দিতে হয়?
প্রেজেন্টেশন দিতে হবে তোমাকেই। তুমি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ো না কেন। তুমি যে প্রতিষ্ঠানে চাকুরী কর না কেন। তুমি যেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছ। শিক্ষাজীবনে কোন না কোন সময়ে তোমাকে প্রেজেন্টেশন দিতেই হয়। যদি কোন কালে সেটাও না করা লাগে দিনশেষে চাকুরী জীবনে এই প্রেজেন্টেশন নামের সিস্টেমে পড়তেই হয় তোমাকে। প্রেজেন্টেশন কি বলতে গেলে বিষয়টা আসলে ক্লাস সিক্স বা সেভেন এ সরল অংকের মত। সরল অংক গুলো বিশাল, দেখলে অনেক ভয় লাগে, একটু ভুল হলেই পুরোটা শেষ। প্রেজেন্টেশনের বিষয়টা ও সেরকম শুনতে অনেক বিশাল লাগে, মনে হয় কতই না জটিল একেকটা কাজ। কিন্তু সরল অংক একবার যে ঠিকভাবে শিখে ফেলে তাকে যেমন বিশ্বের কোন সরল অংকই আটকাতে পারে না প্রেজেন্টেশনের বিষয়টাও একই রকম। আপাত দৃষ্টিতে জটিল এই প্রেজেন্টেশন দেওয়ার নিয়ম একবার যদি রপ্ত করে ফেলতে পারেন. তাহলে আর কখনোই সেটা নিয়ে সমস্যা হবে না। আমাকে যদি জিজ্ঞেস কর! আমার চোখে প্রেজেন্টেশন এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কি? আমি বলব প্রেজেন্টেশনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো শুরুটা। কেন জানো? কারণ হচ্ছে শুরুতে তোমার সামনের দর্শকদের আগ্রহটা থাকে চূড়াতে। যদি একটা গ্রাফে আকাও দর্শকের আগ্রহটাকে দেখবে যে প্রেজেন্টেশনের শুরুতে সব থেকে বেশি দর্শক আগ্রহী থাকে। আর যত দর্শক সময় যায় তাদের আগ্রহ ততই কমতে থাকে। এই এক মিনিটের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে তাই একটা ভালো প্রেজেন্টেশন তৈরি হতে হলে। এক্ষেত্রে কিছু টিপস দেওয়া যেতে পারে।
- পেক্ষাপট বুঝুন শ্রোতাকে বুঝুন।
- লম্বা প্রেজেন্টেশনের সময় শ্রোতাদের বিরতি দিন।
- দর্শকশ্রোতাদের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন।
- নিজেকে দর্শক বা শ্রোতার জায়গায় বসান কাল্পনিকভাবে।
- ফন্ট সাইজ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রেজেন্টেশন কি?
প্রেজেন্টেশন বলতে গেলে. এটি হলো এক ধরনের উপস্থাপন ব্যবস্থাপনা. যেটা দিয়ে একজন বক্তা তার দৃষ্টিভঙ্গি. মনোভাব. পৌঁছাতে পারে।একটি প্রতিষ্ঠানে প্রেজেন্টেশন গুলো বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়। যেমন একটি গ্রুপের সাথে কথা বলা. একটি মিটিং করা. একটি নতুন পণ্য প্রদর্শন করা কিংবা একটি নতুন গ্রুপকে কোন কিছু ব্রিফ করা। একটি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বিষয়. সমস্যা অথবা নতুন ধারণা উপস্থাপন করতে খুব কার্যকর একটি উপায়। তাই প্রেজেন্টেশন কি চমৎকার জিনিস. তা বলাই বাহুল্য।
প্রেজেন্টেশন শুরু করার পূর্বে;
প্রেজেন্টেশন কি তা তো জানাই হলো। এখন জানতে হবে এরপর কি প্রেজেন্টেশন দিতে যাওয়ার আগে কিছু প্রেজেন্টেশন দেওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া অনেক বেশি জরুরী। পূর্ব প্রস্তুতি ভালো হলে প্রেজেন্টেশনের অন্যান্য ধাপগুলোতে এগুলো অনেক সহজ হয়ে যায়। একটা ভালো পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তিনটি উপদেশ যা অনুসরণ করলে তোমাদের জন্য প্রেজেন্টেশন তৈরি খুব সহজ হয়ে যেতে পারে।
যে জায়গায় প্রেজেন্টেশন দিবে
সে জায়গায় কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবে। এটা করা হলে দর্শকের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তা না হলে হঠাৎ করে বিশাল দর্শকের সামনে গেলে খুব নার্ভাস হয়ে যাবে যা প্রস্তুতি নিয়ে এসেছো সব ভুলে যাবে।
যে বিষয়টার উপর প্রেজেন্টেশন দেবে সেটার উপর খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আসবা। শুধু আয়নার উপর নির্ভর না করে বন্ধুদের সামনেই কয়েকবার চর্চা করলে আসলে অনেক বেশি কার্যকরী হয়, অনেকটাই কেটে যায়। আয়নায় শুধু নিজের ছবিটা দেখা যায় বলে ভয় তেমনটা দূর হয় না। কারণ নিজেকে কেউ ভয় পায় না।
প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় পরিচিতজনদের সামনে দেখলে নার্ভাস কম লাগে। তাই তোমার ভালো বন্ধুদের সামনে শাড়িতেই বসিয়ে দাও. তখন তোমার মনে হয় তুমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছো।
প্রেজেন্টেশন শুরু করার নিয়ম
প্রেজেন্টেশন দেওয়ার নিয়ম এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রেজেন্টেশনের শুরু। তাও যে সে শুরু না। প্রথমেই যে ৩০ সেকেন্ড মোটামুটি ওই সময়টুকই তোমার বিচারকদের আর দর্শকদের জন্য যথেষ্ট। প্রেজেন্টেশন কি পরিমান উপভোগ্য হবে. সেটা এর সময় বোঝা যায়। প্রথম ৩০ সেকেন্ডেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে. যে তারা তোমার প্রেজেন্টেশনে কি দেখবে নাকি দেখার ভান করে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকবো। এরকম একটা অবস্থায় বুঝতে পারছ. শুরুর ৩০ সেকেন্ডের দাম কতখানি! এখন আমরা জানাবো প্রেজেন্টেশন কিভাবে শুরু করতে হয়।
প্রেজেন্টেশন কিভাবে শুরু করতে হয়।
প্রেজেন্টেশন শুরু করার নিয়ম কি তাহলে শুরুটা করতে পারো কোন একটা কোটেশন দিয়ে। হতে পারে সেই কোটেশনটা সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টি করা কোনো ব্যক্তির। হতে পারে সেটি কোন মজাদার অচেনা উক্তি যেটা দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি আরো অবাকও করতে পারে। আবার তুমি শুরু করতে পারো বিশাল কোন সংখ্যা দিয়ে। এমন সংখ্যা দর্শক অবাক না হয়ে পারবেই না। প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে গিয়ে এসব খেয়াল রাখা জরুরী। এমন কিছু টিপস হল;
প্রেজেন্টেশন শুরু করতে হয় যেকোনো একটা গল্প দিয়ে ; গল্প শুনতে কে না ভালোবাসে, গল্প সেরকমই হোক না কেন মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রস্থলে সবসময় থাকে গল্পগুলো। নিজের জীবনকে রিলেট করতে পারে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা গতানুতি গতি শুরু তো সবাই করে। এই প্রেজেন্টেশন টা শুরু করেছি আমি অমুক প্রেজেন্টেশনটি করেছি তমুক স্যারের কাছে এসব কথা তো সবাই জানে তাহলে তুমি তোমার সর্বোচ্চ attented সময়টাকে এইসব বলে নষ্ট করবে কেন। তুমি শুরু করো একটা গল্প দিয়ে গল্প হতে পারে তোমার প্রেজেন্টেশন টপিক নিয়ে। চরিত্রকে দিয়ে দেখানো যেতে পারে। তাতে তোমার প্রেজেন্ট যেমন হবে তেমনি দর্শক প্রিয় ও বাড়বে, দর্শক অভাব না হয়ে পারবেই না! প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে গিয়ে এসব খেয়াল রাখা জরুরী এমন কোন কিছু টিপস হল;
আপনি জানেন কি আমি একটা বিখ্যাত প্রেজেন্টেশনে দেখেছিলাম। সেখানে শুরুতেই ন্যারেটর airtel এর টিউনটা গাইতে গাইতে আসেন। এরপর দর্শকে জিজ্ঞেস করে এই টিউনটা শুনেই আমাদের মনে পড়ে না এয়ারটেলের কথা, দর্শক শাড়ি তুমুল আনন্দে উত্তর দেয়, হ্যাঁ। এভাবেই যদি দর্শকদের নিয়েই কাজ করা যায়, যদি দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে আগ্রহী করে রাখা যায়, তাহলেই কেল্লাফতে। মনে রাখবে যখনই দর্শক এবং বিচারকরা মনে করবেন যে তাদেরকে পুরো প্রেজেন্টেশনের ব্যস্ত রাখার যাচ্ছে, তখনই তোমার বোনাস পয়েন্ট।
উক্তি বা ফ্যাট ব্যবহার কর
তোমার প্রেজেন্টেশনটা যদি শুরু হয় খুব ইন্টারেস্টিং একটা ফ্যাক্ট দিয়ে তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা অনেক মজাদার হবে দর্শকদের জন্য।
COMMENTS